গুরুদাসপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৭:১২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৬ জুন ২০১৮
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে
ক্রাইম রিপোর্টারঃ নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কুমারখালি চরাপাড়া গ্রামে তিন ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে।
বুধবার(৬ই জুন) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের ভেকু কন্ট্রাকটর আব্দুল কাদেরের ভেকু দ্বারা কুমারখালি গ্রামের প্রভাবশালী মসলেম উদ্দিন চরাপাড়া মাঠের তিন ফসলি তিনবিঘা জমিতে পুকুর খনন অব্যাহত রেখেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, পুকুর খননে ইউএনও সাহেবের অনুমতিপত্র রয়েছে। কিন্তু তিনি সেটা দেখাতে সক্ষম হননি। তিনি দম্ভ ভরে বলেন, পুকুর খনন করে ওই মাটি কাটার ভিটা তৈরি করে জামাই মেয়েকে বাড়ি করে দিচ্ছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনির হোসেনের সামনে ওই পুকুর খননের ভিডিও চিত্র তুলে ধরলে তিনি জানান, ইউএনও কোন পুকুর খননের অনুমতি দেয়ার এখতিয়ার রাখেন না।
তিনি তাৎক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) গণপতি রায়কে ওই পুকুর খনন বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে ওই পুকুর খনন বন্ধ করার জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগেও কুমারখালি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কথিত মসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্মসূচির আওতায় এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়ার নামে আবেদনকারী গ্রাহকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ট্যাগস :

গুরুদাসপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন

আপডেট সময় : ০৯:৫৭:১২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৬ জুন ২০১৮
ক্রাইম রিপোর্টারঃ নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কুমারখালি চরাপাড়া গ্রামে তিন ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে।
বুধবার(৬ই জুন) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের ভেকু কন্ট্রাকটর আব্দুল কাদেরের ভেকু দ্বারা কুমারখালি গ্রামের প্রভাবশালী মসলেম উদ্দিন চরাপাড়া মাঠের তিন ফসলি তিনবিঘা জমিতে পুকুর খনন অব্যাহত রেখেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, পুকুর খননে ইউএনও সাহেবের অনুমতিপত্র রয়েছে। কিন্তু তিনি সেটা দেখাতে সক্ষম হননি। তিনি দম্ভ ভরে বলেন, পুকুর খনন করে ওই মাটি কাটার ভিটা তৈরি করে জামাই মেয়েকে বাড়ি করে দিচ্ছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনির হোসেনের সামনে ওই পুকুর খননের ভিডিও চিত্র তুলে ধরলে তিনি জানান, ইউএনও কোন পুকুর খননের অনুমতি দেয়ার এখতিয়ার রাখেন না।
তিনি তাৎক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) গণপতি রায়কে ওই পুকুর খনন বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে ওই পুকুর খনন বন্ধ করার জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগেও কুমারখালি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কথিত মসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্মসূচির আওতায় এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়ার নামে আবেদনকারী গ্রাহকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।