শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার Logo আবারও রাফাহ থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের Logo জাপানে মেগা ভূমিকম্পের আশঙ্কা, মারা যেতে পারে ৩ লাখ মানুষ Logo ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ট্রেন-বাস স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের চাপ Logo দুই অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, সতর্ক সংকেত

লামায় এক ছাত্রীর আত্মহত্যা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:১৫:৩৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ জুন ২০১৮
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

মো. ফরিদ উদ্দিন, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: নতুন জামা ও জুতার আবদার পূরণ না করায় ও বাবার মারধরের কারণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে উর্মি আকতার (১৫)। সে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বাম হাতির ছড়া এলাকার আবুল খায়ের মিস্ত্রি প্রকাশ খায়রুল বশর (৪৫) এর মেয়ে ও হায়দারনাশী মোহাম্মদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। সোমবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা জানিয়েছেন, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় জানতে পারি মেয়েটিকে তার পরিবারের লোকজন দাফন করে ফেলছে। খবর পেয়ে আমি এসআই কৃষ্ণ কুমার দাস, কামাল উদ্দিন ও সঙ্গীয় পুলিশ সদস্য নিয়ে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে উপেক্ষা করে দ্রত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সারা রাত ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করি ও প্রাথমিক সুরহাতাল রিপোর্ট শেষে লাশ নিয়ে ভোরে লামা থানায় ফিরে আসি। সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই বিষয়ে লামা থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। মামলা নং- ০৮, তারিখ- ১২ জুন ২০১৮ইং।
জানা গেছে, উর্মি আকতার পার্শ্ববর্তী গুলিস্থান বাজারে জনৈক নজীর আহাম্মদের কাপড়ের দোকানে নতুন জামা ও জুতা পছন্দ করে। দোকানদার দাম হাঁকায় ১ হাজার ২শত টাকা। সোমবার সন্ধ্যায় মেয়েটি বাবার কাছে টাকা চাইলে টাকা না দেয়ায় ও মান-অভিমানের এক পর্যায়ে মেয়েকে মারধর করে। এতে অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগায় মেয়েটি। মূমূর্ষ অবস্থায় দ্রæত তাকে গুলিস্থান বাজারে মা-মনি ফার্মেসিতে নিয়ে যায় ভাই ও মা। মা-মনি ফার্মেসির পল্লী চিকিৎসক মো. শাহজাহান উর্মিকে দ্রæত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে মালুমঘাট হাসপাতালে নিলে সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি দ্রæত ধামাচাপা দিতে রাতেই মেয়েটিকে করব দেয়ার সকল আয়োজন করে তার পরিবার। নিহতের গলায় দাগ ও দুই কানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
পল্লী চিকিৎসক মো. শাহজাহান বলেন, রাত সাড়ে ৭টায় যখন মেয়েটির ভাই ও মা তাকে আমার ফার্মেসিতে এনেছিল তখন তার রক্তের শিরা চলছিল কিন্তু মেয়েটি অজ্ঞান ছিল।
ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, মেয়েটির পরিবার লাশটি গোপনে দাফন করতে চেয়েছিল। উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দু রহিম ও আমাকে পর্যন্ত কিছু জানাইনি। রাত ২ টায় লামা থানার অফিসার ইনচার্জ এর ফোনে বিষয়টি জানতে পারি।

ট্যাগস :

কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা

লামায় এক ছাত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৮:১৫:৩৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ জুন ২০১৮

মো. ফরিদ উদ্দিন, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: নতুন জামা ও জুতার আবদার পূরণ না করায় ও বাবার মারধরের কারণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে উর্মি আকতার (১৫)। সে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বাম হাতির ছড়া এলাকার আবুল খায়ের মিস্ত্রি প্রকাশ খায়রুল বশর (৪৫) এর মেয়ে ও হায়দারনাশী মোহাম্মদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। সোমবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা জানিয়েছেন, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় জানতে পারি মেয়েটিকে তার পরিবারের লোকজন দাফন করে ফেলছে। খবর পেয়ে আমি এসআই কৃষ্ণ কুমার দাস, কামাল উদ্দিন ও সঙ্গীয় পুলিশ সদস্য নিয়ে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে উপেক্ষা করে দ্রত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সারা রাত ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করি ও প্রাথমিক সুরহাতাল রিপোর্ট শেষে লাশ নিয়ে ভোরে লামা থানায় ফিরে আসি। সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই বিষয়ে লামা থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। মামলা নং- ০৮, তারিখ- ১২ জুন ২০১৮ইং।
জানা গেছে, উর্মি আকতার পার্শ্ববর্তী গুলিস্থান বাজারে জনৈক নজীর আহাম্মদের কাপড়ের দোকানে নতুন জামা ও জুতা পছন্দ করে। দোকানদার দাম হাঁকায় ১ হাজার ২শত টাকা। সোমবার সন্ধ্যায় মেয়েটি বাবার কাছে টাকা চাইলে টাকা না দেয়ায় ও মান-অভিমানের এক পর্যায়ে মেয়েকে মারধর করে। এতে অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগায় মেয়েটি। মূমূর্ষ অবস্থায় দ্রæত তাকে গুলিস্থান বাজারে মা-মনি ফার্মেসিতে নিয়ে যায় ভাই ও মা। মা-মনি ফার্মেসির পল্লী চিকিৎসক মো. শাহজাহান উর্মিকে দ্রæত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে মালুমঘাট হাসপাতালে নিলে সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি দ্রæত ধামাচাপা দিতে রাতেই মেয়েটিকে করব দেয়ার সকল আয়োজন করে তার পরিবার। নিহতের গলায় দাগ ও দুই কানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
পল্লী চিকিৎসক মো. শাহজাহান বলেন, রাত সাড়ে ৭টায় যখন মেয়েটির ভাই ও মা তাকে আমার ফার্মেসিতে এনেছিল তখন তার রক্তের শিরা চলছিল কিন্তু মেয়েটি অজ্ঞান ছিল।
ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, মেয়েটির পরিবার লাশটি গোপনে দাফন করতে চেয়েছিল। উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দু রহিম ও আমাকে পর্যন্ত কিছু জানাইনি। রাত ২ টায় লামা থানার অফিসার ইনচার্জ এর ফোনে বিষয়টি জানতে পারি।