শিরোনাম :
Logo আসছে সিফাত নুসরাতের নতুন বই “অগ্নিকন্যা” Logo সনদ ইস্যুসহ দুই দফা দাবিতে ইবি উপাচার্যকে ছাত্রদলের স্মারকলিপি Logo ‘নুরুল হুদার সঙ্গে মব জাস্টিসে দলের কেউ জড়ি‌ত থাকলে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি’ Logo জুবাইদা রহমান ভোটার হচ্ছেন, তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি Logo জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এমন নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা Logo সাবেক সিইসিসহ আ. লীগের ৮ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানালো ডিএমপি Logo মব সৃষ্টিতে পুলিশের ভুল থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিন্দপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর হাই স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান Logo রাবিতে ঐতিহাসিক পলাশী দিবস পালন Logo শেরপুর সরকারি কলেজে এইচএসসি ২০২৫ পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ছেলের কবরের সামনে বাকরুদ্ধ খালেদা জিয়া !

  • আপডেট সময় : ১২:৫১:৩৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:   ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে বাকরুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অপলক দৃষ্টিতে শুধু তাকিয়ে থেকেছেন কিছুক্ষণ।

সন্তান হারানোর বেদনা যে কতটা কষ্টের আর অসহনীয়, তা যেন ওই সময়ের জন্য উপলব্ধি করেছে সেখানকার প্রকৃতিও।

কবরের সামনে গিয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে ছেলের কবর জিয়ারত করেছেন খালেদা জিয়া। পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করে কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি। এ সময় শোকাবহ পরিবেশ চারিদিক ভারী হয়ে ওঠে।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আরাফাত রহমান কোকোর কবরের সামনে যান বিএনপি নেত্রী।

এ সময় তার সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে আরাফাত রহমান কোকোর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দুপুরে শ্রদ্ধা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দুজনেই কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হত দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

১৯৭০ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন দানা বেঁধে উঠছিল, ঠিক ওই সময়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে আরাফাত রহমান কোকো জন্ম নেন।  সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান কোকো। সাত বছর ধরে মালয়েশিয়ায় থাকা কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আসছে সিফাত নুসরাতের নতুন বই “অগ্নিকন্যা”

ছেলের কবরের সামনে বাকরুদ্ধ খালেদা জিয়া !

আপডেট সময় : ১২:৫১:৩৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:   ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে বাকরুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অপলক দৃষ্টিতে শুধু তাকিয়ে থেকেছেন কিছুক্ষণ।

সন্তান হারানোর বেদনা যে কতটা কষ্টের আর অসহনীয়, তা যেন ওই সময়ের জন্য উপলব্ধি করেছে সেখানকার প্রকৃতিও।

কবরের সামনে গিয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে ছেলের কবর জিয়ারত করেছেন খালেদা জিয়া। পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করে কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি। এ সময় শোকাবহ পরিবেশ চারিদিক ভারী হয়ে ওঠে।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আরাফাত রহমান কোকোর কবরের সামনে যান বিএনপি নেত্রী।

এ সময় তার সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে আরাফাত রহমান কোকোর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দুপুরে শ্রদ্ধা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দুজনেই কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হত দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

১৯৭০ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন দানা বেঁধে উঠছিল, ঠিক ওই সময়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে আরাফাত রহমান কোকো জন্ম নেন।  সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান কোকো। সাত বছর ধরে মালয়েশিয়ায় থাকা কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।