ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলাধীন ১নং গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন গাছ নিয়মবহির্ভূত ভাবে কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া যায়। গত ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ বাউন্ডারির মধ্যে থাকা নাড়িকেল গাছ, সুপারি গাছ ও অন্য একটি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে ইউপি সদস্য কবির হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন খন্দকারের বিরুদ্ধে। তারা সরকারি নিয়ম না মেনেই ক্ষমাতার দাপটে ইউনিয়ন পরিষদের গাছ কেটে ফেলছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এ বিষয় ১নং গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, গাছ কাটার সময় আমি মিটিংয়ে ছিলাম। মিটিং শেষ হতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমাকে জানান, পরিষদের বাউন্ডারির মধ্যে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে থেকে কে বা কাহারা গাছ কেটে নিচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং সেখানে থাকা গাছের শ্রমিকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা ইউপি সদস্য কবির ও ঠিকাদার ব্যবসায়ী গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন খন্দকার গাছ কাটিয়েছেন। গাছ গুলো টেন্ডারের মাধ্যমে কাটা হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, না কোন টেন্ডার হয়নি এবং কাটার পূর্বে কেউ ইউনিয়ন পরিষদকে জানায়নি। সেক্ষেত্রে গাছ কাটা অন্যায় হয়েছে বলে আমি মনে করি। এরপর আমি ইউপি সদস্যের নিয়ে বাউন্ডারির মধ্যে থাকা ২টি নারিকেল গাছ, ৫টি সুপারি গাছ ও ১টি অন্য গাছ কেটে বাউন্ডারির মধ্যে ফেলে রাখা গাছের সিজার লিস্ট করি।
এ বিষয় ইউপি সদস্য কবির হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি গাছ কাটার বিষয় যতদূর জানি যেখানে গাছ কাটা হয়েছে সেখানে ভূমি অফিস ভবন হবে। এজন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক হুমায়ুন খন্দকার গাছ কাটিয়েছেন। বিষয়টি সদর উপজেলা ভূমি কমিশনার জানেন কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, কমিশনার স্যার মৌখিক ভাবে কাটার অনুমতি দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন খন্দকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন শরীফ দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে কাউকে কিছু না বলে গাছগুলো কেটে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলো। কিন্তু স্থানীয়দের বাধায় গাছ কাটা লেবার সেখান থেকে গাছ ফেলে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয় ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত (ইউএনও)
ফারহানা ইয়াসমিনের কাছে গতকাল সদর উপজেলাধীন গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ বাউন্ডারির মধ্যে থেকে কিছু গাছ কাটা হয়েছে, এ বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক জানতে পারিনি তবে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ওখানে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভবন নির্মাণ হবে তাই কাজের জন্য গাছ কাটার দরকার হলেও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কাটার কথা থাকলেও কেন নিয়ম-কানুন না মেনে আগে কাটা হয়েছে সে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।