‘কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সরবরাহের সম্ভাবনা নেই’

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:৩৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • ৭০৭ বার পড়া হয়েছে

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সরবরাহের আর কোনো সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার (১৩ জুন) সিলেটের গোলাপগঞ্জের কৈলাসটিলা এমএসটিই প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সম্ভব হলে তিনি ঢাকাতেও আবাসিকভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতেন।

ফাওজুল কবির খান গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কারণ হিসেবে এটিকে “সবচেয়ে ইন-এফিশিয়েন্ট” বা অদক্ষ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “শিল্পকারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস ঘাটতি, সেখানে বাসাবাড়িতে এটা অপচয়। এটার যে ব্যয়…গ্যাস যে সরবরাহের ব্যয়…আর এই গ্যাস থেকে যে টাকা পাওয়া যায় তার মধ্যে বিস্তর ফারাক।”

তবে, দেশের যেসব এলাকায় গ্যাস উৎপাদন হয়, সেসব এলাকার বাসিন্দাদের জন্য কম মূল্যে গ্যাস সিলিন্ডারে সরবরাহের একটি ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে উপদেষ্টা জানান। তিনি বলেন, “প্রাইভেট সিলিন্ডার যে রকম ১ হাজার ৪৫০ টাকা; আর আমরা যে গ্যাস সিলিন্ডার দেব সেগুলো ৮০০ টাকা। এখনই ইমিডিয়েট দেওয়া হবে।”

আবাসিকে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, “একসময় গ্যাসের ব্যবহার ছিল না। তখন বাসাবাড়িতে গ্যাস দেওয়া হয়েছে। এখন এলপিজি এসে গেছে এবং আমরা এলপিজির দামও কমানোর চেষ্টা করছি। সামনে থেকে কিন্তু বাসাবাড়িতে এলপিজি ও শিল্পকারখানায় প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হবে।”

ফাওজুল কবির খান উল্লেখ করেন যে, দেশে প্রচুর গ্যাস আমদানি করতে হয় এবং এটি কমানোর চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “একটা সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশে প্রায় প্রতিবছর ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন কমছে। সেই তুলনায় আমরা যেটা নতুন অ্যাড করতে পারছি, সেটি বড়জোর ৬০ থেকে ৭০ সিএফটি। এর ফলে ঘাটতি কমাতে গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে।”

ভোলা অঞ্চলে নতুন কূপ খননসহ গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের চেষ্টা থাকবে যত বেশি ডোমেস্টিক গ্যাস পাওয়া যায়।” গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পড়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এর কারণ হচ্ছে আমাদের অ্যাকসেস ক্যাপাসিটি আছে, যা প্রয়োজন নাই তার থেকে বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহের কথা বিবেচনা না করে এগুলো করা হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো গ্যাস ব্যবহারে বেশি দক্ষ, সেগুলোকে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, কারণ গ্যাস সীমিত।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সরবরাহের সম্ভাবনা নেই’

আপডেট সময় : ০৮:০৯:৩৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সরবরাহের আর কোনো সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার (১৩ জুন) সিলেটের গোলাপগঞ্জের কৈলাসটিলা এমএসটিই প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সম্ভব হলে তিনি ঢাকাতেও আবাসিকভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতেন।

ফাওজুল কবির খান গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কারণ হিসেবে এটিকে “সবচেয়ে ইন-এফিশিয়েন্ট” বা অদক্ষ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “শিল্পকারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস ঘাটতি, সেখানে বাসাবাড়িতে এটা অপচয়। এটার যে ব্যয়…গ্যাস যে সরবরাহের ব্যয়…আর এই গ্যাস থেকে যে টাকা পাওয়া যায় তার মধ্যে বিস্তর ফারাক।”

তবে, দেশের যেসব এলাকায় গ্যাস উৎপাদন হয়, সেসব এলাকার বাসিন্দাদের জন্য কম মূল্যে গ্যাস সিলিন্ডারে সরবরাহের একটি ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে উপদেষ্টা জানান। তিনি বলেন, “প্রাইভেট সিলিন্ডার যে রকম ১ হাজার ৪৫০ টাকা; আর আমরা যে গ্যাস সিলিন্ডার দেব সেগুলো ৮০০ টাকা। এখনই ইমিডিয়েট দেওয়া হবে।”

আবাসিকে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, “একসময় গ্যাসের ব্যবহার ছিল না। তখন বাসাবাড়িতে গ্যাস দেওয়া হয়েছে। এখন এলপিজি এসে গেছে এবং আমরা এলপিজির দামও কমানোর চেষ্টা করছি। সামনে থেকে কিন্তু বাসাবাড়িতে এলপিজি ও শিল্পকারখানায় প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হবে।”

ফাওজুল কবির খান উল্লেখ করেন যে, দেশে প্রচুর গ্যাস আমদানি করতে হয় এবং এটি কমানোর চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “একটা সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশে প্রায় প্রতিবছর ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন কমছে। সেই তুলনায় আমরা যেটা নতুন অ্যাড করতে পারছি, সেটি বড়জোর ৬০ থেকে ৭০ সিএফটি। এর ফলে ঘাটতি কমাতে গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে।”

ভোলা অঞ্চলে নতুন কূপ খননসহ গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের চেষ্টা থাকবে যত বেশি ডোমেস্টিক গ্যাস পাওয়া যায়।” গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পড়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এর কারণ হচ্ছে আমাদের অ্যাকসেস ক্যাপাসিটি আছে, যা প্রয়োজন নাই তার থেকে বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহের কথা বিবেচনা না করে এগুলো করা হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো গ্যাস ব্যবহারে বেশি দক্ষ, সেগুলোকে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, কারণ গ্যাস সীমিত।