শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। Logo টাকার জন্য হরিদাস বাবু’কে হয়রানী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনুসন্ধানে প্রমাণ। Logo খুবির সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতায় আগ্রহ জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের Logo শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মীর মৃত্যু Logo সাতক্ষীরায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণী, থানায় সাধারণ ডায়েরি Logo আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কয়রায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ Logo জীবননগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন Logo আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৮:১৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৪ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে সংগঠনটির দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ জন আহত হয়েছে। বুধবার বেলা ১২ টায় দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৬ রাউন্ড গুলি ও ১০টি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। সংঘর্ষ চলাকালে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও পুলিশকে অসহায় অবস্থায় দেখা যায়।

এদিকে ঠাকুরগাঁও জেলার আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশ অমান্য করে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের মিজান ও রনি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পুরো ঠাকুরগাঁও শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় জেলার প্রভাবশালী নেতারা ছাত্রলীগ কর্মীদের কাছে লাঞ্চিত হয়ে সরে পড়েন। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে শহরের সকল প্রকার দোকান বন্ধ হয়ে যায়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের ৬৯ প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উপলক্ষে গত রবিবার রাত থেকে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী মিজান গ্রুপ জেলা কার্যালয় দখল করে রাখে। অফিস কক্ষ বন্ধ থাকায় রাত ১২টা ১ মিনিটে বাইরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উদযাপন করা হয়। অপরদিকে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কমিটি সকাল থেকে প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বেলা সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি রনি শহরের বলাকা সিনেমা হলের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করে চৌরাস্তায় পৌঁছালে বিদ্রোহী গ্রুপ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে রনি গ্রুপ জেলা কার্যালয় দখলে নিতে গেলে উভয় পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ২ ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে ইট পাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন ছাত্রলীগের কর্মী আহত হয়।

এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেনে আনার জন্য ১০ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ব্যারিকেট দিয়ে রনি গ্রুপকে সরিয়ে দিলে বিদ্রোহী গ্রুপ আবার ব্যারিকেট ভেঙ্গে শহরের চৌরাস্তা দখলে নেয়।

স্থানীয়রা জানায়, ঠাকুরগাঁও ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ আছে। এক গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন মিজান। তিনি জেলা নেতাদের দ্বারা গঠিত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলাম এমপির ছত্রছায়ায় চলেন। অপরদিকে, কেন্দ্র অনুমোদিত কমিটির সভাপতি রনি। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর -১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেনের অনুসারী।

কেন্দ্রীয় ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুর রহমান রনি জানান, আমরা ছাত্রলীগের আসল কমিটি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমরা উদযাপন করবো সবাইকে নিয়ে। কিন্তু বিদ্রোহী গ্রুপ আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আসতে বাধা দিলে এ সংঘর্ষ বাধে।

বিদ্রোহী গ্রুপের সভাপতি মিজান জানান, আমরা ছাত্রলীগের মাঠের নেতা কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছি। ওই গ্রুপের জেলা ছাত্রলীগ গঠনে কোন অবদান নেই। আমরা দলীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছি। রনি গ্রুপের লোকজন আমাদের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে আমরা তাদের ধাওয়া দেই।

সদর থানার ওসি মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই দলকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০!

আপডেট সময় : ০৫:৫৮:১৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৪ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে সংগঠনটির দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ জন আহত হয়েছে। বুধবার বেলা ১২ টায় দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৬ রাউন্ড গুলি ও ১০টি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। সংঘর্ষ চলাকালে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও পুলিশকে অসহায় অবস্থায় দেখা যায়।

এদিকে ঠাকুরগাঁও জেলার আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশ অমান্য করে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের মিজান ও রনি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পুরো ঠাকুরগাঁও শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় জেলার প্রভাবশালী নেতারা ছাত্রলীগ কর্মীদের কাছে লাঞ্চিত হয়ে সরে পড়েন। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে শহরের সকল প্রকার দোকান বন্ধ হয়ে যায়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের ৬৯ প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উপলক্ষে গত রবিবার রাত থেকে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী মিজান গ্রুপ জেলা কার্যালয় দখল করে রাখে। অফিস কক্ষ বন্ধ থাকায় রাত ১২টা ১ মিনিটে বাইরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উদযাপন করা হয়। অপরদিকে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কমিটি সকাল থেকে প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বেলা সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি রনি শহরের বলাকা সিনেমা হলের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করে চৌরাস্তায় পৌঁছালে বিদ্রোহী গ্রুপ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে রনি গ্রুপ জেলা কার্যালয় দখলে নিতে গেলে উভয় পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ২ ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে ইট পাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন ছাত্রলীগের কর্মী আহত হয়।

এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেনে আনার জন্য ১০ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ব্যারিকেট দিয়ে রনি গ্রুপকে সরিয়ে দিলে বিদ্রোহী গ্রুপ আবার ব্যারিকেট ভেঙ্গে শহরের চৌরাস্তা দখলে নেয়।

স্থানীয়রা জানায়, ঠাকুরগাঁও ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ আছে। এক গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন মিজান। তিনি জেলা নেতাদের দ্বারা গঠিত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলাম এমপির ছত্রছায়ায় চলেন। অপরদিকে, কেন্দ্র অনুমোদিত কমিটির সভাপতি রনি। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর -১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেনের অনুসারী।

কেন্দ্রীয় ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুর রহমান রনি জানান, আমরা ছাত্রলীগের আসল কমিটি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমরা উদযাপন করবো সবাইকে নিয়ে। কিন্তু বিদ্রোহী গ্রুপ আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আসতে বাধা দিলে এ সংঘর্ষ বাধে।

বিদ্রোহী গ্রুপের সভাপতি মিজান জানান, আমরা ছাত্রলীগের মাঠের নেতা কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছি। ওই গ্রুপের জেলা ছাত্রলীগ গঠনে কোন অবদান নেই। আমরা দলীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছি। রনি গ্রুপের লোকজন আমাদের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে আমরা তাদের ধাওয়া দেই।

সদর থানার ওসি মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই দলকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।