শিরোনাম :
Logo সাজিদের ইস্যুতে ইবি শিক্ষার্থীদের মৌন অবস্থান, আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি Logo ফিলিপাইনে ভয়াবহ বন্যা Logo ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহত ১৫ Logo বীরগঞ্জে রাস্তার গাছ কাটা ও চাঁদা দাবীর অপরাধে এনসিপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা Logo শেষবিদায় দিলেন মেয়ের কফিনে চুমু দিয়ে Logo বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবির প্রত্যেকটিই যৌক্তিক বলে মনে করে সরকার Logo আজ এইচএসসি ও সমমানের সকল পরীক্ষা স্থগিত Logo কয়রায় নবনিযুক্ত ইউএনও মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকীর সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির সত্য উদঘাটন ও পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সাচার উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

যে নিষিদ্ধপল্লীতেও বাড়ছে সেক্সডলের কদর !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:৫২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কোনতাকথোফে। অস্ট্রিয়ার দানিয়ূব নদীর তীরে অবস্থিত ভিয়েনা শহরের একটি নিষিদ্ধপল্লীর নাম।

‘ফ্যানি’ নামের একটি সেক্সডল (পুতুল) প্রথমবারের মতো ওই নিষিদ্ধপল্লীতে গত জুলাইয়ে ছাড়া হয়। এর পরই বিশ্বব্যাপী সংবাদ শিরোনামে ওঠে আসে কোনতাকথোফে ও ফ্যানি।

কোনতাকথোফের ওই নিষিদ্ধপল্লীতে এবার ফ্যানির জনপ্রিয়তা এতই বেশি যে, প্রকৃত যুবতীর চেয়ে খদ্দেরদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে ‘ফ্যানি’। প্রতি ঘন্টায় তাকে ব্যবহার করতে একজন খদ্দেরকে পরিশোধ করতে হয় ৮০ ইউরো। তারপরও ফ্যানির চাহিদা ব্যাপক। একটানা কয়েকদিন তাকে বুকিং দিয়েছেন খদ্দেররা। সিডিউলে কোনো ফাঁক নেই।

ফলে খদ্দেরদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় আরেকটি সেক্স ডল কিনেছে। প্রথম যে সেক্সডল ফ্যানি আছে সেখানে তার উচ্চতা ৫ ফুট এক ইঞ্চি। ওজন ৬ স্টোন। তার আছে লম্বা স্বর্ণালী চুল ও আকর্ষণীয় শারীরিক গঠন। তার দিকে সুঠাম দেহের, আকর্ষণীয় কোনো পুরুষের চোখ পড়লে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন তিনি। নিষিদ্ধপল্লীতে সেক্সডলের এমন জনপ্রিয়তা দেখে অস্ট্রিয়ার অন্য নিষিদ্ধপল্লীতে সেক্সডল চালু হচ্ছে।

অন্যদিকে ফ্যানির এই চাহিদা দেখে প্রশ্ন উঠেছে, মানুষের স্থান কি তবে সেক্সডল নিয়ে নিচ্ছে! এ নিয়ে অনেক বিতর্ক। অনেক সমালোচনা। অনেক কথা। কেউ পক্ষে বলছেন। কেউ বিপক্ষে। কেউ বলছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে নারী-পুরুষের পারস্পরিক বন্ধন শিথিল হতে থাকবে। এক সময় নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ থাকবে না।

ভিয়েনাতে দুটি নিষিদ্ধপল্লী চালান পিটার লাককারিস। তিনি বলেন, নিষিদ্ধপল্লীতে নারীর ওপর যে নির্যাতন হয় তা থেকে তাদেরকে রেহাই দিতে সেক্সডলের বিকল্প নেই। তাছাড়া যে হারে ধর্ষণ ও যৌনতা সংক্রান্ত অপরাধ ঘটছে তা থেকেও মুক্তির একটি মাধ্যম হতে পারে সেক্সডল।

তবে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সেক্সডলের প্রতি ক্রমাগত আসক্তি বাড়ছে একশ্রেণির মানুষের। তারা চায়, নিষিদ্ধপল্লীতে আরো সেক্সডল চালু করা হোক।

অস্ট্রিয়ান সোসাইটি ফর সেক্সুয়াল রিসার্স-এর সহ সভাপতি ও মনোবিজ্ঞানী গেরতি সেঙ্গার। তিনি বলেন, একটি সেক্সডলের সঙ্গে যা খুশি তাই করতে পারেন পুরষ। দ্বিতীয় কারণ হলো, যেকোনো সময় তা ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রকৃত নারীর চেয়ে সেক্সডল ফ্যানির এত জনপ্রিয়তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন গেরতি সেঙ্গার। তিনি পুরুষের এমন প্রবণতাকে বাস্তব অটিস্টিক বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাজিদের ইস্যুতে ইবি শিক্ষার্থীদের মৌন অবস্থান, আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি

যে নিষিদ্ধপল্লীতেও বাড়ছে সেক্সডলের কদর !

আপডেট সময় : ০৪:১৬:৫২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

কোনতাকথোফে। অস্ট্রিয়ার দানিয়ূব নদীর তীরে অবস্থিত ভিয়েনা শহরের একটি নিষিদ্ধপল্লীর নাম।

‘ফ্যানি’ নামের একটি সেক্সডল (পুতুল) প্রথমবারের মতো ওই নিষিদ্ধপল্লীতে গত জুলাইয়ে ছাড়া হয়। এর পরই বিশ্বব্যাপী সংবাদ শিরোনামে ওঠে আসে কোনতাকথোফে ও ফ্যানি।

কোনতাকথোফের ওই নিষিদ্ধপল্লীতে এবার ফ্যানির জনপ্রিয়তা এতই বেশি যে, প্রকৃত যুবতীর চেয়ে খদ্দেরদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে ‘ফ্যানি’। প্রতি ঘন্টায় তাকে ব্যবহার করতে একজন খদ্দেরকে পরিশোধ করতে হয় ৮০ ইউরো। তারপরও ফ্যানির চাহিদা ব্যাপক। একটানা কয়েকদিন তাকে বুকিং দিয়েছেন খদ্দেররা। সিডিউলে কোনো ফাঁক নেই।

ফলে খদ্দেরদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় আরেকটি সেক্স ডল কিনেছে। প্রথম যে সেক্সডল ফ্যানি আছে সেখানে তার উচ্চতা ৫ ফুট এক ইঞ্চি। ওজন ৬ স্টোন। তার আছে লম্বা স্বর্ণালী চুল ও আকর্ষণীয় শারীরিক গঠন। তার দিকে সুঠাম দেহের, আকর্ষণীয় কোনো পুরুষের চোখ পড়লে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন তিনি। নিষিদ্ধপল্লীতে সেক্সডলের এমন জনপ্রিয়তা দেখে অস্ট্রিয়ার অন্য নিষিদ্ধপল্লীতে সেক্সডল চালু হচ্ছে।

অন্যদিকে ফ্যানির এই চাহিদা দেখে প্রশ্ন উঠেছে, মানুষের স্থান কি তবে সেক্সডল নিয়ে নিচ্ছে! এ নিয়ে অনেক বিতর্ক। অনেক সমালোচনা। অনেক কথা। কেউ পক্ষে বলছেন। কেউ বিপক্ষে। কেউ বলছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে নারী-পুরুষের পারস্পরিক বন্ধন শিথিল হতে থাকবে। এক সময় নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ থাকবে না।

ভিয়েনাতে দুটি নিষিদ্ধপল্লী চালান পিটার লাককারিস। তিনি বলেন, নিষিদ্ধপল্লীতে নারীর ওপর যে নির্যাতন হয় তা থেকে তাদেরকে রেহাই দিতে সেক্সডলের বিকল্প নেই। তাছাড়া যে হারে ধর্ষণ ও যৌনতা সংক্রান্ত অপরাধ ঘটছে তা থেকেও মুক্তির একটি মাধ্যম হতে পারে সেক্সডল।

তবে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সেক্সডলের প্রতি ক্রমাগত আসক্তি বাড়ছে একশ্রেণির মানুষের। তারা চায়, নিষিদ্ধপল্লীতে আরো সেক্সডল চালু করা হোক।

অস্ট্রিয়ান সোসাইটি ফর সেক্সুয়াল রিসার্স-এর সহ সভাপতি ও মনোবিজ্ঞানী গেরতি সেঙ্গার। তিনি বলেন, একটি সেক্সডলের সঙ্গে যা খুশি তাই করতে পারেন পুরষ। দ্বিতীয় কারণ হলো, যেকোনো সময় তা ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রকৃত নারীর চেয়ে সেক্সডল ফ্যানির এত জনপ্রিয়তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন গেরতি সেঙ্গার। তিনি পুরুষের এমন প্রবণতাকে বাস্তব অটিস্টিক বলে আখ্যায়িত করেছেন।