যেখানে সমুদ্রের তলায় অক্টোপাসদের ‘শহর’ নির্মাণ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:১৮:৩৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পানির নিচে সম্পূর্ণ একটি শহর। বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট সবই যেন ছবির মতো সাজানো।
কিন্তু শহর তৈরির কৃতিত্ব মানুষের নয়। এই শহর তৈরির কারিগর অক্টোপাসরা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গ্লুমি অক্টোপাসরাই তৈরি করেছে এই আশ্চর্য শহর। এই অক্টোপাসদের বিজ্ঞানসম্মত নাম অক্টোপাস টেট্রিকাস।

শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে সমুদ্রের নীচে এই আস্ত শহরটি তৈরি করেছে অক্টোপাসরা। পানির নিচে এই লুকিয়ে থাকা আশ্চর্যটি আবিষ্কার করেন শিকাগোর ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।

এর আগে ২০০৯ সালে প্রথম অক্টোপাসদের তৈরি এমন ‘শহর’-এর দেখা মিলেছিল। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন ‘শহর’-এর দেখা মিলল। নতুন এই ‘শহর’টি আগেরটির থেকে কয়েকশো মিটার দূরে। পানির উপরিতল থেকে প্রায় ১০-১৫ মিটার নীচে নতুন এই শহর ‘অক্টলান্টিস’।

জানা গেছে, পুরো ‘শহর’টি দৈর্ঘ্যে ১৮ মিটার এবং প্রস্থে ৪ মিটার। পাথর, বালি, শিকার করা প্রাণীর দেহাবশেষ দিয়ে তৈরি গোটা ‘শহর’টি। মোট ১৩টি অক্টোপাসের বাস এই ‘শহর’-এ। পুরো এলাকাটির উপর নজরদারি চালানোর জন্য চারটি ক্যামেরা লাগিয়ে টানা ১০ ঘণ্টা রেকর্ডিং করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। ‘শহর’টিতে বসবাসকারী অক্টোপাসদের মধ্যে রীতিমতো সামাজিক ব্যবহার লক্ষ্য করেছেন বলে দাবি তাদের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যেখানে সমুদ্রের তলায় অক্টোপাসদের ‘শহর’ নির্মাণ !

আপডেট সময় : ০৫:১৮:৩৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পানির নিচে সম্পূর্ণ একটি শহর। বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট সবই যেন ছবির মতো সাজানো।
কিন্তু শহর তৈরির কৃতিত্ব মানুষের নয়। এই শহর তৈরির কারিগর অক্টোপাসরা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গ্লুমি অক্টোপাসরাই তৈরি করেছে এই আশ্চর্য শহর। এই অক্টোপাসদের বিজ্ঞানসম্মত নাম অক্টোপাস টেট্রিকাস।

শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে সমুদ্রের নীচে এই আস্ত শহরটি তৈরি করেছে অক্টোপাসরা। পানির নিচে এই লুকিয়ে থাকা আশ্চর্যটি আবিষ্কার করেন শিকাগোর ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।

এর আগে ২০০৯ সালে প্রথম অক্টোপাসদের তৈরি এমন ‘শহর’-এর দেখা মিলেছিল। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন ‘শহর’-এর দেখা মিলল। নতুন এই ‘শহর’টি আগেরটির থেকে কয়েকশো মিটার দূরে। পানির উপরিতল থেকে প্রায় ১০-১৫ মিটার নীচে নতুন এই শহর ‘অক্টলান্টিস’।

জানা গেছে, পুরো ‘শহর’টি দৈর্ঘ্যে ১৮ মিটার এবং প্রস্থে ৪ মিটার। পাথর, বালি, শিকার করা প্রাণীর দেহাবশেষ দিয়ে তৈরি গোটা ‘শহর’টি। মোট ১৩টি অক্টোপাসের বাস এই ‘শহর’-এ। পুরো এলাকাটির উপর নজরদারি চালানোর জন্য চারটি ক্যামেরা লাগিয়ে টানা ১০ ঘণ্টা রেকর্ডিং করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। ‘শহর’টিতে বসবাসকারী অক্টোপাসদের মধ্যে রীতিমতো সামাজিক ব্যবহার লক্ষ্য করেছেন বলে দাবি তাদের।