মরুভূমির বাসিন্দাদের কাছে এক জনপ্রিয় খাবার বিশেষ গোসাপ প্রজাতির প্রাণী সান্ডা। একে শুধু ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবেই নয়, বরং প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সৌদি আরবের বেদুইন জনগোষ্ঠীর মধ্যে বহু শতাব্দী ধরে এই প্রাণীটি শিকার করে খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। মাংসকে অনেকে শক্তিবর্ধক হিসেবে বিবেচনা করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রাণীর তেল যা ‘সান্ডা তেল’ নামে পরিচিত। এটি যৌন শক্তি বৃদ্ধির ওষুধ হিসেবে বাজারে চাহিদা পেয়েছে।
যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রাণীর কিছু উপকারিতার দাবি রয়েছে তবে তার সবটাই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। তাছাড়া অতিরিক্ত শিকার করলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
তবে স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সান্ডার প্রতি সৌদি নাগরিকদের আগ্রহ এখনো বহাল রয়েছে—খাদ্য হোক কিংবা চিকিৎসা, মরুভূমির এই প্রাণীটি যেন হয়ে উঠেছে এক নতুন আলোচনার বিষয়।
আগে মরুর বেদুইনরা এবং মরু অঞ্চলের মানুষ এই প্রাণী শিকার করে এবং মাংস খেলেও সম্প্রতি আরবদের কাছে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটির মাংস দিলদার খাবার বা ‘পুরুষত্ব বাড়ায়’—এমন বিশ্বাস রয়েছে।
যদিও সৌদিতে এই প্রাণিটি শিকার বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। মরুভূমি থেকে সান্ডা ধরার অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।