নিউজ ডেস্ক:
ঢাকার আশুলিয়া থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় জঙ্গি গুপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১০ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমাতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফাইরুজ তাসনিম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. আসাদুজ্জামান আসাদ সাংবাদিকদের জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার উনু মং আসামিদের ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানী শেষে আসামি নারীসদস্য জান্নাতুল মহল ওরফে জিন্নাহকে দুদিনের রিমান্ড এবং বাকিদের চারদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
চারদিন করে রিমান্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শরিফুল ইসলাম (৪০), মিজানুর রহমান (৪৩), জিয়াউর রহমান (৩১), আবু সাদাত মো. সুলতান আল রাজী ওরফে লিটন (৪১), আল মিজানুর রশিদ (৪১), মো. কৌশিক আদনান সোবহান (৩৭), মেরাজ আলী (৩০), মুফতি আবদুর রহমান বিন আতাউল্লাহ (৩৭), মো. শাহরিয়ার ওয়াজেদ খান (৩৬) ও শরিফুল ইসলাম (৪৬)।
রিমান্ড শুনানীতে রাষ্ট্র পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হামলার ‘পরিকল্পনাকারী ও জোগানদাতা’ নব্য জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা নিহত তামিম চৌধুরী এবং আশুলিয়ায় নিহত সংগঠনের আমির সারোয়ার জাহান গ্রুপের সদস্য ও অনুসারী।
গ্রেফতারকৃত আসামি শরিফুল ইসলাম উত্তরার লাইফ স্কুলের সাবেক অধ্যক্ষ এবং বর্তমানে তিনি উত্তরা এলাকায় একই ধরনের আরেকটি স্কুলের অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। এ আসামিরা স্কুলে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করেন ঠিকই কিন্তু তাদের মূল লক্ষ্য ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের টার্গেট করে জঙ্গি কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত করা। এ কারণে আসামিরা একটি গোপন মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতেন এবং নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতেন। এছাড়া গ্রেফতারকৃত নারীসদস্য জান্নাতুল, বিশেষ করে নারীদের জঙ্গি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করতেন। এরা কেউই সরাসরি কোনো হামলায় কখনো অংশ নেননি। কিন্তু প্রত্যেকেই গোয়েন্দা নজরদারি, রেকি ও অনুপ্রাণিত করার কাজ করে আসছিলেন। তাই এ আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এরআগে গত সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিএসইসি ভবনে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আসামিদের গ্রেফতারের খবর জানানো হয়। গত বছরের ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়া কবরস্থানের পাশে একটি জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ তিনজন নিহত হন। এছাড়া গত ৮ অক্টোবর ঢাকার আশুলিয়ায় বাইপাইল এলাকায় একটি বাসার পাঁচতলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যান সারোয়ার জাহান।