শিরোনাম :
Logo খুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রমিন, সাধারণ সম্পাদক মিরাজ Logo পঞ্চগড়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন। Logo বিজয়ীর উদ্যোগে হুইল চেয়ার পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিবন্ধী Logo জাবি সাংবাদিককে হুমকি ও চাপ প্রয়োগের ঘটনায় ইবিসাসের নিন্দা ও প্রতিবাদ Logo চুয়াডাঙ্গায় টিকটকারের জুয়ার প্রচারণার বিরুদ্ধে সাদিকুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন Logo যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই Logo যুদ্ধ হলে ভারতের রাজ্য পাঞ্জাবই দাঁড়াবে পাকিস্তানের পাশে, মোদিকে কঠোর হুঁশিয়ারি Logo কাশ্মীর নিয়ে ‘আগুনে ঘি’ ঢালল বিবিসি, উত্তপ্ত বার্তা ভারতের Logo প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত Logo রাজনৈতিক দলের ঠিকানা চশমার দোকান, মাদরাসা, ঠিকাদারি অফিস

যা পায় তাই খায় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:১৩:০১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৬ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চলতি বছর দশে পা দেওয়া ছোট্ট শিশু ক্যাডেন বেঞ্জামিন। বসবাস দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্যান্ডারটন। যে বয়সে একটি শিশু তার স্বভাবসুলভ দুরান্তপনায় ঘর মাতিয়ে রাখার কথা, সেই বয়সে বেঞ্জামিনকে সারাক্ষণ বন্দি থাকতে হয় চার দেয়ালের মাঝে। কারণ প্রেডার উইলি সিনড্রোম নামক এক দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত সে।

বিরল এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে বেঞ্জামিনের শরীরে দেখা দিয়েছে দুটি ভয়াবহ সমস্যা। প্রথমটি হলো রাক্ষুসে ক্ষুধা। তার ক্ষুধার তীব্রতা এতটাই বেশি যে তা রূপকথার রাক্ষসকেও হার মানায়।

কারণ দশ বছর বয়সি একটি স্বাভাবিক শিশুর যেখানে দিনে চার থেকে পাঁচ বার খাওয়ার চাহিদা জাগে সেখানে বেঞ্জামিনের সারাক্ষণ ক্ষুধা লেগেই থাকে এবং ক্ষুধা পেলে সে টয়লেট পেপার, কাগজ থেকে শুরু করে ময়লা-আবর্জনা যা সামনে পায় তাই খেয়ে ফেলে। বিশেষ করে যে কোনো ধরনের কাগজ খাওয়াটা তার কাছে নেশার মতো।

সকালের নাস্তায় চারটি পনির টোস্ট, কোকাকোলা এবং রাতের বেঁচে যাওয়া বাসি খাবার দিয়ে তার দিন শুরু হয়। এরপর দুপুরে দুটি বড় সাইজের মুরগি এবং দিনের বাকি সময় সে কিছু না কিছু খেতেই থাকে। তার এই তীব্র ক্ষুধা নিবারণে রীতিমতো  হিমশিম খেতে হয় বাবা-মাকে।

বেঞ্জামিনের দ্বিতীয় সমস্যা স্থূলতা। মাত্র দশ বছরেই তার ওজন নব্বই কেজি। অতিরিক্ত ওজনের কারণে আর দশটা স্বাভাবিক শিশুর মতো হাঁটা-চলা তো দূরের কথা, তাকে নিঃশ্বাস নিতে হয় কৃত্রিম নলের সাহায্যে। ফলে ধীরে ধীরে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও হয়ে উঠেছে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর।

দূর্বিষহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে শিশু বেঞ্জামিন যেমন তার জীবনের প্রতিটি দিন পার করছে তেমনি বিষাদময় হয়ে উঠেছে তার পিতা-মাতার জীবন। প্রিয় পুত্রকে বাঁচাতে ছুটে যাচ্ছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। কিন্তু কোথাও মিলছে না সমাধান।

ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিসেস বেঞ্জামিন বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন প্রতিটি দিন হয়ে উঠেছে যুদ্ধের মতো। আদরের সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখার যুদ্ধ। বেঞ্জামিন আর দশটা স্বাভাবিক শিশুর মতো খেলতে চায়। কিন্তু শারীরিক অক্ষমতার কারণে সে তা পারে না। মা হয়ে এই যন্ত্রণাময় দৃশ্য আমাকে দেখতে হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রমিন, সাধারণ সম্পাদক মিরাজ

যা পায় তাই খায় !

আপডেট সময় : ০১:১৩:০১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৬ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

চলতি বছর দশে পা দেওয়া ছোট্ট শিশু ক্যাডেন বেঞ্জামিন। বসবাস দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্যান্ডারটন। যে বয়সে একটি শিশু তার স্বভাবসুলভ দুরান্তপনায় ঘর মাতিয়ে রাখার কথা, সেই বয়সে বেঞ্জামিনকে সারাক্ষণ বন্দি থাকতে হয় চার দেয়ালের মাঝে। কারণ প্রেডার উইলি সিনড্রোম নামক এক দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত সে।

বিরল এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে বেঞ্জামিনের শরীরে দেখা দিয়েছে দুটি ভয়াবহ সমস্যা। প্রথমটি হলো রাক্ষুসে ক্ষুধা। তার ক্ষুধার তীব্রতা এতটাই বেশি যে তা রূপকথার রাক্ষসকেও হার মানায়।

কারণ দশ বছর বয়সি একটি স্বাভাবিক শিশুর যেখানে দিনে চার থেকে পাঁচ বার খাওয়ার চাহিদা জাগে সেখানে বেঞ্জামিনের সারাক্ষণ ক্ষুধা লেগেই থাকে এবং ক্ষুধা পেলে সে টয়লেট পেপার, কাগজ থেকে শুরু করে ময়লা-আবর্জনা যা সামনে পায় তাই খেয়ে ফেলে। বিশেষ করে যে কোনো ধরনের কাগজ খাওয়াটা তার কাছে নেশার মতো।

সকালের নাস্তায় চারটি পনির টোস্ট, কোকাকোলা এবং রাতের বেঁচে যাওয়া বাসি খাবার দিয়ে তার দিন শুরু হয়। এরপর দুপুরে দুটি বড় সাইজের মুরগি এবং দিনের বাকি সময় সে কিছু না কিছু খেতেই থাকে। তার এই তীব্র ক্ষুধা নিবারণে রীতিমতো  হিমশিম খেতে হয় বাবা-মাকে।

বেঞ্জামিনের দ্বিতীয় সমস্যা স্থূলতা। মাত্র দশ বছরেই তার ওজন নব্বই কেজি। অতিরিক্ত ওজনের কারণে আর দশটা স্বাভাবিক শিশুর মতো হাঁটা-চলা তো দূরের কথা, তাকে নিঃশ্বাস নিতে হয় কৃত্রিম নলের সাহায্যে। ফলে ধীরে ধীরে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও হয়ে উঠেছে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর।

দূর্বিষহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে শিশু বেঞ্জামিন যেমন তার জীবনের প্রতিটি দিন পার করছে তেমনি বিষাদময় হয়ে উঠেছে তার পিতা-মাতার জীবন। প্রিয় পুত্রকে বাঁচাতে ছুটে যাচ্ছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। কিন্তু কোথাও মিলছে না সমাধান।

ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিসেস বেঞ্জামিন বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন প্রতিটি দিন হয়ে উঠেছে যুদ্ধের মতো। আদরের সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখার যুদ্ধ। বেঞ্জামিন আর দশটা স্বাভাবিক শিশুর মতো খেলতে চায়। কিন্তু শারীরিক অক্ষমতার কারণে সে তা পারে না। মা হয়ে এই যন্ত্রণাময় দৃশ্য আমাকে দেখতে হয়।