ডোকলাম ইস্যুতে ভারতের শিক্ষা নেওয়া উচিত: চীনা সেনাবাহিনী

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:২৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভারত-চীনের যৌথ উদ্যোগে ডোকলাম বিবাদ অবশেষে সমাধানের পথ খুঁজে পেল। যদিও চীন সহজে সরে দাঁড়াবে না।

চীনা সেনা সমাধানের পথকে স্বাগত জানালেও, ভারতকে উপদেশ দিতে পিছপা হয়নি। সূত্রের খবর, চীনা সেনার সিনিয়র কর্ণেল ইউ শিয়ান জানিয়েছেন, এই বিবাদের নিষ্পত্তি হওয়ায় তিনি খুশি, তবে এই বিষয়টির থেকে ভারতের শিক্ষা নেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, তাদের লক্ষ্য যৌথভাবে কাজ করা এবং শান্তি বজায় রাখা।

প্রসঙ্গত, কয়েক দশক পর ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘাত এতটা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। গত ১৬ জুন থেকে ডোকলাম সীমান্তে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল দুই দেশের সেনাবাহিনী। প্রত্যেক দেশের অন্তত ৩০০ সেনাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল বিতর্কিত ওই সীমান্তে। বারবার যুদ্ধের হুমকিও দিতে শুরু করেছিল চীন। প্রতিনিয়ত চীনা সংবাদমাধ্যমে ভারতকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছিল। তবে কোন দেশই সেনা সরাতে রাজি ছিল না। বরং ক্রমশ সেনার বহর বাড়াচ্ছিল ভারত। এর মধ্যে আবার গত ১৫ অগাস্ট লাদাখের প্যাংগং লেকে সংঘর্ষ হয় ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর।

ডোকলাম ইস্যুতে চীনকে দায়ী করে ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, স্থিতাবস্থা বজায় না রাখার জন্য এটা চীনের একটা পদক্ষেপ। সমস্যা মিটে গেলেও অদূর ভবিষ্যতে যে এমন ঘটনা আবারও ঘটতে পারে চীন, এমনটাও বার্তা দিয়েছেন তিনি। সেনা সদস্যদের সতর্ক করে বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘হয়ত এই সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু তার মানে এই নয়ন যে, এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না। তাই সেনাবাহিনীর উদ্দেশে আমি বলব যাতে তারা সীমান্তে কড়া পাহারায় থাকে।

সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ডোকলাম ইস্যুতে ভারতের শিক্ষা নেওয়া উচিত: চীনা সেনাবাহিনী

আপডেট সময় : ১১:৩৬:২৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভারত-চীনের যৌথ উদ্যোগে ডোকলাম বিবাদ অবশেষে সমাধানের পথ খুঁজে পেল। যদিও চীন সহজে সরে দাঁড়াবে না।

চীনা সেনা সমাধানের পথকে স্বাগত জানালেও, ভারতকে উপদেশ দিতে পিছপা হয়নি। সূত্রের খবর, চীনা সেনার সিনিয়র কর্ণেল ইউ শিয়ান জানিয়েছেন, এই বিবাদের নিষ্পত্তি হওয়ায় তিনি খুশি, তবে এই বিষয়টির থেকে ভারতের শিক্ষা নেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, তাদের লক্ষ্য যৌথভাবে কাজ করা এবং শান্তি বজায় রাখা।

প্রসঙ্গত, কয়েক দশক পর ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘাত এতটা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। গত ১৬ জুন থেকে ডোকলাম সীমান্তে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল দুই দেশের সেনাবাহিনী। প্রত্যেক দেশের অন্তত ৩০০ সেনাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল বিতর্কিত ওই সীমান্তে। বারবার যুদ্ধের হুমকিও দিতে শুরু করেছিল চীন। প্রতিনিয়ত চীনা সংবাদমাধ্যমে ভারতকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছিল। তবে কোন দেশই সেনা সরাতে রাজি ছিল না। বরং ক্রমশ সেনার বহর বাড়াচ্ছিল ভারত। এর মধ্যে আবার গত ১৫ অগাস্ট লাদাখের প্যাংগং লেকে সংঘর্ষ হয় ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর।

ডোকলাম ইস্যুতে চীনকে দায়ী করে ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, স্থিতাবস্থা বজায় না রাখার জন্য এটা চীনের একটা পদক্ষেপ। সমস্যা মিটে গেলেও অদূর ভবিষ্যতে যে এমন ঘটনা আবারও ঘটতে পারে চীন, এমনটাও বার্তা দিয়েছেন তিনি। সেনা সদস্যদের সতর্ক করে বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘হয়ত এই সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু তার মানে এই নয়ন যে, এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না। তাই সেনাবাহিনীর উদ্দেশে আমি বলব যাতে তারা সীমান্তে কড়া পাহারায় থাকে।

সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।