শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি Logo সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা

যে নিষিদ্ধপল্লীতেও বাড়ছে সেক্সডলের কদর !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:৫২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কোনতাকথোফে। অস্ট্রিয়ার দানিয়ূব নদীর তীরে অবস্থিত ভিয়েনা শহরের একটি নিষিদ্ধপল্লীর নাম।

‘ফ্যানি’ নামের একটি সেক্সডল (পুতুল) প্রথমবারের মতো ওই নিষিদ্ধপল্লীতে গত জুলাইয়ে ছাড়া হয়। এর পরই বিশ্বব্যাপী সংবাদ শিরোনামে ওঠে আসে কোনতাকথোফে ও ফ্যানি।

কোনতাকথোফের ওই নিষিদ্ধপল্লীতে এবার ফ্যানির জনপ্রিয়তা এতই বেশি যে, প্রকৃত যুবতীর চেয়ে খদ্দেরদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে ‘ফ্যানি’। প্রতি ঘন্টায় তাকে ব্যবহার করতে একজন খদ্দেরকে পরিশোধ করতে হয় ৮০ ইউরো। তারপরও ফ্যানির চাহিদা ব্যাপক। একটানা কয়েকদিন তাকে বুকিং দিয়েছেন খদ্দেররা। সিডিউলে কোনো ফাঁক নেই।

ফলে খদ্দেরদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় আরেকটি সেক্স ডল কিনেছে। প্রথম যে সেক্সডল ফ্যানি আছে সেখানে তার উচ্চতা ৫ ফুট এক ইঞ্চি। ওজন ৬ স্টোন। তার আছে লম্বা স্বর্ণালী চুল ও আকর্ষণীয় শারীরিক গঠন। তার দিকে সুঠাম দেহের, আকর্ষণীয় কোনো পুরুষের চোখ পড়লে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন তিনি। নিষিদ্ধপল্লীতে সেক্সডলের এমন জনপ্রিয়তা দেখে অস্ট্রিয়ার অন্য নিষিদ্ধপল্লীতে সেক্সডল চালু হচ্ছে।

অন্যদিকে ফ্যানির এই চাহিদা দেখে প্রশ্ন উঠেছে, মানুষের স্থান কি তবে সেক্সডল নিয়ে নিচ্ছে! এ নিয়ে অনেক বিতর্ক। অনেক সমালোচনা। অনেক কথা। কেউ পক্ষে বলছেন। কেউ বিপক্ষে। কেউ বলছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে নারী-পুরুষের পারস্পরিক বন্ধন শিথিল হতে থাকবে। এক সময় নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ থাকবে না।

ভিয়েনাতে দুটি নিষিদ্ধপল্লী চালান পিটার লাককারিস। তিনি বলেন, নিষিদ্ধপল্লীতে নারীর ওপর যে নির্যাতন হয় তা থেকে তাদেরকে রেহাই দিতে সেক্সডলের বিকল্প নেই। তাছাড়া যে হারে ধর্ষণ ও যৌনতা সংক্রান্ত অপরাধ ঘটছে তা থেকেও মুক্তির একটি মাধ্যম হতে পারে সেক্সডল।

তবে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সেক্সডলের প্রতি ক্রমাগত আসক্তি বাড়ছে একশ্রেণির মানুষের। তারা চায়, নিষিদ্ধপল্লীতে আরো সেক্সডল চালু করা হোক।

অস্ট্রিয়ান সোসাইটি ফর সেক্সুয়াল রিসার্স-এর সহ সভাপতি ও মনোবিজ্ঞানী গেরতি সেঙ্গার। তিনি বলেন, একটি সেক্সডলের সঙ্গে যা খুশি তাই করতে পারেন পুরষ। দ্বিতীয় কারণ হলো, যেকোনো সময় তা ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রকৃত নারীর চেয়ে সেক্সডল ফ্যানির এত জনপ্রিয়তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন গেরতি সেঙ্গার। তিনি পুরুষের এমন প্রবণতাকে বাস্তব অটিস্টিক বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি

যে নিষিদ্ধপল্লীতেও বাড়ছে সেক্সডলের কদর !

আপডেট সময় : ০৪:১৬:৫২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

কোনতাকথোফে। অস্ট্রিয়ার দানিয়ূব নদীর তীরে অবস্থিত ভিয়েনা শহরের একটি নিষিদ্ধপল্লীর নাম।

‘ফ্যানি’ নামের একটি সেক্সডল (পুতুল) প্রথমবারের মতো ওই নিষিদ্ধপল্লীতে গত জুলাইয়ে ছাড়া হয়। এর পরই বিশ্বব্যাপী সংবাদ শিরোনামে ওঠে আসে কোনতাকথোফে ও ফ্যানি।

কোনতাকথোফের ওই নিষিদ্ধপল্লীতে এবার ফ্যানির জনপ্রিয়তা এতই বেশি যে, প্রকৃত যুবতীর চেয়ে খদ্দেরদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে ‘ফ্যানি’। প্রতি ঘন্টায় তাকে ব্যবহার করতে একজন খদ্দেরকে পরিশোধ করতে হয় ৮০ ইউরো। তারপরও ফ্যানির চাহিদা ব্যাপক। একটানা কয়েকদিন তাকে বুকিং দিয়েছেন খদ্দেররা। সিডিউলে কোনো ফাঁক নেই।

ফলে খদ্দেরদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় আরেকটি সেক্স ডল কিনেছে। প্রথম যে সেক্সডল ফ্যানি আছে সেখানে তার উচ্চতা ৫ ফুট এক ইঞ্চি। ওজন ৬ স্টোন। তার আছে লম্বা স্বর্ণালী চুল ও আকর্ষণীয় শারীরিক গঠন। তার দিকে সুঠাম দেহের, আকর্ষণীয় কোনো পুরুষের চোখ পড়লে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন তিনি। নিষিদ্ধপল্লীতে সেক্সডলের এমন জনপ্রিয়তা দেখে অস্ট্রিয়ার অন্য নিষিদ্ধপল্লীতে সেক্সডল চালু হচ্ছে।

অন্যদিকে ফ্যানির এই চাহিদা দেখে প্রশ্ন উঠেছে, মানুষের স্থান কি তবে সেক্সডল নিয়ে নিচ্ছে! এ নিয়ে অনেক বিতর্ক। অনেক সমালোচনা। অনেক কথা। কেউ পক্ষে বলছেন। কেউ বিপক্ষে। কেউ বলছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে নারী-পুরুষের পারস্পরিক বন্ধন শিথিল হতে থাকবে। এক সময় নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ থাকবে না।

ভিয়েনাতে দুটি নিষিদ্ধপল্লী চালান পিটার লাককারিস। তিনি বলেন, নিষিদ্ধপল্লীতে নারীর ওপর যে নির্যাতন হয় তা থেকে তাদেরকে রেহাই দিতে সেক্সডলের বিকল্প নেই। তাছাড়া যে হারে ধর্ষণ ও যৌনতা সংক্রান্ত অপরাধ ঘটছে তা থেকেও মুক্তির একটি মাধ্যম হতে পারে সেক্সডল।

তবে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সেক্সডলের প্রতি ক্রমাগত আসক্তি বাড়ছে একশ্রেণির মানুষের। তারা চায়, নিষিদ্ধপল্লীতে আরো সেক্সডল চালু করা হোক।

অস্ট্রিয়ান সোসাইটি ফর সেক্সুয়াল রিসার্স-এর সহ সভাপতি ও মনোবিজ্ঞানী গেরতি সেঙ্গার। তিনি বলেন, একটি সেক্সডলের সঙ্গে যা খুশি তাই করতে পারেন পুরষ। দ্বিতীয় কারণ হলো, যেকোনো সময় তা ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রকৃত নারীর চেয়ে সেক্সডল ফ্যানির এত জনপ্রিয়তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন গেরতি সেঙ্গার। তিনি পুরুষের এমন প্রবণতাকে বাস্তব অটিস্টিক বলে আখ্যায়িত করেছেন।