শিরোনাম :
Logo কয়রায় বিএনপির সম্প্রীতি সমাবেশ Logo প্রধান উপদেষ্টা ও কোসোভোর রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাত Logo ইসরায়েল মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে: ট্রাম্প Logo শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগই ফ্যাসিবাদের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল: শফিকুর রহমান Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নির্বাচনে সাইদ হোসেন অপু চৌধুরীর মনোনয়নপত্র জমা Logo চাঁদপুর জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত Logo ইবিতে জুলাই-৩৬ পরেও আবার কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ২৫ জুন শুরু হচ্ছে রাবির কলা অনুষদের ৩য় আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের ডিবি টিমকে চাঁদপুর জেলা পুলিশের পুরস্কার প্রদান Logo কচুয়ায় মিলন হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদন্ড, একজনের যাবজ্জীবন

গ্রাহকদের ঋণ দিতে জড়তা বা ভীতি থাকবে কেন?

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:২১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গ্রাহকদের ঋণ দিতে আপনাদের কেন জড়তা বা ভীতি থাকবে? যদি আপনার‍া সঠিক নিয়ম ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসি পরিপালন করে ঋণ দেন তাহলে কোনো অসুবিধা নেই, ভয়েরও কোনো কারণ নেই।
গতকাল শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে রূপালী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

গভর্নর বলেন, ঋণ তো দিতে হবে, আবার আদায়ও করতে হবে। না হলে ব্যাংকের অপারেটিং কস্ট তুলে প্রোফিট করতে পারবেন না।
জামানত ছাড়া ঋণ বিতরণের বিষয়টি অত্যন্ত যুগোপযোগী কথা। কারণ কনজ্যুমার লোনে কোনো জামানত নেই। একই ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষের সনদকে জামানত হিসেবে নিয়ে ঋণ বিতরণ করা যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সবাইকে নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখবো কৃষি ঋণের মতো এসএমই ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেব কিনা। প্রতিটি ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। যেমন- কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তাই এসএম‌ই ঋণেরও সেভাবেই একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, রূপালী ব্যাংক লাভ না করতে পারলেও লোকসান অনেক কমিয়ে নিয়ে এসেছে। লোকসানি শাখাও কমেছে অর্ধশত। এছাড়াও বেশ কয়েকটি সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ৫৬২ শাখার ৫১০টি অনলাইন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলার পথে অনলাইন হচ্ছে রূপালী ব্যাংক।

রূপালী ব্যাংকের একজন পরিচালকের বরাত দিয়ে ফজলে কবির বলেন, রূপালী ব্যাংকের ৩০ শতাংশ ঋণ ২০ জন গ্রহীতার কাছে খেলাপি। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও আইনের মাধ্যেমে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন, এমডি আতাউর রহমান প্রধান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হক, পরিচালক অরিজিত চৌধুরী, অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশিদ, আব্দুল বাসেত খান প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় বিএনপির সম্প্রীতি সমাবেশ

গ্রাহকদের ঋণ দিতে জড়তা বা ভীতি থাকবে কেন?

আপডেট সময় : ১২:৪৩:২১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

গ্রাহকদের ঋণ দিতে আপনাদের কেন জড়তা বা ভীতি থাকবে? যদি আপনার‍া সঠিক নিয়ম ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসি পরিপালন করে ঋণ দেন তাহলে কোনো অসুবিধা নেই, ভয়েরও কোনো কারণ নেই।
গতকাল শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে রূপালী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

গভর্নর বলেন, ঋণ তো দিতে হবে, আবার আদায়ও করতে হবে। না হলে ব্যাংকের অপারেটিং কস্ট তুলে প্রোফিট করতে পারবেন না।
জামানত ছাড়া ঋণ বিতরণের বিষয়টি অত্যন্ত যুগোপযোগী কথা। কারণ কনজ্যুমার লোনে কোনো জামানত নেই। একই ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষের সনদকে জামানত হিসেবে নিয়ে ঋণ বিতরণ করা যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সবাইকে নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখবো কৃষি ঋণের মতো এসএমই ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেব কিনা। প্রতিটি ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। যেমন- কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তাই এসএম‌ই ঋণেরও সেভাবেই একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, রূপালী ব্যাংক লাভ না করতে পারলেও লোকসান অনেক কমিয়ে নিয়ে এসেছে। লোকসানি শাখাও কমেছে অর্ধশত। এছাড়াও বেশ কয়েকটি সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ৫৬২ শাখার ৫১০টি অনলাইন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলার পথে অনলাইন হচ্ছে রূপালী ব্যাংক।

রূপালী ব্যাংকের একজন পরিচালকের বরাত দিয়ে ফজলে কবির বলেন, রূপালী ব্যাংকের ৩০ শতাংশ ঋণ ২০ জন গ্রহীতার কাছে খেলাপি। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও আইনের মাধ্যেমে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন, এমডি আতাউর রহমান প্রধান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হক, পরিচালক অরিজিত চৌধুরী, অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশিদ, আব্দুল বাসেত খান প্রমুখ।