শিরোনাম :
Logo আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।” Logo বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বিতারা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের দোয়া ও আলোচনা সভা Logo যবিপ্রবিতে সাংবাদিক শিহাব উদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় সাবেক চার ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়া’র ৮০ তম জন্মদিন পালিত Logo ইবিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উদযাপনে বর্ণিল আয়োজন Logo শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতির সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo খালেদা জিয়ার জন্মদিনে উপলক্ষ্যে বেরোবিতে ছাত্রদলের দোয়া-মাহফিল Logo সংগ্রাম, ত্যাগ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া Logo উচ্ছ্বাস আর স্বপ্নে মুখর রাবি ক্যাম্পাস; জীবনের নতুন যাত্রা নিয়ে নবীনদের অনুভূতি Logo গণঅভ্যুত্থানের পরে আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল : অধ্যাপক ইউনূস

আমেরিকার উপকূলে রাশিয়ান যুদ্ধ জাহাজের টহল, উত্তেজনা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:০৯:২৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে! আর সেই উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে আমেরিকার পূর্ব উপকূলের কাছে রাশিয়ার গোয়েন্দা জাহাজকে টহল দিতে দেখা গেল। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দাবি করেছেন মার্কিন সেনা কর্মকর্তরা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর এই প্রথম এই রকম তৎপরতা দেখা গেল বলেও জানিয়েছেন তারা। খবর ফক্স নিউজের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন, ডেলওয়ার অঙ্গরাজ্যের উপকূল থেকে ৭০ মাইল দূরে রাশিয়ান গোয়েন্দা জাহাজকে দেখা গেছে। এটি উত্তর দিকে ঘণ্টায় ১০ নট গতিতে যাচ্ছিল বলেও জানান তিনি।

উপকূলের তটরেখা থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যে কোন দেশের নিজস্ব ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর এই মাপকাঠির পরিপ্রেক্ষিতে রুশ গোয়েন্দা জাহাজটি আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই ছিল বলে দাবি করেছে ফক্স নিউজ। অবশ্য এসএসভি-১৭৫ ভিকতর লিওনোভ কোথায় যাচ্ছিল তা জানা যায় নি।

২০১৫ সালের এপ্রিলে একে শেষবার আমেরিকার জলসীমার কাছাকাছি দেখা গেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত ভিকতর লিওনোভে উচ্চ প্রযুক্তির ইলেক্ট্রোনিক গোয়েন্দা যন্ত্র রয়েছে। এতে আড়িপাতা ছাড়াও মার্কিন নৌবাহিনীর  সোনার সিস্টেম নামে পরিচিত শত্রু সাবমেরিনকে শনাক্তকারী ব্যবস্থার সক্ষমতাও যাচাই করা সম্ভব হবে।

তবে এতদিন পর ফের রাশিয়ান নৌবাহিনীর তৎপরতায় যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পেন্টাগনে। একই সঙ্গে প্রতি মুহূর্তের আপডেটের উপর কড়া নজরদারী রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে কি কারণে রুশ গোয়েন্দা জাহাজ ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সামরিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রাশিয়ান সীমান্ত ক্রমশ সেনা সাজাচ্ছে ন্যাটো। প্রচুর পরিমাণে মার্কিন ট্যাংক, সেনা মোতায়েন করছে আমেরিকাও। পালটা জবাব দিতে তৈরি রাশিয়াও। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার উপর চাপ তৈরি করতেই রাশিয়ার এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।”

আমেরিকার উপকূলে রাশিয়ান যুদ্ধ জাহাজের টহল, উত্তেজনা !

আপডেট সময় : ০১:০৯:২৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে! আর সেই উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে আমেরিকার পূর্ব উপকূলের কাছে রাশিয়ার গোয়েন্দা জাহাজকে টহল দিতে দেখা গেল। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দাবি করেছেন মার্কিন সেনা কর্মকর্তরা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর এই প্রথম এই রকম তৎপরতা দেখা গেল বলেও জানিয়েছেন তারা। খবর ফক্স নিউজের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন, ডেলওয়ার অঙ্গরাজ্যের উপকূল থেকে ৭০ মাইল দূরে রাশিয়ান গোয়েন্দা জাহাজকে দেখা গেছে। এটি উত্তর দিকে ঘণ্টায় ১০ নট গতিতে যাচ্ছিল বলেও জানান তিনি।

উপকূলের তটরেখা থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যে কোন দেশের নিজস্ব ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর এই মাপকাঠির পরিপ্রেক্ষিতে রুশ গোয়েন্দা জাহাজটি আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই ছিল বলে দাবি করেছে ফক্স নিউজ। অবশ্য এসএসভি-১৭৫ ভিকতর লিওনোভ কোথায় যাচ্ছিল তা জানা যায় নি।

২০১৫ সালের এপ্রিলে একে শেষবার আমেরিকার জলসীমার কাছাকাছি দেখা গেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত ভিকতর লিওনোভে উচ্চ প্রযুক্তির ইলেক্ট্রোনিক গোয়েন্দা যন্ত্র রয়েছে। এতে আড়িপাতা ছাড়াও মার্কিন নৌবাহিনীর  সোনার সিস্টেম নামে পরিচিত শত্রু সাবমেরিনকে শনাক্তকারী ব্যবস্থার সক্ষমতাও যাচাই করা সম্ভব হবে।

তবে এতদিন পর ফের রাশিয়ান নৌবাহিনীর তৎপরতায় যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পেন্টাগনে। একই সঙ্গে প্রতি মুহূর্তের আপডেটের উপর কড়া নজরদারী রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে কি কারণে রুশ গোয়েন্দা জাহাজ ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সামরিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রাশিয়ান সীমান্ত ক্রমশ সেনা সাজাচ্ছে ন্যাটো। প্রচুর পরিমাণে মার্কিন ট্যাংক, সেনা মোতায়েন করছে আমেরিকাও। পালটা জবাব দিতে তৈরি রাশিয়াও। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার উপর চাপ তৈরি করতেই রাশিয়ার এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।