শিরোনাম :
Logo রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু, আসন প্রতি লড়ছেন ৫১ ভর্তিচ্ছু Logo রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত Logo চুয়াডাঙ্গার মুন্সীপুর সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ Logo ইন্টারন্যাশনাল ভেটেরিনারি স্টুডেন্ট’স এসোসিয়েশন হাবিপ্রবির নতুন কমিটি গঠন Logo জবিতে সাইকেল চোর সন্দেহে যুবক আটক ৮ শিক্ষার্থীকে ৫০হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ Logo ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১৬তম আসর ২৫ এপ্রিল Logo গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি: প্রেস সচিব Logo মির্জা ফখরুলের সাথে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস’র প্রতিনিধি দলের বৈঠক Logo ‘বিএনপিকে পাশ কাটাতেই নির্বাচন বিলম্ব করছে সরকার’ Logo সংস্কার ও হাসিনার বিচারের আগে কোনো নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

সংস্কার কেন ভোটাধিকার আর গণতন্ত্রের বিকল্প হবে, প্রশ্ন রিজভীর

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৫৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭১২ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন তুলেছেন, সংস্কার কেন ভোটাধিকার আর গণতন্ত্রের বিকল্প হবে? যে ভোটাধিকারের জন্য ১৫ থেকে ১৬ বছর সংগ্রাম করেছি, সেই ভোটাধিকার কেন বিলম্বিত হচ্ছে? তিনি বলেন, সেটা নিয়ে কেন এত কথা হচ্ছে? কেন নির্বাচন ও ভোটাধিকারের বিকল্প হিসেবে সংস্কারকে দাঁড় করানো হচ্ছে?

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে এমন প্রশ্ন তোলেন রিজভী। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘ইলিয়াস আলী গুম প্রতিরোধ কমিটি’।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ভোট, নির্বাচন ও ভোটাধিকারের কথা বললে সরকার আরও কিছু কথা বিকল্প হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে। গণতন্ত্র মানেই তো নির্বাচন। গণতন্ত্র মানেই তো ন্যায়বিচার। সেগুলো নিয়ে কি করছেন?

ক্ষোভ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে ৬০ লাখ মামলা। আট মাস ক্ষমতায় আছেন, এসব মামলা তো প্রত্যাহার করা যেত। এর জন্য কিছুই করেননি। আজও কেন আদালতের বারান্দায় ঘুরে বেড়াতে হবে?’

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের নির্বাচনী ওয়াদা ডিসেম্বর আর জুনের মধ্যে পেন্ডুলামের মতো দোল খাচ্ছে কেন? অন্তর্বর্তী সরকারকে এটার জবাব দেওয়া দরকার।

রিজভী বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমরা চেয়েছি, আমাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। আমরা চেয়েছি, আইনের শাসন নিশ্চিত করা। অন্তর্বর্তী সরকারকেই জায়গাটি নিশ্চিত করা দরকার।’

এসময় রিজভী আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অবদানকে আমরা স্বীকার করি। কিন্তু এটা যদি এ রকম হয় যে তাদের কথায় প্রশাসন চলবে, সব সরকারি কর্মকাণ্ড হবে—এটাকে বলে নৈরাজ্য। এই নৈরাজ্য কেন হবে? ডিসি-এসপিরা বলেন, এখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বলে গেছেন, এভাবে করা যাবে না। তাহলে জনপ্রশাসন কেন?’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু, আসন প্রতি লড়ছেন ৫১ ভর্তিচ্ছু

সংস্কার কেন ভোটাধিকার আর গণতন্ত্রের বিকল্প হবে, প্রশ্ন রিজভীর

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৫৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন তুলেছেন, সংস্কার কেন ভোটাধিকার আর গণতন্ত্রের বিকল্প হবে? যে ভোটাধিকারের জন্য ১৫ থেকে ১৬ বছর সংগ্রাম করেছি, সেই ভোটাধিকার কেন বিলম্বিত হচ্ছে? তিনি বলেন, সেটা নিয়ে কেন এত কথা হচ্ছে? কেন নির্বাচন ও ভোটাধিকারের বিকল্প হিসেবে সংস্কারকে দাঁড় করানো হচ্ছে?

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে এমন প্রশ্ন তোলেন রিজভী। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘ইলিয়াস আলী গুম প্রতিরোধ কমিটি’।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ভোট, নির্বাচন ও ভোটাধিকারের কথা বললে সরকার আরও কিছু কথা বিকল্প হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে। গণতন্ত্র মানেই তো নির্বাচন। গণতন্ত্র মানেই তো ন্যায়বিচার। সেগুলো নিয়ে কি করছেন?

ক্ষোভ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে ৬০ লাখ মামলা। আট মাস ক্ষমতায় আছেন, এসব মামলা তো প্রত্যাহার করা যেত। এর জন্য কিছুই করেননি। আজও কেন আদালতের বারান্দায় ঘুরে বেড়াতে হবে?’

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের নির্বাচনী ওয়াদা ডিসেম্বর আর জুনের মধ্যে পেন্ডুলামের মতো দোল খাচ্ছে কেন? অন্তর্বর্তী সরকারকে এটার জবাব দেওয়া দরকার।

রিজভী বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমরা চেয়েছি, আমাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। আমরা চেয়েছি, আইনের শাসন নিশ্চিত করা। অন্তর্বর্তী সরকারকেই জায়গাটি নিশ্চিত করা দরকার।’

এসময় রিজভী আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অবদানকে আমরা স্বীকার করি। কিন্তু এটা যদি এ রকম হয় যে তাদের কথায় প্রশাসন চলবে, সব সরকারি কর্মকাণ্ড হবে—এটাকে বলে নৈরাজ্য। এই নৈরাজ্য কেন হবে? ডিসি-এসপিরা বলেন, এখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বলে গেছেন, এভাবে করা যাবে না। তাহলে জনপ্রশাসন কেন?’