নিউজ ডেস্ক:
টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতির এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতের এ আদেশের ফলে কাদের সিদ্দিকী উপনির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। এর আগে গত ১১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারকের বেঞ্চে আপিল শুনানি শুরু করা হয়। আজ পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি করে কাদের সিদ্দিকীর আপিল আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।
দশম সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করায় মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারান তিনি।
২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়।
এরপর নির্বাচন কমিশন (ইসি) টাঙ্গাইল-৪ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে অন্য দলের পাশাপাশি কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কাদের সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ঋণখেলাপের অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
এর বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে তার মনোনয়নপত্র বাতিলের চূড়ান্ত রায় দেয়।
এরপর নির্বাচন কমিশনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন কাদের সিদ্দিকী। শুনানি শেষে গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকেই বৈধতা দিলে তার নির্বাচনে লড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।
নির্বাচন করতে না পারলেও হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন কাদের সিদ্দিকী। গতবছর ১৫ মার্চ আপিল বিভাগ তাকে আপিলের অনুমতি দেয়। কাদের সিদ্দিকী আপিল করলে শুনানি করে আজ আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।