সুদ ও মুনাফা সম্পর্কে ইসলাম কী বলে ?

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:১৭:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

প্রশ্ন : সুদ ও মুনাফার পার্থক্য কিছু উদাহরণ দিয়ে বোঝালে একটু ভালো হয়।

উত্তর : কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা বেচাকেনাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যে লেনদেনে বেচাকেনার সম্পৃক্ততা আছে, লেনদেনের মধ্যে লাভ-লোকসান উভয়েরই সম্পৃক্ততা আছে, সেটা দ্বারা যে উপকার অর্জিত হয়, সেটাই মুনাফা। ‘মুনাফা’ শব্দটি একটি ব্যাপক শব্দ। যেকোনো উপকারকে মুনাফা বলা হয়। আপনার কোনো ভালো কাজের বিপরীতে অন্য একটি কাজ কেউ করে দিলে সেটাও মুনাফা।

কিন্তু সুদ একটা সুনির্দিষ্ট অঙ্কের সঙ্গে জড়িত। সেটা হচ্ছে, আপনি টাকা জমা দিলেন পাঁচ লাখ, মাসের শেষে পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা নিলেন, সেটাই হচ্ছে সুদ। টাকার বিনিময়ে বেশি টাকা নেওয়া।

যে জিনিসটা মুনাফা, যেটা শরিয়তে অনুমোদিত, সেটা হচ্ছে একজনের টাকা। যেমন : আপনার টাকা আমি নিয়ে ব্যবসা করব, সেখানে লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে আপনাকে কিছু লাভ দেবো এবং লোকসান হলে সেটার ভাগও আপনাকে নিতে হবে। সেটা চুক্তি হতে হবে, লিখিত হতে হবে, প্রত্যেকের জানাশোনা হতে হবে, অন্ধকারে রাখা যাবে না এবং লিখিত হতে হবে এইভাবে যে, লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে আপনাকে নিতে হবে। আমি টাকা দিলাম আপনি ব্যবসা করবেন, লাভ হলে দুজনে একটা নির্দিষ্ট অংশ নেব এবং লোকসান হলেও দুজনকেই তা বহন করতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কার্নিশে ঝুলে থাকা ছাত্রকে গুলি: তদন্ত শেষ পর্যায়ে

সুদ ও মুনাফা সম্পর্কে ইসলাম কী বলে ?

আপডেট সময় : ০২:১৭:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

প্রশ্ন : সুদ ও মুনাফার পার্থক্য কিছু উদাহরণ দিয়ে বোঝালে একটু ভালো হয়।

উত্তর : কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা বেচাকেনাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যে লেনদেনে বেচাকেনার সম্পৃক্ততা আছে, লেনদেনের মধ্যে লাভ-লোকসান উভয়েরই সম্পৃক্ততা আছে, সেটা দ্বারা যে উপকার অর্জিত হয়, সেটাই মুনাফা। ‘মুনাফা’ শব্দটি একটি ব্যাপক শব্দ। যেকোনো উপকারকে মুনাফা বলা হয়। আপনার কোনো ভালো কাজের বিপরীতে অন্য একটি কাজ কেউ করে দিলে সেটাও মুনাফা।

কিন্তু সুদ একটা সুনির্দিষ্ট অঙ্কের সঙ্গে জড়িত। সেটা হচ্ছে, আপনি টাকা জমা দিলেন পাঁচ লাখ, মাসের শেষে পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা নিলেন, সেটাই হচ্ছে সুদ। টাকার বিনিময়ে বেশি টাকা নেওয়া।

যে জিনিসটা মুনাফা, যেটা শরিয়তে অনুমোদিত, সেটা হচ্ছে একজনের টাকা। যেমন : আপনার টাকা আমি নিয়ে ব্যবসা করব, সেখানে লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে আপনাকে কিছু লাভ দেবো এবং লোকসান হলে সেটার ভাগও আপনাকে নিতে হবে। সেটা চুক্তি হতে হবে, লিখিত হতে হবে, প্রত্যেকের জানাশোনা হতে হবে, অন্ধকারে রাখা যাবে না এবং লিখিত হতে হবে এইভাবে যে, লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে আপনাকে নিতে হবে। আমি টাকা দিলাম আপনি ব্যবসা করবেন, লাভ হলে দুজনে একটা নির্দিষ্ট অংশ নেব এবং লোকসান হলেও দুজনকেই তা বহন করতে হবে।