কাহারোলের গর্ব তনুশ্রী রায় মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেল

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৩:১৩:০১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

SAMSUNG CAMERA PICTURES

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের কাহারোলের গর্ব তনুশ্রী রায় ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে মেরিট স্কোর ২৭২ ও মেরিট পজিশন ২১১৯ অবস্থান থেকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
কাহারোল উপজেলার ২নং রসুলপুর ইউনিয়নের খোশালপুর গ্রামের কৃষক গণপতি রায়ের কন্যা তনুশ্রী রায়ের সাথে কথা বললে সে জানায়, আমি কাহারোল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস,এস,সি’তে জিপিএ-৫ এবং দিনাজপুর সরকারী কলেজ থেকে এইচ,এস,সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্যের সহিত উত্তীর্ণ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাটেনারী বিষয়ে লেখাপড়া করিতেছিলাম। দ্বিতীয় বার এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়ে আমি অনেক গর্বিত। কিন্তু আমার পিতা দরিদ্র হওয়ার কারণে আমি খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। আমার লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে আমার পিতা হিমসিম খাচ্ছে।
তনুশ্রী রায়ের পিতা শ্রী গণপতি রায়ের সাথে কথা বললে তিনি অশ্রু নয়নে বলেন আমার ৩ টি সন্তান, ২ মেয়ে ১ ছেলে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার পিছনে আমি প্রায় নিস্বঃ। আমার মেয়ে মেডিকেলে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়ে আমি খুব আনন্দিত, কিন্তু আমি সামান্য ৪/৫ টা গাভী পালন করে দুধ বিক্রি করে ও মাঝে মাঝে আমিন গিরির কাজ করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ বহন করি। এমতাবস্থায় তনুশ্রী’র মেডিকেলে ভর্তি ও পড়ার খরচ বহন করা আমার পক্ষে একেবারে অসম্ভব।
এ সময় তনুশ্রী রায় সকলের কাছে আর্শিবাদ কামনা করে বলেন, আমি যেন ভালভাবে মেডিকেলে লেখাপড়া করে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতে পারি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কাহারোলের গর্ব তনুশ্রী রায় মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেল

আপডেট সময় : ০৩:১৩:০১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০১৭

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের কাহারোলের গর্ব তনুশ্রী রায় ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে মেরিট স্কোর ২৭২ ও মেরিট পজিশন ২১১৯ অবস্থান থেকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
কাহারোল উপজেলার ২নং রসুলপুর ইউনিয়নের খোশালপুর গ্রামের কৃষক গণপতি রায়ের কন্যা তনুশ্রী রায়ের সাথে কথা বললে সে জানায়, আমি কাহারোল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস,এস,সি’তে জিপিএ-৫ এবং দিনাজপুর সরকারী কলেজ থেকে এইচ,এস,সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্যের সহিত উত্তীর্ণ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাটেনারী বিষয়ে লেখাপড়া করিতেছিলাম। দ্বিতীয় বার এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়ে আমি অনেক গর্বিত। কিন্তু আমার পিতা দরিদ্র হওয়ার কারণে আমি খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। আমার লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে আমার পিতা হিমসিম খাচ্ছে।
তনুশ্রী রায়ের পিতা শ্রী গণপতি রায়ের সাথে কথা বললে তিনি অশ্রু নয়নে বলেন আমার ৩ টি সন্তান, ২ মেয়ে ১ ছেলে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার পিছনে আমি প্রায় নিস্বঃ। আমার মেয়ে মেডিকেলে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়ে আমি খুব আনন্দিত, কিন্তু আমি সামান্য ৪/৫ টা গাভী পালন করে দুধ বিক্রি করে ও মাঝে মাঝে আমিন গিরির কাজ করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ বহন করি। এমতাবস্থায় তনুশ্রী’র মেডিকেলে ভর্তি ও পড়ার খরচ বহন করা আমার পক্ষে একেবারে অসম্ভব।
এ সময় তনুশ্রী রায় সকলের কাছে আর্শিবাদ কামনা করে বলেন, আমি যেন ভালভাবে মেডিকেলে লেখাপড়া করে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতে পারি।