শিরোনাম :
Logo খুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রমিন, সাধারণ সম্পাদক মিরাজ Logo পঞ্চগড়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন। Logo বিজয়ীর উদ্যোগে হুইল চেয়ার পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিবন্ধী Logo জাবি সাংবাদিককে হুমকি ও চাপ প্রয়োগের ঘটনায় ইবিসাসের নিন্দা ও প্রতিবাদ Logo চুয়াডাঙ্গায় টিকটকারের জুয়ার প্রচারণার বিরুদ্ধে সাদিকুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন Logo যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই Logo যুদ্ধ হলে ভারতের রাজ্য পাঞ্জাবই দাঁড়াবে পাকিস্তানের পাশে, মোদিকে কঠোর হুঁশিয়ারি Logo কাশ্মীর নিয়ে ‘আগুনে ঘি’ ঢালল বিবিসি, উত্তপ্ত বার্তা ভারতের Logo প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত Logo রাজনৈতিক দলের ঠিকানা চশমার দোকান, মাদরাসা, ঠিকাদারি অফিস

বিলাসবহুল গাড়িতে করে চুরি করতে যেত যে চোর !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:১১:৪৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অনেকেই বলেন, ‘চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা’। আর সেই সাথে যদি থাকে পরনে ব্র্যান্ডেড পোশাক, হাতে দামি মোবাইল আর চুরি করতে যাওয়ার সময় বিলাসবহুল সেডান গাড়ি তাহলে তাকে ‘সুপার চোর’ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।

এমনই এক চোরকে দিল্লির পিতমপুরা থেকে আটক করে পুলিশ।

তার নাম সিদ্ধার্থ মেহরোত্র। ২৭ বছরের সিদ্ধার্থ এক প্রাক্তন ব্যাংককর্মীর ছেলে। দক্ষিণ দিল্লির বসন্তকুঞ্জ এলাকায় গত ১০ মাস ধরে শুধুমাত্র মন্ত্রী, আমলা এবং রাজনীতিকদের ঘরেই চুরি করেছেন সিদ্ধার্থ।

জানা যায়, গত ১৫ অাগস্ট দিল্লির পিতমপুরা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দুই শাগরেদকেও। জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছেন তাঁরা। সিদ্ধার্থ পুলিশকে বলেন, ‘বেছে বেছে শুধুমাত্র মন্ত্রী, আমলা এবং রাজনীতিকদেরই ঘরেই সিঁধ কাটতাম। ‘

এ ব্যাপারে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অনেক ভেবে অভিজাত বসন্তকুঞ্জ এলাকাকে বেছে নিয়েছিল সিদ্ধার্থ। তার চালচলন একেবারেই চোরের মতো ছিল না। বিলাসবহুল সিডান গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। পরেন দামি ব্যান্ডেড জামা। তাই তাঁকে দেখে কারো মনে সন্দেহ জাগেনি। যে বাড়িগুলোতে আলো জ্বলত না  সে গুলোকেই টার্গেট করতেন তাঁরা। প্রথমে কলিং বেল বাজাতেন। বাড়ির কেউ দরজা খুলতে এলে, ভুল ঠিকানা এসে পড়েছেন বলে বাহানা দেখিয়ে সরে পড়তেন। কিন্তু একাধিকবার বেল বাজানোর পরও কেউ বেরিয়ে না এলে বাড়িতে কেউ নেই বলে বুঝে যেতেন তাঁরা। তখনই শুরু হতো অপারেশন। লুট করে দিতেন টাকা-পয়সা, অলঙ্কার।

এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রথম সিদ্ধার্থ মেহরোত্রার কাজকর্মের খোঁজ পায় পুলিশ। তবে তাঁর নাগাল পেতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়। এর আগে ২০১৫ সালে নয়ডা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। অনলাইন সার্চ এঞ্জিন গুগলের মাধ্যমে সেই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য হাতে পায় পুলিশ। তারপর সিদ্ধার্থের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মেলে। ১৫ অাগস্ট পিতমপুরার একটি রিসর্টে ছুটি কাটাচ্ছিলেন তিনি। ফাঁদ পেতে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় উদ্ধার হয়েছে ১১টি সোনার চেন, ৪টি আংটি, ৮ জোড়া কানের দুল, ২টি বালা, ২০০ মার্কিন ডলার, ইন্দোনেশিয়ার ১ লক্ষ রুপিয়া, নেপালের ২০ টাকা, ১টি ৪২ ইঞ্চির স্যামসাং এলইডি টিভি, সোনি প্লে স্টেশন , ভিআর প্লেয়ার, ১টি ল্যাপটপ, এবং ১টি টিসট ঘড়ি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রমিন, সাধারণ সম্পাদক মিরাজ

বিলাসবহুল গাড়িতে করে চুরি করতে যেত যে চোর !

আপডেট সময় : ০১:১১:৪৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

অনেকেই বলেন, ‘চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা’। আর সেই সাথে যদি থাকে পরনে ব্র্যান্ডেড পোশাক, হাতে দামি মোবাইল আর চুরি করতে যাওয়ার সময় বিলাসবহুল সেডান গাড়ি তাহলে তাকে ‘সুপার চোর’ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।

এমনই এক চোরকে দিল্লির পিতমপুরা থেকে আটক করে পুলিশ।

তার নাম সিদ্ধার্থ মেহরোত্র। ২৭ বছরের সিদ্ধার্থ এক প্রাক্তন ব্যাংককর্মীর ছেলে। দক্ষিণ দিল্লির বসন্তকুঞ্জ এলাকায় গত ১০ মাস ধরে শুধুমাত্র মন্ত্রী, আমলা এবং রাজনীতিকদের ঘরেই চুরি করেছেন সিদ্ধার্থ।

জানা যায়, গত ১৫ অাগস্ট দিল্লির পিতমপুরা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দুই শাগরেদকেও। জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছেন তাঁরা। সিদ্ধার্থ পুলিশকে বলেন, ‘বেছে বেছে শুধুমাত্র মন্ত্রী, আমলা এবং রাজনীতিকদেরই ঘরেই সিঁধ কাটতাম। ‘

এ ব্যাপারে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অনেক ভেবে অভিজাত বসন্তকুঞ্জ এলাকাকে বেছে নিয়েছিল সিদ্ধার্থ। তার চালচলন একেবারেই চোরের মতো ছিল না। বিলাসবহুল সিডান গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। পরেন দামি ব্যান্ডেড জামা। তাই তাঁকে দেখে কারো মনে সন্দেহ জাগেনি। যে বাড়িগুলোতে আলো জ্বলত না  সে গুলোকেই টার্গেট করতেন তাঁরা। প্রথমে কলিং বেল বাজাতেন। বাড়ির কেউ দরজা খুলতে এলে, ভুল ঠিকানা এসে পড়েছেন বলে বাহানা দেখিয়ে সরে পড়তেন। কিন্তু একাধিকবার বেল বাজানোর পরও কেউ বেরিয়ে না এলে বাড়িতে কেউ নেই বলে বুঝে যেতেন তাঁরা। তখনই শুরু হতো অপারেশন। লুট করে দিতেন টাকা-পয়সা, অলঙ্কার।

এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রথম সিদ্ধার্থ মেহরোত্রার কাজকর্মের খোঁজ পায় পুলিশ। তবে তাঁর নাগাল পেতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়। এর আগে ২০১৫ সালে নয়ডা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। অনলাইন সার্চ এঞ্জিন গুগলের মাধ্যমে সেই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য হাতে পায় পুলিশ। তারপর সিদ্ধার্থের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মেলে। ১৫ অাগস্ট পিতমপুরার একটি রিসর্টে ছুটি কাটাচ্ছিলেন তিনি। ফাঁদ পেতে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় উদ্ধার হয়েছে ১১টি সোনার চেন, ৪টি আংটি, ৮ জোড়া কানের দুল, ২টি বালা, ২০০ মার্কিন ডলার, ইন্দোনেশিয়ার ১ লক্ষ রুপিয়া, নেপালের ২০ টাকা, ১টি ৪২ ইঞ্চির স্যামসাং এলইডি টিভি, সোনি প্লে স্টেশন , ভিআর প্লেয়ার, ১টি ল্যাপটপ, এবং ১টি টিসট ঘড়ি।