শুক্রবার | ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা

যেখানে প্রাচীন মন্দিরের রক্ষক এই বিশাল কুমির !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:২৩:৫৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রাচীন বিষ্ণু মন্দিরকে ঘিরেই কেরালার অনন্তপুরা গ্রামের খ্যাতি। এই মন্দিরকে সে রজ্যের প্রধান মন্দির থিরুঅনন্তপুরমের অনন্তপদ্মনাভস্বামী মন্দিরের আদিরূপ বলে মনে করা হয়।

তাদের ধারণা, অনন্তপদ্মনাভস্বামী শ্রীবিষ্ণু এখানেই আগে বাস করতেন। পরে তিনি স্থান পরিবর্তন করেন। ৩০২ ফিট গভীরতা বিশিষ্ট এক হ্রদের মাঝখানে এই মন্দির। কাছেই এক গুহা। কথিত আছে, অনন্তপদ্মনাভস্বামী এই গুহাপথেই থিরুঅনন্তপুরম চলে যান।

কিন্তু এই মন্দিরের করিশ্মা অন্য জায়গায়। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই মন্দিরে ছুটে আসেন কেবল ভগবান বিষ্ণুকে প্রণাম জানাতে একথা সত্য হলেও এর সঙ্গে একটা ‘কিন্তু’ রয়েছে। এই ‘কিন্তু’-টি একটি কুমির। অতি প্রাচীন কাল থেকেই এই মন্দিরের হ্রদে একটি বিশালাকার কুমিরকে দেখা যায়। একটির বেশি দু’টি কুমিরকে কেউ প্রত্যক্ষ করেননি। এই কুমিরটিকে অনন্তপুরা মন্দিরের রক্ষক বলে মনে করা হয়। লোক পরম্পরায় কুমিরটির নাম ‘বাবিয়া’। আজ পর্যন্ত সে কারোকে আক্রমণ করেনি। ওই হ্রদে অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন স্নান করেন। কোনও দিন কোনও ব্যক্তির উপরে বাবিয়াকে চড়াও হতেও দেখা যায়নি।

১৯৪৫ সালে এক ব্রিটিশ সৈন্য কুমিরটিকে গুলি করে মারে বলে জানায় স্থানীয় লোককথা। পরের দিন সেই সৈন্যকে সাপে কাটে। সে মারা যায়। কিন্তু মৃত বাবিয়ার জায়গায় পরের দিনই উপস্থিত হয় আর একটি কুমির।

এদিকে, সর্বভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে মাঝে মাঝেই হাজির হয় বাবিয়া। জানা যায়, সে নিরামিশাষী। পূণ্যার্থীরা পুজা দিয়ে বেরিয়ে এসে তাকে চাল ও গুড়ের নাডু খাওয়ান। সেও খায়। একটু সাহসীরা তাকে আদর করেন।

কিন্তু রোজ তাকে দেখা যায় না। যেদিন সে পানির ওপরে ভেসে ওঠে, সেই দিনটিকে বিশেষ শুভদিন বলে মনে করেন পুণ্যার্থীরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার

যেখানে প্রাচীন মন্দিরের রক্ষক এই বিশাল কুমির !

আপডেট সময় : ০৪:২৩:৫৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রাচীন বিষ্ণু মন্দিরকে ঘিরেই কেরালার অনন্তপুরা গ্রামের খ্যাতি। এই মন্দিরকে সে রজ্যের প্রধান মন্দির থিরুঅনন্তপুরমের অনন্তপদ্মনাভস্বামী মন্দিরের আদিরূপ বলে মনে করা হয়।

তাদের ধারণা, অনন্তপদ্মনাভস্বামী শ্রীবিষ্ণু এখানেই আগে বাস করতেন। পরে তিনি স্থান পরিবর্তন করেন। ৩০২ ফিট গভীরতা বিশিষ্ট এক হ্রদের মাঝখানে এই মন্দির। কাছেই এক গুহা। কথিত আছে, অনন্তপদ্মনাভস্বামী এই গুহাপথেই থিরুঅনন্তপুরম চলে যান।

কিন্তু এই মন্দিরের করিশ্মা অন্য জায়গায়। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই মন্দিরে ছুটে আসেন কেবল ভগবান বিষ্ণুকে প্রণাম জানাতে একথা সত্য হলেও এর সঙ্গে একটা ‘কিন্তু’ রয়েছে। এই ‘কিন্তু’-টি একটি কুমির। অতি প্রাচীন কাল থেকেই এই মন্দিরের হ্রদে একটি বিশালাকার কুমিরকে দেখা যায়। একটির বেশি দু’টি কুমিরকে কেউ প্রত্যক্ষ করেননি। এই কুমিরটিকে অনন্তপুরা মন্দিরের রক্ষক বলে মনে করা হয়। লোক পরম্পরায় কুমিরটির নাম ‘বাবিয়া’। আজ পর্যন্ত সে কারোকে আক্রমণ করেনি। ওই হ্রদে অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন স্নান করেন। কোনও দিন কোনও ব্যক্তির উপরে বাবিয়াকে চড়াও হতেও দেখা যায়নি।

১৯৪৫ সালে এক ব্রিটিশ সৈন্য কুমিরটিকে গুলি করে মারে বলে জানায় স্থানীয় লোককথা। পরের দিন সেই সৈন্যকে সাপে কাটে। সে মারা যায়। কিন্তু মৃত বাবিয়ার জায়গায় পরের দিনই উপস্থিত হয় আর একটি কুমির।

এদিকে, সর্বভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে মাঝে মাঝেই হাজির হয় বাবিয়া। জানা যায়, সে নিরামিশাষী। পূণ্যার্থীরা পুজা দিয়ে বেরিয়ে এসে তাকে চাল ও গুড়ের নাডু খাওয়ান। সেও খায়। একটু সাহসীরা তাকে আদর করেন।

কিন্তু রোজ তাকে দেখা যায় না। যেদিন সে পানির ওপরে ভেসে ওঠে, সেই দিনটিকে বিশেষ শুভদিন বলে মনে করেন পুণ্যার্থীরা।