শিরোনাম :
Logo বাঁচতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মশিউর Logo কচুয়ার পালাখাল মডেল ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা Logo চাঁদপুরে ২০ হাজার আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস সরবারহ বন্ধ Logo কয়রায় জেজেএস এর উদ্যোগে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত। Logo ‘জুলাই সনদ প্রণয়ন, সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমানের পর নির্বাচন দিতে হবে’ Logo জিয়াউর রহমান ছিলেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনায়ক: রিজভী Logo সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা পোস্টারে নয়, নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত Logo শিক্ষার্থীদের ৯ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসংযোগ করছে রাবি সংস্কার আন্দোলন Logo কচুয়ায় দুই শিক্ষককে সংবর্ধনা ও পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত Logo বিকাশে ভুল নম্বরে চলে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করল এএসআই কামরুল ইসলাম

দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:১৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা উপজেলার মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদে অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ ও ম্যাজিক জাল পেতে পানির প্রবাহ আটকে দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। আইন অনুসারে, প্রবহমান কোনো জলাশয়ে কোনো ধরনের বাঁধ, স্থায়ী অবকাঠামো বা অন্য কোনোভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। জলাশয়ে পানির প্রবাহ ও মাছের চলাচল বাঁধ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করলে শাস্তির বিধান রয়েছে।

দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, এই উপজেলায় মাথাভাঙ্গা নদ প্রায় ২৬ কিলোমিটার ও ভৈরব নদ ৫৮ কিলোমিটার রয়েছে। আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়ার কারণে পলি এবং অন্যান্য পরিপোষক পদার্থ বিভিন্ন কাঠামোতে আটকে যাওয়ায় নদের পানিতে মিশে ছড়িয়ে যেতে পারছে না। ফলে পলি জমে নাব্যতা হারায়। তেমনি স্রোত বৃদ্ধি পেয়ে নদীর পাড় ভাঙনের সৃষ্টি হয়। অপর দিকে, কিছু প্রজাতির মাছ প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট স্থান খুঁজে থাকে, বাঁধের কারণে তারা গন্তব্যে পেঁৗছাতে পারে না, সেগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। এছাড়া কারেন্ট জালের কারণে বিলুপ্ত হতে বসেছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিষ্ণুপুর ব্রিজ, কেশবপুর, বাস্তপুর, রঘুনাথপুর, আমডাঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙ্গা নদের এসব এলাকায় বাঁধ, ম্যাজিক জাল কোমর, ভ্যাসাল দিয়ে অবৈধভাবে শিকার করা হচ্ছে মাছ। একই চিত্র দামুড়হুদা উপজেলার ভৈরব নদেও।

এ বিষয়ে জানতে দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারুক মহলদারকে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল বলেন, নদে আড়াআড়িভাবে বাঁধ মাছ ধরা অপরাধ। এই ধরনের কাজের সাথে যারা সম্পৃক্ত আছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাঁচতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মশিউর

দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

আপডেট সময় : ১২:৪৯:১৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদা উপজেলার মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদে অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ ও ম্যাজিক জাল পেতে পানির প্রবাহ আটকে দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। আইন অনুসারে, প্রবহমান কোনো জলাশয়ে কোনো ধরনের বাঁধ, স্থায়ী অবকাঠামো বা অন্য কোনোভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। জলাশয়ে পানির প্রবাহ ও মাছের চলাচল বাঁধ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করলে শাস্তির বিধান রয়েছে।

দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, এই উপজেলায় মাথাভাঙ্গা নদ প্রায় ২৬ কিলোমিটার ও ভৈরব নদ ৫৮ কিলোমিটার রয়েছে। আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়ার কারণে পলি এবং অন্যান্য পরিপোষক পদার্থ বিভিন্ন কাঠামোতে আটকে যাওয়ায় নদের পানিতে মিশে ছড়িয়ে যেতে পারছে না। ফলে পলি জমে নাব্যতা হারায়। তেমনি স্রোত বৃদ্ধি পেয়ে নদীর পাড় ভাঙনের সৃষ্টি হয়। অপর দিকে, কিছু প্রজাতির মাছ প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট স্থান খুঁজে থাকে, বাঁধের কারণে তারা গন্তব্যে পেঁৗছাতে পারে না, সেগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। এছাড়া কারেন্ট জালের কারণে বিলুপ্ত হতে বসেছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিষ্ণুপুর ব্রিজ, কেশবপুর, বাস্তপুর, রঘুনাথপুর, আমডাঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙ্গা নদের এসব এলাকায় বাঁধ, ম্যাজিক জাল কোমর, ভ্যাসাল দিয়ে অবৈধভাবে শিকার করা হচ্ছে মাছ। একই চিত্র দামুড়হুদা উপজেলার ভৈরব নদেও।

এ বিষয়ে জানতে দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারুক মহলদারকে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল বলেন, নদে আড়াআড়িভাবে বাঁধ মাছ ধরা অপরাধ। এই ধরনের কাজের সাথে যারা সম্পৃক্ত আছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।