শিরোনাম :
Logo জবিতে সাইকেল চোর সন্দেহে যুবক আটক ৮ শিক্ষার্থীকে ৫০হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ Logo ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১৬তম আসর ২৫ এপ্রিল Logo গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি: প্রেস সচিব Logo মির্জা ফখরুলের সাথে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস’র প্রতিনিধি দলের বৈঠক Logo ‘বিএনপিকে পাশ কাটাতেই নির্বাচন বিলম্ব করছে সরকার’ Logo সংস্কার ও হাসিনার বিচারের আগে কোনো নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার Logo কেএফসিতে ভাঙচুর, পাকিস্তানে ১৭৮ বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার Logo পশ্চিমবঙ্গের সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত Logo জবির ফ্যাসিস্ট হামলাকারী ও ইন্ধনদাতাদের বিচারের দাবি বৈষম্যবিরোধী ও গছাসের Logo ইবিতে ঐক্যমঞ্চের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭১২ বার পড়া হয়েছে
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ৪টা ৫৩ মিনিটে ভূকম্পন অনুভূত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের ভূমিকম্প গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস)। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ০। উৎপত্তিস্থলে ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

এর আগে গত ২৮ মার্চ দুপুরে বাংলাদেশে দুদফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রথমবার ১২টা ২০ মিনিটে ৭.৭ মাত্রার রিখটার স্কেলে এবং দ্বিতীয়বার ১২টা ৩২ মিনিটে ৬.৪ মাত্রার রিখটার স্কেলে অনভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইংয়ে।

ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যান। আর আহত হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। নেই কোন ধরনের প্রস্তুতি।

এর আগে ফায়ার সার্ভিসও সতর্ক করে বলেছিল বাংলাদেশেও মিয়ানমারের মতো একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস বলছিল, ভূমিকম্প মোকাবেলায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড-২০২০ অনুযায়ি ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করতে হবে, ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

নগর পরিকল্পনাবিদ ও ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী সভাপতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে যে ভূমিকম্পের ঝুঁকি আছে সেটা বোঝা যাবে গত কয়েক বছর ছোট ও মাঝারি মানের ভূমিকম্প বহুবার হয়েছে। এটা বড় ভূমিকম্পের আলামত। ভূমিকম্পের যে রিটার্ন পিরিয়ড ‘একশ বা দেড়শ’ বছর, আমরা কিন্তু তার কাছাকাছি আছি। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহে ভূমিকম্পের ঝুঁকি অনেক বেশি। ঢাকায় ঝুঁকি কিন্তু অনেক বেশি। এখানে ভবনগুলোর মান অত্যন্ত দুর্বল।

ড. আদিল বলেন, ‘ধনাঢ্য লোকজন যেসব ভবনে থাকেন সেগুলো হয়ত কিছুটা ভালোভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোতে ঝুঁকি কম। কিন্তু মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ যেসব ভবনে থাকেন সেগুলোতে ঝুঁকি অনেক বেশি। কারণ অনেক ভবন জলাশয় বন্ধ করে তৈরি করা হয়েছে। এই ভবনগুলো এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। আর কোন কারণে ভূমিকম্প হিট করলে রাস্তাগুলো এত ছোট যে সেখানে উদ্ধারকারী যানবাহনগুলোই যেতে পারবে না। ফলে আমাদের ঝুঁকি অনেক বেশি।’

বাংলাদেশেও আট মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে?

ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, বাংলাদেশসহ ভারত ও মিয়ানমারের কিছু অংশজুড়ে সুবিশাল চ্যুতি বা ফল্ট থাকায় একটি দেশে ভূমিকম্প হলে তার পার্শ্ববর্তী দেশে যেকোনো মুহূর্তে বড় ভূমিকম্প হতে পারে এমন শংকা থেকে যায়।

এ বিষয়ে ভূতত্ত্ববিদ ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলছেন, ‘সিলেট থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আট মাত্রার বেশি ভূমিকম্প সৃষ্টি হওয়া মতো শক্তি জমা হয়ে আছে। যেকোনো সময় সে শক্তি বের হয়ে আসতে পারে। এই শক্তি একবারে বের হতে পারে, আবার ধাপে ধাপেও বের হতে পারে। এতে সিলেট ও চট্টগ্রাম ছাড়াও সব থেকে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়বে রাজধানী।’

বিগত কয়েকশ বছরের ইতিহাসে এ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে সিলেট পর্যন্ত বিগত ৪০০ থেকে হাজার বছরে কোন বড় ধরনের ভূমিকম্প না ঘটায় এসব স্থানে শক্তি জমা হয়ে আছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। এসব ভূমিকম্পের মধ্যে মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্পও রয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত এসব ভূমিকম্পে বড় মাত্রার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

২০২৪ সালে দেশে ও আশেপাশে মোট ৫৩টি ভূমিকম্প হয়েছে

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এবং কাছাকাছি এলাকায় ২৮টি ভূমিকম্প হয়। ২০২৩ সালে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১টি এবং গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে দেশে ও আশেপাশে ৫৩টি ভূমিকম্প হয়েছে। এটি ছিল আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ৯০ দিনে বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমারে মৃদু ও বিভিন্ন মাত্রার ৬০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটো ছোটো ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস। ঐতিহাসিক ভূমিকম্পের পরম্পরা বিশ্লেষণ এবং দিন দিন সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই এমনটা মনে করছেন তারা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘ছোট ও মাঝারি ভূকম্পনে বড় শক্তি বের হওয়ার একটা প্রবণতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তার মানে, যে কোনো সময় একটি বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হতে পারে। ৭ মাত্রার ভূমিকম্পগুলো ফেরত আসার একটি সময় হয়ে গেছে। তবে বড় ভূমিকম্প কবে হবে, সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে সাইকেল চোর সন্দেহে যুবক আটক ৮ শিক্ষার্থীকে ৫০হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ৪টা ৫৩ মিনিটে ভূকম্পন অনুভূত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের ভূমিকম্প গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস)। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ০। উৎপত্তিস্থলে ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

এর আগে গত ২৮ মার্চ দুপুরে বাংলাদেশে দুদফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রথমবার ১২টা ২০ মিনিটে ৭.৭ মাত্রার রিখটার স্কেলে এবং দ্বিতীয়বার ১২টা ৩২ মিনিটে ৬.৪ মাত্রার রিখটার স্কেলে অনভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইংয়ে।

ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যান। আর আহত হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। নেই কোন ধরনের প্রস্তুতি।

এর আগে ফায়ার সার্ভিসও সতর্ক করে বলেছিল বাংলাদেশেও মিয়ানমারের মতো একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস বলছিল, ভূমিকম্প মোকাবেলায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড-২০২০ অনুযায়ি ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করতে হবে, ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

নগর পরিকল্পনাবিদ ও ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী সভাপতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে যে ভূমিকম্পের ঝুঁকি আছে সেটা বোঝা যাবে গত কয়েক বছর ছোট ও মাঝারি মানের ভূমিকম্প বহুবার হয়েছে। এটা বড় ভূমিকম্পের আলামত। ভূমিকম্পের যে রিটার্ন পিরিয়ড ‘একশ বা দেড়শ’ বছর, আমরা কিন্তু তার কাছাকাছি আছি। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহে ভূমিকম্পের ঝুঁকি অনেক বেশি। ঢাকায় ঝুঁকি কিন্তু অনেক বেশি। এখানে ভবনগুলোর মান অত্যন্ত দুর্বল।

ড. আদিল বলেন, ‘ধনাঢ্য লোকজন যেসব ভবনে থাকেন সেগুলো হয়ত কিছুটা ভালোভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোতে ঝুঁকি কম। কিন্তু মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ যেসব ভবনে থাকেন সেগুলোতে ঝুঁকি অনেক বেশি। কারণ অনেক ভবন জলাশয় বন্ধ করে তৈরি করা হয়েছে। এই ভবনগুলো এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। আর কোন কারণে ভূমিকম্প হিট করলে রাস্তাগুলো এত ছোট যে সেখানে উদ্ধারকারী যানবাহনগুলোই যেতে পারবে না। ফলে আমাদের ঝুঁকি অনেক বেশি।’

বাংলাদেশেও আট মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে?

ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, বাংলাদেশসহ ভারত ও মিয়ানমারের কিছু অংশজুড়ে সুবিশাল চ্যুতি বা ফল্ট থাকায় একটি দেশে ভূমিকম্প হলে তার পার্শ্ববর্তী দেশে যেকোনো মুহূর্তে বড় ভূমিকম্প হতে পারে এমন শংকা থেকে যায়।

এ বিষয়ে ভূতত্ত্ববিদ ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলছেন, ‘সিলেট থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আট মাত্রার বেশি ভূমিকম্প সৃষ্টি হওয়া মতো শক্তি জমা হয়ে আছে। যেকোনো সময় সে শক্তি বের হয়ে আসতে পারে। এই শক্তি একবারে বের হতে পারে, আবার ধাপে ধাপেও বের হতে পারে। এতে সিলেট ও চট্টগ্রাম ছাড়াও সব থেকে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়বে রাজধানী।’

বিগত কয়েকশ বছরের ইতিহাসে এ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে সিলেট পর্যন্ত বিগত ৪০০ থেকে হাজার বছরে কোন বড় ধরনের ভূমিকম্প না ঘটায় এসব স্থানে শক্তি জমা হয়ে আছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। এসব ভূমিকম্পের মধ্যে মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্পও রয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত এসব ভূমিকম্পে বড় মাত্রার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

২০২৪ সালে দেশে ও আশেপাশে মোট ৫৩টি ভূমিকম্প হয়েছে

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এবং কাছাকাছি এলাকায় ২৮টি ভূমিকম্প হয়। ২০২৩ সালে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১টি এবং গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে দেশে ও আশেপাশে ৫৩টি ভূমিকম্প হয়েছে। এটি ছিল আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ৯০ দিনে বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমারে মৃদু ও বিভিন্ন মাত্রার ৬০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটো ছোটো ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস। ঐতিহাসিক ভূমিকম্পের পরম্পরা বিশ্লেষণ এবং দিন দিন সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই এমনটা মনে করছেন তারা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘ছোট ও মাঝারি ভূকম্পনে বড় শক্তি বের হওয়ার একটা প্রবণতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তার মানে, যে কোনো সময় একটি বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হতে পারে। ৭ মাত্রার ভূমিকম্পগুলো ফেরত আসার একটি সময় হয়ে গেছে। তবে বড় ভূমিকম্প কবে হবে, সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না।’