শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় গোহট উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলন করায় মাটি ভেঙ্গে হুমকির মুখে দুটি পরিবার Logo ফরিদগঞ্জে প্রেম করে বিয়ে: ৩ বছর পর গলায় ফাঁস! Logo চাঁদপুরে ভরণপোষণ চাওয়ায় ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার মা-বাবা Logo রাবি নরসিংদী জেলা সমিতির ফল উৎসব Logo আনারসের বাণিজ্যিক চারা উৎপাদনে সাফল্য, কম খরচে চারা দিচ্ছে টিস্যু কালচার Logo স্মার্টফোনে ব্যাক কভার আসলে কতটা প্রয়োজন? Logo রাশিয়া যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কীসের ইঙ্গিত? Logo ‘জুলাই প্রবাসী যোদ্ধা’ স্বীকৃতিসহ ৪ দফা দাবিতে বিক্ষোভ Logo সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনা বাড়াল সরকার

চুয়াডাঙ্গায় আয়কর মেলার উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

কর যোগ্য প্রতিবেশীকে করের আওতায় আনতে হবে
নিউজ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গায় চার দিনব্যাপী আয়কর মেলা শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা এ্যাসোসিয়েশন হল চত্বরে “নির্বিঘেœ ও নিশ্চিন্তে, আয়কর রিটার্ন দিন কর মেলাতে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রধান অতিথি থেকে বেলুন ও শ্বেত কপোত উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস।
চুয়াডাঙ্গা উপকর কমিশনারের কার্যালয়, চুয়াডাঙ্গা সার্কেল-৯, কর অঞ্চল-খুলনার আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মুহিতুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, চুয়াডাঙ্গার সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এ্যাড. আলহাজ্ব আকসিদুল ইসলাম রতন, চুয়াডাঙ্গা আয়কর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন খান। স্বাগত বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার সহকারি কর কমিশনার উপল বিশ্বাস। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মো. শাহ আলম ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন নির্মল মিশ্র। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন অধিকারকর্মি মেহেরাব্বিন সানভী।
চার দিনব্যাপী এই মেলায় মোট ৭টি স্টল খোলা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় টিন রেজিষ্ট্রেশন/রি-রেজিষ্ট্রেশন, নতুন করদাতাদের টিন সনদ প্রদান, নাম্বার খোলা, রিটার্ন দাখিল, ব্যাংক বুথে আয়কর প্রদানসহ আয়কর বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, কর মেলার উদ্দেশ্য হলো কর দেয়ার মানসিকতা, করভীতি দূর করা, করযোগ্য প্রতিবেশীকে করের আওতায় আনা, কর কর্মকর্তা ও করদাতার মাঝে দূরত্ব কমানো। একই আয়তনে এক সময় ৭ কোটি মানুষের খাদ্য অভাব থাকলেও এখন ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব নেই। এর মানে খাদ্যে দেশ দিন দিন স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। মেলা মানে উৎসব উৎসব ভাব। ছোট্ট পরিসরে না করে বড় পরিসরে মেলা অনুষ্ঠিত হলে ভাল হয়। জীবনমান ভাল রাখতে হলে ন্যায্যের ভিত্তিতে কর দেয়ার আহবান জানান। চুয়াডাঙ্গার মানুষের কথা শোনার জন্য নিজের সরকারি মোবাইল নম্বর উপস্থিত মানুষের লিখে নিতে বলেন।
খুলনা কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মুহিতুর রহমান বলেন, জটিল বিষয়কে সহজ করে তোলার জন্য আয় কর মেলা। তিনি বিগত চার বছরে চুয়াডাঙ্গার মানুষের করের আওতায় আসার পরিসংখ্যান দেখে সন্তষ্ট হোন। প্রতি বছরে করের লক্ষমাত্রার চাইতে বেশী অর্জিত হয়। তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪০ কোটি টাকা আয়করের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর এ জেলায় আয়করের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩ কোটি টাকা। আদায় হয়েছিল ৩৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় শুধু কর মেলায় ৪১৪টি টিন নাম্বার ও ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা আয়কর আদায় হয়। ২০১৫ সালে ৫২০টি টিন নাম্বার ও ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয়কর আদায় হয়। ২০১৬ সালে ৬১৫টি টিন নাম্বার ও ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা আয়কর আদায় হয়। ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩৪টি টিন নাম্বার ও ৩৪ লাখ টাকা কর আদায় হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ায় গোহট উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গায় আয়কর মেলার উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস

আপডেট সময় : ১০:৩৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

কর যোগ্য প্রতিবেশীকে করের আওতায় আনতে হবে
নিউজ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গায় চার দিনব্যাপী আয়কর মেলা শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা এ্যাসোসিয়েশন হল চত্বরে “নির্বিঘেœ ও নিশ্চিন্তে, আয়কর রিটার্ন দিন কর মেলাতে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রধান অতিথি থেকে বেলুন ও শ্বেত কপোত উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস।
চুয়াডাঙ্গা উপকর কমিশনারের কার্যালয়, চুয়াডাঙ্গা সার্কেল-৯, কর অঞ্চল-খুলনার আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মুহিতুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, চুয়াডাঙ্গার সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এ্যাড. আলহাজ্ব আকসিদুল ইসলাম রতন, চুয়াডাঙ্গা আয়কর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন খান। স্বাগত বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার সহকারি কর কমিশনার উপল বিশ্বাস। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মো. শাহ আলম ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন নির্মল মিশ্র। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন অধিকারকর্মি মেহেরাব্বিন সানভী।
চার দিনব্যাপী এই মেলায় মোট ৭টি স্টল খোলা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় টিন রেজিষ্ট্রেশন/রি-রেজিষ্ট্রেশন, নতুন করদাতাদের টিন সনদ প্রদান, নাম্বার খোলা, রিটার্ন দাখিল, ব্যাংক বুথে আয়কর প্রদানসহ আয়কর বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, কর মেলার উদ্দেশ্য হলো কর দেয়ার মানসিকতা, করভীতি দূর করা, করযোগ্য প্রতিবেশীকে করের আওতায় আনা, কর কর্মকর্তা ও করদাতার মাঝে দূরত্ব কমানো। একই আয়তনে এক সময় ৭ কোটি মানুষের খাদ্য অভাব থাকলেও এখন ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব নেই। এর মানে খাদ্যে দেশ দিন দিন স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। মেলা মানে উৎসব উৎসব ভাব। ছোট্ট পরিসরে না করে বড় পরিসরে মেলা অনুষ্ঠিত হলে ভাল হয়। জীবনমান ভাল রাখতে হলে ন্যায্যের ভিত্তিতে কর দেয়ার আহবান জানান। চুয়াডাঙ্গার মানুষের কথা শোনার জন্য নিজের সরকারি মোবাইল নম্বর উপস্থিত মানুষের লিখে নিতে বলেন।
খুলনা কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মুহিতুর রহমান বলেন, জটিল বিষয়কে সহজ করে তোলার জন্য আয় কর মেলা। তিনি বিগত চার বছরে চুয়াডাঙ্গার মানুষের করের আওতায় আসার পরিসংখ্যান দেখে সন্তষ্ট হোন। প্রতি বছরে করের লক্ষমাত্রার চাইতে বেশী অর্জিত হয়। তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪০ কোটি টাকা আয়করের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর এ জেলায় আয়করের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩ কোটি টাকা। আদায় হয়েছিল ৩৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় শুধু কর মেলায় ৪১৪টি টিন নাম্বার ও ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা আয়কর আদায় হয়। ২০১৫ সালে ৫২০টি টিন নাম্বার ও ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয়কর আদায় হয়। ২০১৬ সালে ৬১৫টি টিন নাম্বার ও ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা আয়কর আদায় হয়। ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩৪টি টিন নাম্বার ও ৩৪ লাখ টাকা কর আদায় হয়।