শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় গোহট উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলন করায় মাটি ভেঙ্গে হুমকির মুখে দুটি পরিবার Logo ফরিদগঞ্জে প্রেম করে বিয়ে: ৩ বছর পর গলায় ফাঁস! Logo চাঁদপুরে ভরণপোষণ চাওয়ায় ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার মা-বাবা Logo রাবি নরসিংদী জেলা সমিতির ফল উৎসব Logo আনারসের বাণিজ্যিক চারা উৎপাদনে সাফল্য, কম খরচে চারা দিচ্ছে টিস্যু কালচার Logo স্মার্টফোনে ব্যাক কভার আসলে কতটা প্রয়োজন? Logo রাশিয়া যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কীসের ইঙ্গিত? Logo ‘জুলাই প্রবাসী যোদ্ধা’ স্বীকৃতিসহ ৪ দফা দাবিতে বিক্ষোভ Logo সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনা বাড়াল সরকার

মহেশপুরে ধর্ষণের ঘটনা : আসামীরা ধরা ছোয়ার বাইরে

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৯:৪২:২৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭২৬ বার পড়া হয়েছে

ভুক্তভোগী পরিবারকে হুত্যার হুমকির অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাগানমাঠ গ্রামের কপিল উদ্দিনের মেয়ে জোনাকী খাতুন (১৪) ধর্ষণ মামলার আসামীরা ৩ মাস পার হয়ে গেলেও ধর্ষকসহ অন্যান্য আসামীরা আজও ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় পঙ্গু পিতা ও পরিবারের লোকজন হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাগানমাঠ গ্রামের কপিল উদ্দিনের মেয়ে জোনাকী খাতুনকে (১৪) একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪০) ও তার ৩ সহযোগীর সহযোগীতায় জোনাকী খাতুনকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গত ২রা মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৫ দফা ধর্ষণ করে এবং ধর্ষনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে। পরিবার পক্ষ প্রথম ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারলেও লোক লজ্জার ভয়ে ও শিশুটির ভবিষতের কথা চিন্তা করে বিষয়টি গোপন রাখে। পরবর্তীতে লম্পট জহিরুল আবারো তার সহযোগীদের সহযোগীতায় মেয়েটিকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ধারণকৃত ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করার হুমকি দেখিয়ে মেয়েটিকে একের পর এক জিম্মি করে কয়েক দফায় ধর্ষণ করেছে ওই ধর্ষক। সর্বশেষ গত ১৪ জুলাই রাতে ঘর থেকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে বাড়ির পাশে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করায় কতিপয় মাতব্বরগণ গ্রাম্যভাবে একটি শালিস দরবার বসিয়ে ধর্ষক জহিরুলকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। জরিমানা করার পর ওই ধর্ষক জহিরুল ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী জোনাকীসহ তাদের পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি প্রদান করতে থাকে। এ ঘটনায় মেয়ের মা মায়া খাতুন গত ২৮ জুলাই বাদি হয়ে ধর্ষক জহিরুল ইসলাম, সহযোগী ভুট্ট ওরফে ফয়জুল, হারুন ও কাজলের নাম উল্লেখ করে মহেশপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৩৮/২৬১ স্বারক নং ২৬৭৭(৩) /১।
বাদি এবং গ্রামবাসীর দাবি প্রকৃত এজাহারভুক্ত ধর্ষক ও ভিডিও ধারণকারী আসামীকে আটক না করে গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় পুলিশ সন্দেহভাবে ওয়ালিদ হাসান (১৫) নামের এক শিশুকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। অথচ এজাহারে ওয়ালিদ হাসানের নাম কোথাও উল্লেখ নেই। মূল ধর্ষক ও ভিডিও ধারণকারীসহ অন্যান্য আসামীরা গা ঢাকা দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাশাপাশি মামলার বাদিকে মামলা প্রত্যাহারসহ হত্যার হুমকি চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ভুক্তভোগী জোনাকীর পঙ্গু পিতাসহ পরিবারের লোকজন হতাশার মধ্যে পড়ে অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে। এ বিষয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে। এ ব্যাপারে আসামীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে পুলিশ জানান, আসামীরা পলাতক রয়েছে এবং তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ায় গোহট উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মহেশপুরে ধর্ষণের ঘটনা : আসামীরা ধরা ছোয়ার বাইরে

আপডেট সময় : ০৯:৪২:২৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৮

ভুক্তভোগী পরিবারকে হুত্যার হুমকির অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাগানমাঠ গ্রামের কপিল উদ্দিনের মেয়ে জোনাকী খাতুন (১৪) ধর্ষণ মামলার আসামীরা ৩ মাস পার হয়ে গেলেও ধর্ষকসহ অন্যান্য আসামীরা আজও ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় পঙ্গু পিতা ও পরিবারের লোকজন হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাগানমাঠ গ্রামের কপিল উদ্দিনের মেয়ে জোনাকী খাতুনকে (১৪) একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪০) ও তার ৩ সহযোগীর সহযোগীতায় জোনাকী খাতুনকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গত ২রা মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৫ দফা ধর্ষণ করে এবং ধর্ষনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে। পরিবার পক্ষ প্রথম ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারলেও লোক লজ্জার ভয়ে ও শিশুটির ভবিষতের কথা চিন্তা করে বিষয়টি গোপন রাখে। পরবর্তীতে লম্পট জহিরুল আবারো তার সহযোগীদের সহযোগীতায় মেয়েটিকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ধারণকৃত ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করার হুমকি দেখিয়ে মেয়েটিকে একের পর এক জিম্মি করে কয়েক দফায় ধর্ষণ করেছে ওই ধর্ষক। সর্বশেষ গত ১৪ জুলাই রাতে ঘর থেকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে বাড়ির পাশে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করায় কতিপয় মাতব্বরগণ গ্রাম্যভাবে একটি শালিস দরবার বসিয়ে ধর্ষক জহিরুলকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। জরিমানা করার পর ওই ধর্ষক জহিরুল ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী জোনাকীসহ তাদের পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি প্রদান করতে থাকে। এ ঘটনায় মেয়ের মা মায়া খাতুন গত ২৮ জুলাই বাদি হয়ে ধর্ষক জহিরুল ইসলাম, সহযোগী ভুট্ট ওরফে ফয়জুল, হারুন ও কাজলের নাম উল্লেখ করে মহেশপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৩৮/২৬১ স্বারক নং ২৬৭৭(৩) /১।
বাদি এবং গ্রামবাসীর দাবি প্রকৃত এজাহারভুক্ত ধর্ষক ও ভিডিও ধারণকারী আসামীকে আটক না করে গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় পুলিশ সন্দেহভাবে ওয়ালিদ হাসান (১৫) নামের এক শিশুকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। অথচ এজাহারে ওয়ালিদ হাসানের নাম কোথাও উল্লেখ নেই। মূল ধর্ষক ও ভিডিও ধারণকারীসহ অন্যান্য আসামীরা গা ঢাকা দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাশাপাশি মামলার বাদিকে মামলা প্রত্যাহারসহ হত্যার হুমকি চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ভুক্তভোগী জোনাকীর পঙ্গু পিতাসহ পরিবারের লোকজন হতাশার মধ্যে পড়ে অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে। এ বিষয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে। এ ব্যাপারে আসামীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে পুলিশ জানান, আসামীরা পলাতক রয়েছে এবং তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।