শিরোনাম :
Logo গলায় ফাঁস দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা Logo শেরপুরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য আন্দোলনে যাচ্ছে শেরপুর প্রেসক্লাব Logo ইবির সেন্ট্রাল ল্যাবে অতিরিক্ত ফি নির্ধারণ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ Logo “আত্মহত্যা” শুধু একটি শর্ট ফিল্ম নয় একটি বার্তাও Logo বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি’র নির্বাচন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগে মতবিনিময় Logo বেরোবিতে চালু হচ্ছে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন Logo ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র Logo ছুটির তিন দিনে ৩ দলের সমাবেশ Logo ফ্যাসিস্ট সমর্থকদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে প্রশাসক নিয়োগের পরামর্শ রিজভীর Logo ‘বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’-বলা অসুস্থ নিজামের পাশে তারেক রহমান

সৌদিদের কাছে ‘দিলদার খাবার’ সান্ডা, জনপ্রিয়তা বাড়ছে পাকিস্তানেও

মরুভূমির বাসিন্দাদের কাছে এক জনপ্রিয় খাবার বিশেষ গোসাপ প্রজাতির প্রাণী সান্ডা। একে শুধু ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবেই নয়, বরং প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের বেদুইন জনগোষ্ঠীর মধ্যে বহু শতাব্দী ধরে এই প্রাণীটি শিকার করে খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। মাংসকে অনেকে শক্তিবর্ধক হিসেবে বিবেচনা করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রাণীর তেল যা ‘সান্ডা তেল’ নামে পরিচিত। এটি যৌন শক্তি বৃদ্ধির ওষুধ হিসেবে বাজারে চাহিদা পেয়েছে।

যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রাণীর কিছু উপকারিতার দাবি রয়েছে তবে তার সবটাই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। তাছাড়া অতিরিক্ত শিকার করলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

তবে স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সান্ডার প্রতি সৌদি নাগরিকদের আগ্রহ এখনো বহাল রয়েছে—খাদ্য হোক কিংবা চিকিৎসা, মরুভূমির এই প্রাণীটি যেন হয়ে উঠেছে এক নতুন আলোচনার বিষয়।

আগে মরুর বেদুইনরা এবং মরু অঞ্চলের মানুষ এই প্রাণী শিকার করে এবং মাংস খেলেও সম্প্রতি আরবদের কাছে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটির মাংস দিলদার খাবার বা ‘পুরুষত্ব বাড়ায়’—এমন বিশ্বাস রয়েছে।

যদিও সৌদিতে এই প্রাণিটি শিকার বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। মরুভূমি থেকে সান্ডা ধরার অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গলায় ফাঁস দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা

সৌদিদের কাছে ‘দিলদার খাবার’ সান্ডা, জনপ্রিয়তা বাড়ছে পাকিস্তানেও

আপডেট সময় : ০৪:৪১:১৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

মরুভূমির বাসিন্দাদের কাছে এক জনপ্রিয় খাবার বিশেষ গোসাপ প্রজাতির প্রাণী সান্ডা। একে শুধু ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবেই নয়, বরং প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের বেদুইন জনগোষ্ঠীর মধ্যে বহু শতাব্দী ধরে এই প্রাণীটি শিকার করে খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। মাংসকে অনেকে শক্তিবর্ধক হিসেবে বিবেচনা করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রাণীর তেল যা ‘সান্ডা তেল’ নামে পরিচিত। এটি যৌন শক্তি বৃদ্ধির ওষুধ হিসেবে বাজারে চাহিদা পেয়েছে।

যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রাণীর কিছু উপকারিতার দাবি রয়েছে তবে তার সবটাই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। তাছাড়া অতিরিক্ত শিকার করলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

তবে স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সান্ডার প্রতি সৌদি নাগরিকদের আগ্রহ এখনো বহাল রয়েছে—খাদ্য হোক কিংবা চিকিৎসা, মরুভূমির এই প্রাণীটি যেন হয়ে উঠেছে এক নতুন আলোচনার বিষয়।

আগে মরুর বেদুইনরা এবং মরু অঞ্চলের মানুষ এই প্রাণী শিকার করে এবং মাংস খেলেও সম্প্রতি আরবদের কাছে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটির মাংস দিলদার খাবার বা ‘পুরুষত্ব বাড়ায়’—এমন বিশ্বাস রয়েছে।

যদিও সৌদিতে এই প্রাণিটি শিকার বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। মরুভূমি থেকে সান্ডা ধরার অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।