ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ১৪ ডাক্তারকে শোকজ

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:০৯:৩৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০১৯
  • ৭৭৯ বার পড়া হয়েছে

যথা সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়া ও নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতাল ত্যাগ

নাইদহ সদর হাসপাতালের ১৪ জন চিকিৎসককে শোকজ করা হয়েছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ছুটিতে থাকায় তার পক্ষে সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা এ সংক্রান্ত চিঠিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সাক্ষর করেন। শোকজ নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে চিতিৎসকদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। খবরটি নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের প্রধান সহকারী মশিউর রহমান।
সূত্র জানায়, যথা সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়া ও নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতাল ত্যাগ করার কারণে এ সব চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করা হয়। শোকজপ্রাপ্তরা হলেন- সিনিয়র কনসাল্টেন আ স ম আব্দুর রহমান (অজ্ঞান), নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ রাশেদ আলী মোড়ল, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ গোলাম রব্বানী, হাড় জোড়া বিশেষজ্ঞ গাজী আহসান উল মুনীর, সার্জারী বিশেষজ্ঞ জাহিদুর রহমান ও তারিখ আক্তার খান, গাইনি বিশেষজ্ঞ চলন্তিকা রানী, শিশু বিশেষজ্ঞ আনোলারুল ইসলাম, দন্ত বিশেষজ্ঞ ওমর খৈয়াম, হাড় জোড় বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ আলম প্রিন্স, মেডিকেল অফিসার শাহিন ঢালী, ফাল্গুনী রানী, ইমামুল হক ও হুমায়ন শাহেদ। এরমধ্যে ডা. হুমায়ন শাহেদ কেবল বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে শোকজ চিঠি পেয়েছেন।
রোগীদের অভিযোগ সকাল প্রতিদিন ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অফিস সময় হলেও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের বেশির ভাগ চিকিৎসক যথা সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হন না। অনেক সময় দুপুরের আযান হলেই চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্রাকটিস করার জন্য ক্লিনিকে নতুবা বাড়ির পথ ধরেন। এছাড়া হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রাতের বেলা রাউন্ড দেবার বিধান থাকলেও মেডিসিন, সার্জারি ও হৃদরোগের চিকিৎসকরা রাউন্ড দেন না। তবে তার অন কলে ডিউটি করেন বলে স্বীকার করেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অপুর্ব কুমার।
তিনি বলেন- চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের মধ্যে কয়েকটি বিভাগ বাদে সবাই রাতে রাউন্ড দেন। তবে মেডিসিন ও সার্জারি চিকিৎসক অন কলে আসেন। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যথা সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়া ও নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতাল ত্যাগ করার কারণে ১৪ জন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারী করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ১৪ ডাক্তারকে শোকজ

আপডেট সময় : ১০:০৯:৩৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০১৯

যথা সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়া ও নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতাল ত্যাগ

নাইদহ সদর হাসপাতালের ১৪ জন চিকিৎসককে শোকজ করা হয়েছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ছুটিতে থাকায় তার পক্ষে সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা এ সংক্রান্ত চিঠিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সাক্ষর করেন। শোকজ নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে চিতিৎসকদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। খবরটি নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের প্রধান সহকারী মশিউর রহমান।
সূত্র জানায়, যথা সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়া ও নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতাল ত্যাগ করার কারণে এ সব চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করা হয়। শোকজপ্রাপ্তরা হলেন- সিনিয়র কনসাল্টেন আ স ম আব্দুর রহমান (অজ্ঞান), নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ রাশেদ আলী মোড়ল, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ গোলাম রব্বানী, হাড় জোড়া বিশেষজ্ঞ গাজী আহসান উল মুনীর, সার্জারী বিশেষজ্ঞ জাহিদুর রহমান ও তারিখ আক্তার খান, গাইনি বিশেষজ্ঞ চলন্তিকা রানী, শিশু বিশেষজ্ঞ আনোলারুল ইসলাম, দন্ত বিশেষজ্ঞ ওমর খৈয়াম, হাড় জোড় বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ আলম প্রিন্স, মেডিকেল অফিসার শাহিন ঢালী, ফাল্গুনী রানী, ইমামুল হক ও হুমায়ন শাহেদ। এরমধ্যে ডা. হুমায়ন শাহেদ কেবল বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে শোকজ চিঠি পেয়েছেন।
রোগীদের অভিযোগ সকাল প্রতিদিন ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অফিস সময় হলেও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের বেশির ভাগ চিকিৎসক যথা সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হন না। অনেক সময় দুপুরের আযান হলেই চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্রাকটিস করার জন্য ক্লিনিকে নতুবা বাড়ির পথ ধরেন। এছাড়া হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রাতের বেলা রাউন্ড দেবার বিধান থাকলেও মেডিসিন, সার্জারি ও হৃদরোগের চিকিৎসকরা রাউন্ড দেন না। তবে তার অন কলে ডিউটি করেন বলে স্বীকার করেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অপুর্ব কুমার।
তিনি বলেন- চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের মধ্যে কয়েকটি বিভাগ বাদে সবাই রাতে রাউন্ড দেন। তবে মেডিসিন ও সার্জারি চিকিৎসক অন কলে আসেন। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যথা সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়া ও নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতাল ত্যাগ করার কারণে ১৪ জন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারী করা হয়।