শিরোনাম :
Logo সাবেক সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সভাপতি ছেলুন জোয়ার্দ্দার আর নেই Logo বিশ্বব্যাপী দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা দিলো ইসরায়েল Logo ইরানে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিল বাংলাদেশ Logo ‘কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সরবরাহের সম্ভাবনা নেই’ Logo ‘ইসরায়েল আন্তর্জাতিক নীতিমালা ভঙ্গ করেছে, বিশ্ব ঝুঁকিতে’ Logo বাংলাদেশ আর কোনো বিদেশি প্রভুর ইশারায় চলবে না: গোলাম পরওয়ার Logo ইরানে ইসরায়েলের বিমান হামলায় জামায়াতের তীব্র নিন্দা Logo যে কোনো সময় দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: আমীর খসরু Logo রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে: ড. ইউনূস Logo বাংলাদেশের মানুষের মাঝে ইসলামী গণজাগরণ সৃষ্টি হচ্ছে মাওলানা মাকসুদুর রহমান

সেন্টমার্টিনে দেশী-বিদেশী পর্যটকরা ‘হতাশ’ : দেখা মিলেনি শেষ সুর্যাস্ত ও চাঁদনী রাত !

  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩ জানুয়ারি ২০১৮
  • ৭৯৬ বার পড়া হয়েছে

জিয়াবুল হক, টেকনাফ :
হঠাৎ করে বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ সেন্টমার্টিনদ্বীপে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করতে যাওয়া দেশী-বিদেশী পর্যটকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। ৩১ ডিসেম্বর ও গতকাল ২ জানুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেন্টমার্টিনদ্বীপসহ টেকনাফ উপজেলার সর্বত্র গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। অথচ প্রকৃতির অপরূপ মায়াবী সেন্টমার্টিনদ্বীপে এবারে ‘থার্টি ফাস্ট নাইটে’ বোনাস হিসাবে সৌভাগ্যক্রমে মিলেছিল ‘পূর্ণিমার চাঁদনী রাত’। যা সাধারণতঃ মিলেনা। গত ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সেন্টমার্টিনদ্বীপে প্রতি বছরের ন্যায় বর্ষ বরণের মিলন মেলা বসার আয়োজন ছিল। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দ্বীপের খোলা নীল আকাশে প্রত্যক্ষ করার কথা ছিল ২০১৭ খ্রীস্টাব্দের শেষ সুর্যাস্ত। শত শত পর্যটক দ্বীপে দুই দিন ধরে রাত্রী যাপন করেও হতাশ হয়ে টেকনাফে ফিরতে হয়েছ।
জানা যায়, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ টেকনাফ সেন্টমার্টিনে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে গত কয়েক দিন ধরে পর্যটকের ঢল নেমেছিল। এদের মধ্যে প্রেমিক জুটি, টিনএজ ও নব দম্পতির সংখ্যা বেশী। বিদেশী পর্যটকের সংখ্যাও কম নয়। প্রতিদিন ৭টি পর্যটকবাহী জাহাজ এবং কাঠের ট্রলারে ৩ হাজারেরও বেশী দেশী-বিদেশী পর্যটক সেন্টমার্টিনদ্বীপে যান। গত কয়েক দিন ধরে ফিরতি জাহাজ ছিল একেবারে ফাঁকা। সকলেই চাঁদনী রাতে সেন্টমার্টিনে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনের জন্য অবস্থান করেছিল। সেন্টমার্টিনদ্বীপে শতাধিক আবাসিক হোটেল-মোটেল ও কটেজ রয়েছে। সবই অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকবাহী জাহাজগুলোরও একই অবস্থা। গত কয়েক দিন ধরেই দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত সেন্টমার্টিনদ্বীপ। কোথাও ঠাই নেই অবস্থা চলছে।
সেন্টমার্টিনদ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ ২ জানুয়ারী রাত ৭ টার দিক বলেন, সেন্টমাটিন ‘দ্বীপে দেশী-বিদেশী পর্যটক থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন আসছি। এবারে প্রচুর সংখ্যক দেশী-বিদেশী পর্যটক থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন ও বর্ষ বরণের আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশে দ্বীপে সমবেত হয়। হোটেণ ব্লু মেরিণ রিসোর্ট, লাবিবা বিলাসসহ কয়েকটি হোটেলে বড় বড় পার্টিরা অনুষ্টানের আয়োজন করেছিল। ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পরে দ্বীপের সৈকতে বেশ কিছু ফটকা ফোটানো হয়েছে। কিন্ত বৃষ্টির কারণে সৈকতে পর্যটকদের পদচারণা তেমন একটা দেখা যাচ্ছেনা। নিরাপদে দ্বীপে ভ্রমণ করতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এখনও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চাঁদের দেখা মিলছেনা। সব মিলে পর্যটকরা ‘হতাশ’ হয়ে পড়েছেন’।
উল্লেখ্য, ২ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাত ৭ টায় এরিপোর্ট লেখার সময়ও সেন্টমার্টিনদ্বীপসহ টেকনাফ উপজেলার সর্বত্র আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।

 

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সভাপতি ছেলুন জোয়ার্দ্দার আর নেই

সেন্টমার্টিনে দেশী-বিদেশী পর্যটকরা ‘হতাশ’ : দেখা মিলেনি শেষ সুর্যাস্ত ও চাঁদনী রাত !

আপডেট সময় : ১১:৪৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩ জানুয়ারি ২০১৮

জিয়াবুল হক, টেকনাফ :
হঠাৎ করে বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ সেন্টমার্টিনদ্বীপে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করতে যাওয়া দেশী-বিদেশী পর্যটকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। ৩১ ডিসেম্বর ও গতকাল ২ জানুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেন্টমার্টিনদ্বীপসহ টেকনাফ উপজেলার সর্বত্র গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। অথচ প্রকৃতির অপরূপ মায়াবী সেন্টমার্টিনদ্বীপে এবারে ‘থার্টি ফাস্ট নাইটে’ বোনাস হিসাবে সৌভাগ্যক্রমে মিলেছিল ‘পূর্ণিমার চাঁদনী রাত’। যা সাধারণতঃ মিলেনা। গত ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সেন্টমার্টিনদ্বীপে প্রতি বছরের ন্যায় বর্ষ বরণের মিলন মেলা বসার আয়োজন ছিল। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দ্বীপের খোলা নীল আকাশে প্রত্যক্ষ করার কথা ছিল ২০১৭ খ্রীস্টাব্দের শেষ সুর্যাস্ত। শত শত পর্যটক দ্বীপে দুই দিন ধরে রাত্রী যাপন করেও হতাশ হয়ে টেকনাফে ফিরতে হয়েছ।
জানা যায়, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ টেকনাফ সেন্টমার্টিনে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে গত কয়েক দিন ধরে পর্যটকের ঢল নেমেছিল। এদের মধ্যে প্রেমিক জুটি, টিনএজ ও নব দম্পতির সংখ্যা বেশী। বিদেশী পর্যটকের সংখ্যাও কম নয়। প্রতিদিন ৭টি পর্যটকবাহী জাহাজ এবং কাঠের ট্রলারে ৩ হাজারেরও বেশী দেশী-বিদেশী পর্যটক সেন্টমার্টিনদ্বীপে যান। গত কয়েক দিন ধরে ফিরতি জাহাজ ছিল একেবারে ফাঁকা। সকলেই চাঁদনী রাতে সেন্টমার্টিনে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনের জন্য অবস্থান করেছিল। সেন্টমার্টিনদ্বীপে শতাধিক আবাসিক হোটেল-মোটেল ও কটেজ রয়েছে। সবই অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকবাহী জাহাজগুলোরও একই অবস্থা। গত কয়েক দিন ধরেই দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত সেন্টমার্টিনদ্বীপ। কোথাও ঠাই নেই অবস্থা চলছে।
সেন্টমার্টিনদ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ ২ জানুয়ারী রাত ৭ টার দিক বলেন, সেন্টমাটিন ‘দ্বীপে দেশী-বিদেশী পর্যটক থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন আসছি। এবারে প্রচুর সংখ্যক দেশী-বিদেশী পর্যটক থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন ও বর্ষ বরণের আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশে দ্বীপে সমবেত হয়। হোটেণ ব্লু মেরিণ রিসোর্ট, লাবিবা বিলাসসহ কয়েকটি হোটেলে বড় বড় পার্টিরা অনুষ্টানের আয়োজন করেছিল। ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পরে দ্বীপের সৈকতে বেশ কিছু ফটকা ফোটানো হয়েছে। কিন্ত বৃষ্টির কারণে সৈকতে পর্যটকদের পদচারণা তেমন একটা দেখা যাচ্ছেনা। নিরাপদে দ্বীপে ভ্রমণ করতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এখনও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চাঁদের দেখা মিলছেনা। সব মিলে পর্যটকরা ‘হতাশ’ হয়ে পড়েছেন’।
উল্লেখ্য, ২ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাত ৭ টায় এরিপোর্ট লেখার সময়ও সেন্টমার্টিনদ্বীপসহ টেকনাফ উপজেলার সর্বত্র আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।