যেখানে ১৮০০ বছর আগের প্রাচীন লিপিতে শূন্যের ব্যবহার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:৩৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সঠিকভাবে হিসাব-নিকাশের কাজটি করার জন্য জিরো বা শূন্যর ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা শূন্য ব্যবহারের প্রাচীনতম রেকর্ডের সন্ধান পেয়েছেন।
এতে শূন্য হিসেবে ‘ডট’ ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, শূন্য ব্যবহারের যে সময়টিকে এতদিন সূচনা হিসেবে ধরা হয়েছিল, সেটি আসলে সঠিক ছিল না। তারও পাঁচশ বছর আগে শূন্য ব্যবহার শুরু হয়েছিল। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বডলেইয়ান লাইব্রেরির গবেষকরা কার্বন ডেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে সেই ভারতীয় বিখ্যাত লিপির বয়স নির্ণয় করেছেন। ’

বার্চ বাকলের ওপর লিপিটি পাকিস্তানের পেশোয়ারের নিকটবর্তী বাকশালী গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় ১৮৮১ সালে। এটি ১৯০২ সাল থেকে বডলেইয়ান লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে। গবেষকরা বলছেন, বার্চ বাকলের ওপর প্রাচীন লেখাগুলোতে বিষয়টি পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যায়, শূন্যকে নিজস্ব একটি সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অংকের প্রফেসর মার্কাস ডি স্যাউটয় বলেন, আমরা জানি এটি ভারতের তৃতীয় শতকের কথা, যখন ভারতীয় গণিতবিদরা এমন একটি বিষয়ের সূচনা করেছিলেন যা পরবর্তীতে আধুনিক বিশ্বের মৌলিক বিষয় হয়ে ওঠে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যেখানে ১৮০০ বছর আগের প্রাচীন লিপিতে শূন্যের ব্যবহার !

আপডেট সময় : ১২:৫৪:৩৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সঠিকভাবে হিসাব-নিকাশের কাজটি করার জন্য জিরো বা শূন্যর ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা শূন্য ব্যবহারের প্রাচীনতম রেকর্ডের সন্ধান পেয়েছেন।
এতে শূন্য হিসেবে ‘ডট’ ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, শূন্য ব্যবহারের যে সময়টিকে এতদিন সূচনা হিসেবে ধরা হয়েছিল, সেটি আসলে সঠিক ছিল না। তারও পাঁচশ বছর আগে শূন্য ব্যবহার শুরু হয়েছিল। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বডলেইয়ান লাইব্রেরির গবেষকরা কার্বন ডেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে সেই ভারতীয় বিখ্যাত লিপির বয়স নির্ণয় করেছেন। ’

বার্চ বাকলের ওপর লিপিটি পাকিস্তানের পেশোয়ারের নিকটবর্তী বাকশালী গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় ১৮৮১ সালে। এটি ১৯০২ সাল থেকে বডলেইয়ান লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে। গবেষকরা বলছেন, বার্চ বাকলের ওপর প্রাচীন লেখাগুলোতে বিষয়টি পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যায়, শূন্যকে নিজস্ব একটি সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অংকের প্রফেসর মার্কাস ডি স্যাউটয় বলেন, আমরা জানি এটি ভারতের তৃতীয় শতকের কথা, যখন ভারতীয় গণিতবিদরা এমন একটি বিষয়ের সূচনা করেছিলেন যা পরবর্তীতে আধুনিক বিশ্বের মৌলিক বিষয় হয়ে ওঠে।