বায়েজীদ পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা)
গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনায়নকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ১২ জনের মধ্যে ৭ জনের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
আহতরা হলেন পৌর শহরের শিবরামপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আরিফ (২০),সুইগ্রামের আবু বক্করের ছেলে আলমগীর(১৮)একই গ্রামের ছামছুল আলমের ছেলে ওমর ফারুক (৩০) আমবাড়ী নওশা মিয়ার ছেলে ফরহাদ কবির(২৫),জামালপুর মুনছুর মিয়ার ছেলে মান্নান (২২),নুরপুর আজিজার রহমানের ছেলে আরিফ (১৮) একই গ্রামের মজিদ মিয়ার ছেলে আরিফ (১৯)।এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন আরো ৫ জন।
এ ঘটনায় কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও ৮ মোটরসাইকেলে ভাংচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার মহদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনায়ন করে ইউপি সদস্যরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধা ৭ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাঘটে। এক পর্যায়ে উপজেলা চত্ত্বরে অবস্থান নেয়া বিএনপি ও চৌমাথায় অবস্থান নেয়া জামায়াত-শিবির কর্মীরা উভয়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ টি মটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী চলমান সংঘর্ষ পুলিশ ও যৌথবাহিনীর হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বিএনপি’র ৭ জন এবং জামায়াতের ৩ জন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এই ব্যাপারে পলাশবাড়ী পৌর যুবদলের আহবায়ক রাজু আহমেদের সাথে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, “তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীরা আমাদের উপর হামলা করেছে।”
এই ব্যাপারে রাহিদুল ইসলাম বাবুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, যে ৯ জন ইউপি সদস্য আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন তাদের প্রত্যেকেই আওয়ামীলীগের পদধারী নেতা। এই অনাস্থা আনয়ন তার ও তার সংগঠনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলেও তিনি দাবী করেন।
পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আজ বৃহস্পতি বারও (২১শে নভেম্বর) পুরো থমথমে বিরাজ করছে। যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।