‘অবসরে’ শচীনের ১০ নম্বর জার্সি!‌

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:১৩:২২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৭
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

‘১০’ সংখ্যাটার আলাদা এক মাহাত্ম্য আছে। আলাদা কদরও আছে।
ফুটবলে ‘১০’ নম্বর জার্সির গুণ এমনই যে, নামগুলো বললেই এমনিই মাথা নুইয়ে যায়। কী সব নাম!‌ পেলে, প্লাতিনি, ম্যারাদোনা, মেসি!‌ ক্রিকেটেও ‘১০’-কে উপেক্ষা করার স্পর্ধা কারও হয়নি। কারণ চব্বিশ বছর ধরে গোটা বিশ্বকে যিনি শাসন করেছেন, তারও জার্সির নম্বর ছিল ‘১০’। শচীন রমেশ টেন্ডুলকার।

মাস্টার ব্লাস্টারকে শ্রদ্ধা, সেলাম- দুই-ই জানাতে অভিনব এক উদ্যোগ নিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। বিসিসিআই সরকারিভাবে না হলেও, ‘১০’ নম্বর জার্সিটিকে অবসরে পাঠিয়ে দিল। শচীন তার এই ১০ নম্বর জার্সিটি শেষবার পরেছিলেন ২০১২’র মার্চে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্যারিয়ারের শেষ একদিনের ম্যাচে খেলার সময়। তারপর প্রায় ৫ বছর কেউ এই জার্সিটি পরেননি।

হঠাৎ করে গত বছর আগস্টে মুম্বাইয়ের জোরে বোলার শার্দুল ঠাকুরকে দেখা যায় ‘১০’ নম্বর জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন। যা মানতে পারেননি কেউ। সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্টের ঝড় বয়ে যায়।

বোর্ড এবং শার্দুল ঠাকুরকে কটাক্ষ করা হয়। কেউ কেউ তো বলে বসেন, ‘আরে দ্বিতীয় শচীন হতে চাইছে নাকি?‌’ শার্দুল নিজের তরফে একটা যুক্তি খাড়া করেছিলেন বটে। কিন্তু সেটা কারও মনে ধরেছে বলে নয়। তাই বিসিসিআই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে এগিয়েছে।

উল্লেখ্য, শচীনের অবসরের পর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ওই জার্সি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বোর্ড এই জার্সি তুলে রাখার বিষয়ে দলের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কথা বলেছে। তারাও ওই নম্বরের জার্সি তুলে রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন। ‌

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘অবসরে’ শচীনের ১০ নম্বর জার্সি!‌

আপডেট সময় : ০৫:১৩:২২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

‘১০’ সংখ্যাটার আলাদা এক মাহাত্ম্য আছে। আলাদা কদরও আছে।
ফুটবলে ‘১০’ নম্বর জার্সির গুণ এমনই যে, নামগুলো বললেই এমনিই মাথা নুইয়ে যায়। কী সব নাম!‌ পেলে, প্লাতিনি, ম্যারাদোনা, মেসি!‌ ক্রিকেটেও ‘১০’-কে উপেক্ষা করার স্পর্ধা কারও হয়নি। কারণ চব্বিশ বছর ধরে গোটা বিশ্বকে যিনি শাসন করেছেন, তারও জার্সির নম্বর ছিল ‘১০’। শচীন রমেশ টেন্ডুলকার।

মাস্টার ব্লাস্টারকে শ্রদ্ধা, সেলাম- দুই-ই জানাতে অভিনব এক উদ্যোগ নিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। বিসিসিআই সরকারিভাবে না হলেও, ‘১০’ নম্বর জার্সিটিকে অবসরে পাঠিয়ে দিল। শচীন তার এই ১০ নম্বর জার্সিটি শেষবার পরেছিলেন ২০১২’র মার্চে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্যারিয়ারের শেষ একদিনের ম্যাচে খেলার সময়। তারপর প্রায় ৫ বছর কেউ এই জার্সিটি পরেননি।

হঠাৎ করে গত বছর আগস্টে মুম্বাইয়ের জোরে বোলার শার্দুল ঠাকুরকে দেখা যায় ‘১০’ নম্বর জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন। যা মানতে পারেননি কেউ। সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্টের ঝড় বয়ে যায়।

বোর্ড এবং শার্দুল ঠাকুরকে কটাক্ষ করা হয়। কেউ কেউ তো বলে বসেন, ‘আরে দ্বিতীয় শচীন হতে চাইছে নাকি?‌’ শার্দুল নিজের তরফে একটা যুক্তি খাড়া করেছিলেন বটে। কিন্তু সেটা কারও মনে ধরেছে বলে নয়। তাই বিসিসিআই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে এগিয়েছে।

উল্লেখ্য, শচীনের অবসরের পর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ওই জার্সি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বোর্ড এই জার্সি তুলে রাখার বিষয়ে দলের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কথা বলেছে। তারাও ওই নম্বরের জার্সি তুলে রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন। ‌