শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি Logo সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা

স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে হেঁটে যাওয়া সেই স্বামী এখন বিরাট ধনী !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:২৪:২৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দানা মাঝিকে মনে আছে সবার। বেশিদিনের কথা নয়।

মাত্র এক বছর। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে গোটা ভারতে সাড়া ফেলেছিল হতভাগ্য এক স্বামীর মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি।

ওড়িশার কালাহান্ডি জেলার বাসিন্দা দরিদ্র দানা মাঝি স্ত্রীকে হারিয়েছিলেন সেই সময়ই। দুর্ভাগ্যের সেখানেই শেষ নয়। মৃত স্ত্রীর দেহ সৎকারের জন্য নিজের গ্রামে নিয়ে যাওয়ার কোনও উপায় ছিল না দরিদ্র দানার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কাকুতি মিনতি করেও কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি।

অগত্যা উপায়ান্তর না দেখে স্ত্রীর দেহ একটা মাদুরে মুড়ে কাঁধে নিয়ে তিনি রওনা দেন গ্রামের উদ্দেশে। তার সেই পথ চলার ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। পেছনে কাঁদতে কাঁদতে হাঁটতে থাকে তার কিশোরী কন্যা। তবে ৬০ কিমি দূরে অবস্থিত গ্রামের পথ পুরোটা হেঁটে যেতে হয়নি তাকে। ১০ কিমি পথ পেরনোর পরেই স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে যায় জেলা প্রশাসন। শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে তারা।

একজন মানুষের এই চরম সংগ্রামের কাহিনি শুনে বহু মানুষের হৃদয়ই গলেছিল। তার পর যা হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ভুলেই গেছে তাঁকে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্রে জানা গেল, এখন কেমন আছেন তিনি।

ঠিক এক বছর আগে ২৪ আগস্ট মারা গিয়েছিলেন দানা মাঝির স্ত্রী। জানা যাচ্ছে, সেই কপর্দকহীন মানুষটি এক বছরের মধ্যেই হয়ে গিয়েছেন বিরাট ধনী। আজ তার ব্যাঙ্কে জমা অর্থের পরিমাণ ৩৭ লক্ষ টাকা। তিন মেয়েই ভুবনেশ্বরের স্কুলে ভর্তি হয়েছে।

আসলে গত বছরের নিদারুণ ট্র্যাজেডির পরে বহু মানুষ ও সংস্থা এগিয়ে এসেছে তাকে সাহায্য করতে। বাহরিনের প্রধানমন্ত্রী একাই ৯ লক্ষ টাকার চেক দেন তাকে। পান আরও সাহায্য। ওড়িশা সরকার তাকে ইন্দিরা নিবাস যোজনার অধীনে একটি বাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়। মেয়েদের শিক্ষার সকল দায়িত্ব নেয় কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস। মাস দুই হল নতুন করে বিয়েও করেছেন দানা মাঝি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি

স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে হেঁটে যাওয়া সেই স্বামী এখন বিরাট ধনী !

আপডেট সময় : ১২:২৪:২৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

দানা মাঝিকে মনে আছে সবার। বেশিদিনের কথা নয়।

মাত্র এক বছর। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে গোটা ভারতে সাড়া ফেলেছিল হতভাগ্য এক স্বামীর মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি।

ওড়িশার কালাহান্ডি জেলার বাসিন্দা দরিদ্র দানা মাঝি স্ত্রীকে হারিয়েছিলেন সেই সময়ই। দুর্ভাগ্যের সেখানেই শেষ নয়। মৃত স্ত্রীর দেহ সৎকারের জন্য নিজের গ্রামে নিয়ে যাওয়ার কোনও উপায় ছিল না দরিদ্র দানার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কাকুতি মিনতি করেও কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি।

অগত্যা উপায়ান্তর না দেখে স্ত্রীর দেহ একটা মাদুরে মুড়ে কাঁধে নিয়ে তিনি রওনা দেন গ্রামের উদ্দেশে। তার সেই পথ চলার ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। পেছনে কাঁদতে কাঁদতে হাঁটতে থাকে তার কিশোরী কন্যা। তবে ৬০ কিমি দূরে অবস্থিত গ্রামের পথ পুরোটা হেঁটে যেতে হয়নি তাকে। ১০ কিমি পথ পেরনোর পরেই স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে যায় জেলা প্রশাসন। শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে তারা।

একজন মানুষের এই চরম সংগ্রামের কাহিনি শুনে বহু মানুষের হৃদয়ই গলেছিল। তার পর যা হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ভুলেই গেছে তাঁকে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্রে জানা গেল, এখন কেমন আছেন তিনি।

ঠিক এক বছর আগে ২৪ আগস্ট মারা গিয়েছিলেন দানা মাঝির স্ত্রী। জানা যাচ্ছে, সেই কপর্দকহীন মানুষটি এক বছরের মধ্যেই হয়ে গিয়েছেন বিরাট ধনী। আজ তার ব্যাঙ্কে জমা অর্থের পরিমাণ ৩৭ লক্ষ টাকা। তিন মেয়েই ভুবনেশ্বরের স্কুলে ভর্তি হয়েছে।

আসলে গত বছরের নিদারুণ ট্র্যাজেডির পরে বহু মানুষ ও সংস্থা এগিয়ে এসেছে তাকে সাহায্য করতে। বাহরিনের প্রধানমন্ত্রী একাই ৯ লক্ষ টাকার চেক দেন তাকে। পান আরও সাহায্য। ওড়িশা সরকার তাকে ইন্দিরা নিবাস যোজনার অধীনে একটি বাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়। মেয়েদের শিক্ষার সকল দায়িত্ব নেয় কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস। মাস দুই হল নতুন করে বিয়েও করেছেন দানা মাঝি।