রোগ সারাতে সঙ্গীত!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৩৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মনে অবসাদ? কিছুই ভালো লাগে না? সম্পর্কে তিক্ততা? চেপে ধরছে রোগ? ওষুধ একটাই। সঙ্গীত। সঙ্গীতেই নাকি উধাও হবে রোগ।
স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের দাবি, সঙ্গীতে জাদু আছে। শরীরের জন্মগত রোগ সারাতে সঙ্গীত বা মিউজিক থেরাপির কোনও বিকল্প নেই।

তারা বলছেন, সঙ্গীতে মস্তিষ্কের অকেজো কোষগুলি ক্ষণিকের জন্য হলেও স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। শরীরকে চনমনে ও মনকে সুন্দর রাখতেও গান অপরিহার্য। নিয়মিত ২৫ মিনিট গান শুনলে ব্যাক পেইন অন্যত্র পাড়ি জমায়। পাওয়া যায় প্রশান্তির ঘুম।

ডেনমার্কের আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মেজাজ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে মিউজিক। মস্তিষ্কের ডোপামিনের প্রভাবেই এই ঘটনা ঘটে। এই ডোপামিনকে নিয়ন্ত্রণ করে মিউজিক। উচ্চ রক্তচাপ, ডিপ্রেশন, ঘুমে জড়তা বা  স্মৃতি লোপের মতো অসুখ সারাতে মিউজিকের বিকল্প নেই। মস্তিষ্কের পেশি স্বাভাবিক রাখে। ফলে, স্ট্রোকের কারণে লোপ পাওয়া বাকশক্তি ফিরে পেতে এবং পারকিনসন্স রোগ থেকে ধীরে ধীরে আরোগ্য লাভ করা যায়।

এ ছাড়া সিজোফ্রেনিয়া, অ্যামনেসিয়া, ডিমেনসিয়া, অ্যালঝাইমার্স রোগের দুর্দান্ত ওষুধ মিউজিক। গর্ভবতী মায়েরা নিয়মিত গান শুনলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সুন্দর হয়।
গবেষকদের দাবি, গান শোনার পর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পড়ার আগ্রহ বাড়ে; মনোযোগ এবং দক্ষতাও বাড়ে। অটিজম আক্রান্ত শিশুর চিকিত্সায় মিউজিক থেরাপির জুড়ি নেই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রোগ সারাতে সঙ্গীত!

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৩৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মনে অবসাদ? কিছুই ভালো লাগে না? সম্পর্কে তিক্ততা? চেপে ধরছে রোগ? ওষুধ একটাই। সঙ্গীত। সঙ্গীতেই নাকি উধাও হবে রোগ।
স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের দাবি, সঙ্গীতে জাদু আছে। শরীরের জন্মগত রোগ সারাতে সঙ্গীত বা মিউজিক থেরাপির কোনও বিকল্প নেই।

তারা বলছেন, সঙ্গীতে মস্তিষ্কের অকেজো কোষগুলি ক্ষণিকের জন্য হলেও স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। শরীরকে চনমনে ও মনকে সুন্দর রাখতেও গান অপরিহার্য। নিয়মিত ২৫ মিনিট গান শুনলে ব্যাক পেইন অন্যত্র পাড়ি জমায়। পাওয়া যায় প্রশান্তির ঘুম।

ডেনমার্কের আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মেজাজ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে মিউজিক। মস্তিষ্কের ডোপামিনের প্রভাবেই এই ঘটনা ঘটে। এই ডোপামিনকে নিয়ন্ত্রণ করে মিউজিক। উচ্চ রক্তচাপ, ডিপ্রেশন, ঘুমে জড়তা বা  স্মৃতি লোপের মতো অসুখ সারাতে মিউজিকের বিকল্প নেই। মস্তিষ্কের পেশি স্বাভাবিক রাখে। ফলে, স্ট্রোকের কারণে লোপ পাওয়া বাকশক্তি ফিরে পেতে এবং পারকিনসন্স রোগ থেকে ধীরে ধীরে আরোগ্য লাভ করা যায়।

এ ছাড়া সিজোফ্রেনিয়া, অ্যামনেসিয়া, ডিমেনসিয়া, অ্যালঝাইমার্স রোগের দুর্দান্ত ওষুধ মিউজিক। গর্ভবতী মায়েরা নিয়মিত গান শুনলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সুন্দর হয়।
গবেষকদের দাবি, গান শোনার পর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পড়ার আগ্রহ বাড়ে; মনোযোগ এবং দক্ষতাও বাড়ে। অটিজম আক্রান্ত শিশুর চিকিত্সায় মিউজিক থেরাপির জুড়ি নেই।