নিউজ ডেস্ক:
সূর্যগ্রহণকে ঘিরে মানুষের মধ্যে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। শুধু এ দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই সূর্যগ্রহণকে ঘিরে রয়েছে একাধিক পৌরাণিক কাহিনী এবং ধর্মীয় ও সংস্কৃতিগত ‘বিশ্বাস’।
প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ ‘বিশ্বাস’ এর প্রতি পূর্ণ আস্থাবান। আর এই বিশ্বাস থেকেই সূর্যগ্রহণ আসলে শুরু হয় নানা আলোচনা।
তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সেসব বিস্ময়কর বিশ্বাসগুলো সম্পর্কে।
১. সূর্য ও চন্দ্রের যুদ্ধ
পশ্চিম আফ্রিকার বেনিন ও টোগো উপজাতির মানুষরা বিশ্বাস করেন যে ‘গ্রহণ’ মানে সূর্য ও চন্দ্রের মধ্যে ক্রমাগত যুদ্ধ। তাঁদের আরও ধারণা যে একমাত্র পৃথিবীই এই যুদ্ধ মেটাতে সক্ষম।
২. ‘সূর্যকে গিলে ফেলা’-র তত্ত্ব
বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার মানুষ বহু আদিম সময় থেকেই মনে করেন যে সূর্যকে কেউ বা কারা যেন গ্রাস করছে। আর সে কারণেই ‘গ্রহণ’-এর মতো মহাজাগতিক ঘটনা ঘটে। ভিয়েতনামে মনে করা হয়, কোনও ব্যাঙ এসে গিলে ফেলছে সূর্যকে। ইওরোপের ভাইকিংসরা মনে করেন যে কোনও নেকড়ে এসে খেয়ে ফেলছে সূর্যকে। হিন্দু শাস্ত্রে মনে করা হয় যে রাহু গ্রাসে যাওয়ার ফলে সূর্যের গ্রহণ হয়।
৩. চুরি হয়েছে সূর্য
কোরিয়ানরা মনে করেন যে সূর্যকে চুরি করে নিয়ে যায় কোনও রাক্ষুসে কুকুর। কোরিয়ান লোক সঙ্গীতে এই নিয়ে বহু সুরও বাঁধা হয়েছে।
৪. শাঁখ বাজানো
হিন্দুশাস্ত্র মতে মনে করা হয় যে যেহেতু রাহু নামের রাক্ষস সূর্যকে গ্রাস করে ফেলে, তাই সেই সময়টিতে শাঁখ বাজিয়ে রাহুকে ভয় দেখানো হয়।
৫. গ্রিকদের বিশ্বাস
প্রাচীন গ্রিসের পৌরানিক কাহিনিতে মনে করা হত সূর্যগ্রহণের ঘটনা মানেই কোনও না কোনও দেবদেবী রুষ্ট হয়েছেন। যার ফলে কোনও দুর্যোগের আশঙ্কা করা হত। মূলত এই মহাজগতিক ঘটনাকে নেতিবাচক চোখে দেখা হত এখানে।
৬. উপবাস
ভারতের বিভিন্ন অংশে, সূর্যগ্রহণের সময় খাওয়া দাওয়া বন্ধ রাখা হয়। অনেক এই সময়ে উপবাসও করে থাকেন।
সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া