শিরোনাম :
Logo আজকের নামাজের সময়সূচি Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার আলোচনা করতে চায় সরকার Logo চাঁদপুর পৌরসভার ১২৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা Logo জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা সমঝোতার চেষ্টা শাখা ছাত্রদলের, দফায় দফায় বৈঠক Logo তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নিন্দা Logo যুব সমাজের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ না থাকায় আজ যুব সমাজ অধপতনে নিমর্জিত ……..কে. এম ইয়াসিন রাশেদসানী Logo কচুয়ার কাদলা ইউনিয়ন যুবদলের আলোচনা সভা ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ‘পঞ্চায়েত’ আমার জীবন বদলে দিয়েছে Logo ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব উপকূলে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা হালকা থেকে মাঝারি

ঝিনাইদহে এবার সওজের দুর্নীতি তদন্তে ঢাকার টিমের তদন্ত শুরু

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৩৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৭
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির তদন্ত করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ঢাকা থেকে আসা এসি পদমর্যাদা ও নির্বাহী প্রকৌশলী পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তা এই তদন্ত করেন। তদন্ত কর্মকর্তারা মঙ্গলবার ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে অভিযোগকারী সৈয়দ রেজাউল ইসলাম রাজু বক্তব্য গ্রহন করেন। এ সময় রাজু কাছে তদন্ত কর্মকর্তারা টেন্ডার সংক্রান্ত ৫% ঘুষ নিয়ে কাজ দেওয়া, গোপনে আরএফকিউ টেন্ডার করাসহ একাধিক বিষয়ে জানতে চান। তদন্ত কর্মকর্তারা অভিযোগকারী রাজুর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন অন্যান্য সরকারী ডিপার্টমেন্টে দুর্নীতি হলেও কেন আপনি তা তোলেন নি। আর সওজের এই গোপন বিষয়গুলো আপনি কি করে জানলেন। এ সময় রাজু সাফ জবাব দেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান চরম দুর্নীতিবাজ। জেলার ঠিকাদারদের কাছ থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকার ঘুষ নিয়ে গেছেন। এখনো অনেকেই তার কাছে ঘুষের টাকা পাবেন।

টাকা ছাড়া তিনি কারো কাজ দেননি বলেও তদন্ত দলকে রাজু জানান। রাজু তদন্ত দলের কাছে অনুরোধ করে বলেন, একই বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেও তদন্ত করলে তদন্ত রিপোর্ট তার পক্ষেই যাবে। এটাই স্বাভাবিক। সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের বিরুদ্ধে আমি যে ডকুমেন্ট সরবরাহ করেছি তাতে তিনি যেন রেহাই না পান সেই অনুরোধ তদন্ত দলের কাছে করেন রাজু। এ সময় তদন্তের বিষয়টি ঝিনাইদহের কোন সাংবাদিককে না জানাতে রাজুকে অনুরোধ করেন। রাজু জানান, তদন্ত কর্মকর্তাদের নাম ও পরিচয় জানতে চাইলেও তারা তা প্রকাশ করেন নি। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি সরকারী ফোনটি রিসিভ করেন নি। উল্লেখ্য সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান ঝিনাইদহে এসে দুর্নীতির রাম রাজত্ব কায়েম করেন। কোটি কোটি টাকার রাস্তা অল্প দিনে নষ্ট হয়। টাকার বিনিময়ে টেন্ডারবাজী করা হয়। আরএফকিউ করে সরকারের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সূচি

ঝিনাইদহে এবার সওজের দুর্নীতি তদন্তে ঢাকার টিমের তদন্ত শুরু

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৩৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির তদন্ত করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ঢাকা থেকে আসা এসি পদমর্যাদা ও নির্বাহী প্রকৌশলী পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তা এই তদন্ত করেন। তদন্ত কর্মকর্তারা মঙ্গলবার ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে অভিযোগকারী সৈয়দ রেজাউল ইসলাম রাজু বক্তব্য গ্রহন করেন। এ সময় রাজু কাছে তদন্ত কর্মকর্তারা টেন্ডার সংক্রান্ত ৫% ঘুষ নিয়ে কাজ দেওয়া, গোপনে আরএফকিউ টেন্ডার করাসহ একাধিক বিষয়ে জানতে চান। তদন্ত কর্মকর্তারা অভিযোগকারী রাজুর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন অন্যান্য সরকারী ডিপার্টমেন্টে দুর্নীতি হলেও কেন আপনি তা তোলেন নি। আর সওজের এই গোপন বিষয়গুলো আপনি কি করে জানলেন। এ সময় রাজু সাফ জবাব দেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান চরম দুর্নীতিবাজ। জেলার ঠিকাদারদের কাছ থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকার ঘুষ নিয়ে গেছেন। এখনো অনেকেই তার কাছে ঘুষের টাকা পাবেন।

টাকা ছাড়া তিনি কারো কাজ দেননি বলেও তদন্ত দলকে রাজু জানান। রাজু তদন্ত দলের কাছে অনুরোধ করে বলেন, একই বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেও তদন্ত করলে তদন্ত রিপোর্ট তার পক্ষেই যাবে। এটাই স্বাভাবিক। সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের বিরুদ্ধে আমি যে ডকুমেন্ট সরবরাহ করেছি তাতে তিনি যেন রেহাই না পান সেই অনুরোধ তদন্ত দলের কাছে করেন রাজু। এ সময় তদন্তের বিষয়টি ঝিনাইদহের কোন সাংবাদিককে না জানাতে রাজুকে অনুরোধ করেন। রাজু জানান, তদন্ত কর্মকর্তাদের নাম ও পরিচয় জানতে চাইলেও তারা তা প্রকাশ করেন নি। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি সরকারী ফোনটি রিসিভ করেন নি। উল্লেখ্য সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান ঝিনাইদহে এসে দুর্নীতির রাম রাজত্ব কায়েম করেন। কোটি কোটি টাকার রাস্তা অল্প দিনে নষ্ট হয়। টাকার বিনিময়ে টেন্ডারবাজী করা হয়। আরএফকিউ করে সরকারের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।