ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলামের সাফল্যের এক বছর

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:০০:২০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকেঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলামের সাফল্যের এক বছর অতিবাহিত হয়েছে। তিনি জেলার কোটচাদপুর উপজেলা থেকে সফল নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। নির্ভীক মুক্তিযোদ্ধার এই কন্যা যোগদানের পর থেকে জেলা প্রশাসকদ্বয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সদর উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সমস্ত ক্ষেত্রেই রয়েছে এই কর্মকর্তার পদচারণা। প্রথমেই তিনি নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ শুরু করেন। সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে তিনি নূন্যতম পিছু পা হননি। শুরু করেন বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, বিবাহ বিচ্ছেদ ও স্বামী পরিত্যাক্তা নারীদের সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ, আত্মকর্মসংস্থানে জন্য বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন। কৃষকদের কৃষি জমিতে পোকা-মাকড় রোধে ফেরোমণ ফাঁদ স্থাপন, ভিক্ষুক পূনর্বাসন, নদী ও খালে অবৈধ বাধ অপসারণ, নদী বাঁচাতে কচুরিপানা পরিস্কার, সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল এটেনডেস সিস্টেম চালু, প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে মিড ডে মিল চালু, নারী মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, মুক্তিযোদ্ধা কর্নার স্থাপন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের শতভাগ ঋণ প্রদান ও সঞ্চয় আদায়, মেয়েদের বাইসাইকেল প্রদান, ফরমালীন মুক্ত মাছ বাজার গড়ে তোলা, দীর্ঘদিনের অবহেলিত সদর উপজেলা পরিষদের রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ ও উপজেলা পরিষদ চত্বরকে সুসজ্জিত করে গড়ে তোলাসহ নানাবিধ উন্নয়ণমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন। তিনি সকলের সহযোগীতা নিয়ে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চান বলে দৃঢ প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলামের সাফল্যের এক বছর

আপডেট সময় : ১১:০০:২০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকেঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলামের সাফল্যের এক বছর অতিবাহিত হয়েছে। তিনি জেলার কোটচাদপুর উপজেলা থেকে সফল নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। নির্ভীক মুক্তিযোদ্ধার এই কন্যা যোগদানের পর থেকে জেলা প্রশাসকদ্বয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সদর উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সমস্ত ক্ষেত্রেই রয়েছে এই কর্মকর্তার পদচারণা। প্রথমেই তিনি নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ শুরু করেন। সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে তিনি নূন্যতম পিছু পা হননি। শুরু করেন বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, বিবাহ বিচ্ছেদ ও স্বামী পরিত্যাক্তা নারীদের সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ, আত্মকর্মসংস্থানে জন্য বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন। কৃষকদের কৃষি জমিতে পোকা-মাকড় রোধে ফেরোমণ ফাঁদ স্থাপন, ভিক্ষুক পূনর্বাসন, নদী ও খালে অবৈধ বাধ অপসারণ, নদী বাঁচাতে কচুরিপানা পরিস্কার, সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল এটেনডেস সিস্টেম চালু, প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে মিড ডে মিল চালু, নারী মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, মুক্তিযোদ্ধা কর্নার স্থাপন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের শতভাগ ঋণ প্রদান ও সঞ্চয় আদায়, মেয়েদের বাইসাইকেল প্রদান, ফরমালীন মুক্ত মাছ বাজার গড়ে তোলা, দীর্ঘদিনের অবহেলিত সদর উপজেলা পরিষদের রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ ও উপজেলা পরিষদ চত্বরকে সুসজ্জিত করে গড়ে তোলাসহ নানাবিধ উন্নয়ণমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন। তিনি সকলের সহযোগীতা নিয়ে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চান বলে দৃঢ প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।