নিউজ ডেস্ক:
আর মাত্র কয়েক ঘন্টা৷ তারপরেই বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকবে উত্তর আমেরিকা৷ এই সূর্যগ্রহণ কিংবা চন্দ্রগ্রহণ ঘিরেও নানা বিশ্বাস-অবিশ্বাস জড়িয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে৷ কথিত আছে, এই সময় কোনও খাওয়ার মুখে তুলতে নেই৷ কিন্তু কেন তা হয়তো অনেকের কাছেই অজানা।
এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলেও একটি বিষয় কিন্তু স্পষ্ট৷ চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া সূর্যের উপরে পরে৷ আবার চন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্যের আলো চন্দ্রের ওপর পরে৷ কিন্তু পৃথিবীর ছায়া চন্দ্রের উপর পতিত থাকে বলে চন্দ্রের উপর সূর্যের পতিত আলোর প্রতিফলন কিরন পৃথিবীতে আসে না৷ কিন্তু সূর্যের পতিত আলোর বিকিরন পৃথিবীতে চলে আসে৷ সেই কারণে চাঁদকে আমরা লাল দেখি৷ সেই সময়ে প্রচুর পরিমাণে বিকিরন পৃথিবীর উপর এসে পরে৷ যা মানুষের শরীরের উপরে বিপুল পরিমাণে প্রভাব পরে৷ এই বিষয়টি বৈজ্ঞানিক ভাবেই প্রমাণিত৷
বিজ্ঞানীদের মতে, এই বিশ্বজগতে প্রাকৃতিক জগতের মধ্যেও নানা পরিবর্তন হয়ে থাকে৷ যা খুব সাধারণ হয়ে থাকলেও এর জেরে সাধারণ জীবনযাপনেও ব্যাপক ক্ষতি হয়৷ চন্দ্রগ্রহণ কিংবা সূর্যগ্রহণ প্রকৃতির খুবই সাধারণ একটি বিষয়৷ তবু বলা হয়ে থাকে, এই খাওয়ার রান্না করতে নেই কারণ তার মধ্যে তাহলে বিষক্রিয়া তৈরি হয়৷ এই কারণে হয় গ্রহণের আগে নয়তো গ্রহণের পরে খাওয়ার তৈরির একটি রীতি প্রচলিত রয়েছে৷ প্রসঙ্গত, গ্রহণের সময় সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী সমান রেখায় চলে আসে৷ তাই জোয়ার-ভাঁটাও তৈরি হয়৷
তাহলে কি খাবেন এই গ্রহণের সময় এমন প্রশ্নের উত্তরে বৈজ্ঞানিকরা জানাচ্ছেন, প্রচুর পরিমাণে জল আর হালকা খাওয়ার খান৷ ফল এবং শাকশব্জি খান৷ যা সহজেই হজম হতে পারে৷ সুতরাং এত তর্ক বিতর্কে না গিয়ে গ্রহণের সময় আপনার ডায়েটের তালিকায় রাখুন হালকা খাওয়ার এবং সুস্থ থাকতে খালি পেটে যোগা করুন।