‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্যে চুয়াডাঙ্গায় দুই দিনব্যাপী ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে বিজ্ঞান মেলা-২০২৪ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে এর আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কবীর হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমি আশাবাদী, আমাদের তরুণ প্রজন্ম এভাবে এগোচ্ছে। পৃথিবীর সকল উন্নত জাতি শিক্ষিত। এখন প্রযুক্তির যুগ, বিজ্ঞানের যুগ। এখন অ্যাডভান্স টেকনোলজি ব্যবহার হবে। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য প্রযুক্তির যুগে সবকিছুই হাতের মুঠোয়। মোবাইলে অনেকে আসক্ত হয়ে গেছে। কেউ কেউ মোবাইলে বাইরের দেশের ভাষা শিখছে। ভালো কাজে ব্যবহার করলে সাফল্য আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে। নিজেদের জীবনের জন্য বিজ্ঞান শিখতে হবে। বিজ্ঞান ছাড়া মুক্তির উপায় নেই। চুয়াডাঙ্গা চরমভাবাপন্ন একটি জেলা। এই জেলায় বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। আমরা সবুজে ভরে দিতে চাই, এই জেলাকে। বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করতে হবে। কোনো কিছুই জীবনে বাধা হতে পারে না, যতি ইচ্ছা থাকে। আমরা স্টিফেন হকিং বিজ্ঞানির কথা জানি। অদম্য ইচ্ছা থাকলে কোনো বাধায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।’
সভায় বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। তিনি বলেন, ‘জ্ঞান এবং বিজ্ঞানকে প্রজ্ঞায় পরিণত করতে হবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ তোমাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে। এগিয়ে যাও, লাল-সবুজের চেতনা নিয়ে।’ বিশেষ অতিথি থেকে আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান ও জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহযোগী অধাপক মুন্সি আবু সাঈফের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত মেলায় ২৫টি স্টলে মাধ্যমিক (জুনিয়র গ্রুপ) ও উচ্চ মাধ্যমিক (সিনিয়র গ্রুপ) পর্যায়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ তাদের উদ্ভাবিত বিজ্ঞান বিষয়ক প্রকল্প নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে।