শিরোনাম :
Logo শেরপুরে ৪ দিনব্যাপী রোভার মেট কোর্স অনুষ্ঠিত Logo মাদক সেবনের অভিযোগে বহিষ্কার, হুঁশিয়ারি দিলেন বৈষম্যবিরোধী নেত্রী Logo ফিনল্যান্ডে মাঝ আকাশে দুই হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ৫ Logo নেত্রকোনায় বগি রেখে চলে গেল ট্রেনের ইঞ্জিন Logo যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ টর্নেডোতে ২৭ জনের প্রাণহানী Logo ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তনে দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি   Logo মেইভেনের আয়োজনে সর্ববৃহৎ ইংলিশ অলিম্পিয়াড সম্পন্ন  Logo বড়ভাই ডেভিড হ্যান্টে, মেজভাই খুন — গ্রেপ্তার ১ Logo দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে ৬ কেজি গাজাসহ দুজন আটক Logo চাঁদপুরে ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্ভোধন বিজ্ঞান চর্চায় শিক্ষার্থীদের আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে

শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল জাতিসংঘ

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • ৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে জাতিসংঘ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে কড়া সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল। সে সময় সংস্থাটি বলেছিল, বাংলাদেশে সেনা সদস্যরা দমনের পথে গেলে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের হার্ডটক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিবিসির ওয়েবসাইটে গত বুধবার (৫ মার্চ) অনুষ্ঠানের এ পর্ব প্রকাশিত হয়।

অনুষ্ঠানে গাজা, সুদান, ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘকে ক্ষমতাহীন মনে হচ্ছে বলে জানান বিবিসির উপস্থাপক স্টিফেন সাকার। জবাবে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেন ভলকার তুর্ক।

এক প্রশ্নের জবাবে ভলকার তুর্ক জানান, এর ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বারবার সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। বর্তমানে ৫৯টি দেশে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতার পেছনে ভূরাজনৈতিক কারণ দায়ী।

উপস্থাপক গাজা-ইউক্রেন-সুদানের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রাণহানির কথা স্বীকার করে ভলকার তুর্ক বলেন, হতাহতের সংখ্যা যতটা কমিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা করে জাতিসংঘ। মুক্ত ও অবাধ গণতন্ত্র না থাকাকে তিনি দায়ী করেন।

উপস্থাপক জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে গেছে। এর পর নিকারাগুয়া তার অবস্থান পাল্টিয়েছে। বড় দেশ থেকে ছোট দেশগুলোও যে প্রভাবিত হচ্ছে– এটাকে আপনি কীভাবে দেখেন?

এর জবাবে তুর্ক বলেন, ‘আমি আপনাকে বাংলাদেশের উদাহরণ দিতে চাই। আপনি জানেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনার সরকার দমন-পীড়ন চালিয়েছিল। আশার কথা হলো, আমাদের কণ্ঠ তখন সোচ্চার ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলাম, যদি তারা জড়িয়ে পড়ে তাহলে আর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী হিসেবে থাকতে পারবে না। ফলে আমরা পরিবর্তনটা দেখতে পেলাম। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দায়িত্ব নিলেন। ফলে স্পটলাইটে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা আমরা এখানে দেখলাম।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে ৪ দিনব্যাপী রোভার মেট কোর্স অনুষ্ঠিত

শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ১১:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে জাতিসংঘ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে কড়া সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল। সে সময় সংস্থাটি বলেছিল, বাংলাদেশে সেনা সদস্যরা দমনের পথে গেলে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের হার্ডটক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিবিসির ওয়েবসাইটে গত বুধবার (৫ মার্চ) অনুষ্ঠানের এ পর্ব প্রকাশিত হয়।

অনুষ্ঠানে গাজা, সুদান, ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘকে ক্ষমতাহীন মনে হচ্ছে বলে জানান বিবিসির উপস্থাপক স্টিফেন সাকার। জবাবে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেন ভলকার তুর্ক।

এক প্রশ্নের জবাবে ভলকার তুর্ক জানান, এর ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বারবার সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। বর্তমানে ৫৯টি দেশে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতার পেছনে ভূরাজনৈতিক কারণ দায়ী।

উপস্থাপক গাজা-ইউক্রেন-সুদানের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রাণহানির কথা স্বীকার করে ভলকার তুর্ক বলেন, হতাহতের সংখ্যা যতটা কমিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা করে জাতিসংঘ। মুক্ত ও অবাধ গণতন্ত্র না থাকাকে তিনি দায়ী করেন।

উপস্থাপক জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে গেছে। এর পর নিকারাগুয়া তার অবস্থান পাল্টিয়েছে। বড় দেশ থেকে ছোট দেশগুলোও যে প্রভাবিত হচ্ছে– এটাকে আপনি কীভাবে দেখেন?

এর জবাবে তুর্ক বলেন, ‘আমি আপনাকে বাংলাদেশের উদাহরণ দিতে চাই। আপনি জানেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনার সরকার দমন-পীড়ন চালিয়েছিল। আশার কথা হলো, আমাদের কণ্ঠ তখন সোচ্চার ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলাম, যদি তারা জড়িয়ে পড়ে তাহলে আর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী হিসেবে থাকতে পারবে না। ফলে আমরা পরিবর্তনটা দেখতে পেলাম। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দায়িত্ব নিলেন। ফলে স্পটলাইটে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা আমরা এখানে দেখলাম।’