জেনে নিন ডিভোর্স হওয়ার মূল কারণগুলো !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৮:০১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

একজন পুরুষ ও একজন নারীর আজীবন একসাথে থাকার ইচ্ছেটাকে বাস্তবে রূপ দেয় বিয়ে। আর একসাথে না থাকার ইচ্ছেটার যে চূড়ান্ত রূপ তা হলো ডিভোর্স।

কিন্তু জীবন যত আধুনিক হচ্ছে ততই বাড়ছে সম্পর্ক ভাঙার প্রবণতা। দেখা দিচ্ছে ডিভোর্স। কিন্তু সুন্দর এই সম্পর্কগুলোর এমন চরম পরিণতি কেন ঘটছে এ প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনেই। সম্প্রতি ভারতীয় আইনজীবীরা ডিভোর্সের কয়েকটি কারণ জানিয়েছেন। সেগুলো হলো-

১. যোগাযোগ
যে কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মূলমন্ত্র যোগাযোগ। এটাই একে অপরের অনুভূতির যোগসূত্র। যোগাযোগে দূরত্ব তৈরি হলে সেই সম্পর্ক ভিতরে ভিতরে মরে যেতে থাকে। যে সমসম্যা আলোচনা, খুলে বললে হয়তো মিটে যেতে পারে, সেই সব ছোটখাট সমস্যাই পাহাড় প্রমাণ হয়ে দাঁড়ায়। পরিণতি হয় ডিভোর্স।

২. নেশা
ধূমপান, অ্যালকোহলের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি, নেশা অবসাদ ডেকে আনে। যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবার। নেশাগ্রস্ত স্বামী বা স্ত্রীর সাথে কেউই সংসার করতে চান না। পরিণতি ডেকে আনে ডিভোর্স।

৩. অমিল
অপোজিটস অ্যাট্রাক্ট। প্রেমে পড়ার জন্য এই কথাটা যতটা সত্যি, প্রেম টিকিয়ে রাখার জন্য ততটা কিন্তু নয়। সম্পর্কের শুরুর দিকে নিজের সঙ্গে না মিললেও অপরের পছন্দ আমাদের আকর্ষণ করে। কিন্তু দীর্ঘ সময় তাল রাখা যায় না। তখনই বাড়তে থাকে অশান্তি। যা ডিভোর্সের কারণ হতে পারে।

৪. নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা
অনেকেই মনে করেন স্বামী বা স্ত্রী তার অধিকারের জায়গা। তাদের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখা উচিত। এই মনোভাবের জেরে অন্য জন ক্রমশ দূরে সরে যেতে থাকে। বিরক্তি থেকে বাড়তে থাকে অস্বচ্ছতাও। বেশিরভাগ ডিভোর্সের অন্যতম বড় কারণ এই ব্যবহার।

৫. সেন্স অব সেপারেশন
বিবাহিত জীবনে অনেক রকম অনুভূতি কাজ করে। কখনও আমরা একাত্ম অনুভব করি, কখনও দূরত্ব। এই সব পোলারাইজিং ইমোশন ঘুরে ফিরে আসে। ক্রমাগত দূরে সরে যাওয়ার অনুভূতি সেন্স অব সেপারেশন তৈরি করে। এই সব অনুভূতি ডিভোর্সের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

৬. আর্থিক সমস্যা
সারা জীবন আর্থিক অবস্থা এক থাকে না। বিবাহিত জীবনে উত্থান-পতনের সাথে মানিয়ে নিতেই হয়। আগেই আর্থিক বিষয় আলোচনা করে নেয়া উচিত। না হলে অনেক সময়ই আর্থিক অনটন, অস্বচ্ছতা বিচ্ছেদ ডেকে আনতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জেনে নিন ডিভোর্স হওয়ার মূল কারণগুলো !

আপডেট সময় : ১২:৩৮:০১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

একজন পুরুষ ও একজন নারীর আজীবন একসাথে থাকার ইচ্ছেটাকে বাস্তবে রূপ দেয় বিয়ে। আর একসাথে না থাকার ইচ্ছেটার যে চূড়ান্ত রূপ তা হলো ডিভোর্স।

কিন্তু জীবন যত আধুনিক হচ্ছে ততই বাড়ছে সম্পর্ক ভাঙার প্রবণতা। দেখা দিচ্ছে ডিভোর্স। কিন্তু সুন্দর এই সম্পর্কগুলোর এমন চরম পরিণতি কেন ঘটছে এ প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনেই। সম্প্রতি ভারতীয় আইনজীবীরা ডিভোর্সের কয়েকটি কারণ জানিয়েছেন। সেগুলো হলো-

১. যোগাযোগ
যে কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মূলমন্ত্র যোগাযোগ। এটাই একে অপরের অনুভূতির যোগসূত্র। যোগাযোগে দূরত্ব তৈরি হলে সেই সম্পর্ক ভিতরে ভিতরে মরে যেতে থাকে। যে সমসম্যা আলোচনা, খুলে বললে হয়তো মিটে যেতে পারে, সেই সব ছোটখাট সমস্যাই পাহাড় প্রমাণ হয়ে দাঁড়ায়। পরিণতি হয় ডিভোর্স।

২. নেশা
ধূমপান, অ্যালকোহলের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি, নেশা অবসাদ ডেকে আনে। যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবার। নেশাগ্রস্ত স্বামী বা স্ত্রীর সাথে কেউই সংসার করতে চান না। পরিণতি ডেকে আনে ডিভোর্স।

৩. অমিল
অপোজিটস অ্যাট্রাক্ট। প্রেমে পড়ার জন্য এই কথাটা যতটা সত্যি, প্রেম টিকিয়ে রাখার জন্য ততটা কিন্তু নয়। সম্পর্কের শুরুর দিকে নিজের সঙ্গে না মিললেও অপরের পছন্দ আমাদের আকর্ষণ করে। কিন্তু দীর্ঘ সময় তাল রাখা যায় না। তখনই বাড়তে থাকে অশান্তি। যা ডিভোর্সের কারণ হতে পারে।

৪. নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা
অনেকেই মনে করেন স্বামী বা স্ত্রী তার অধিকারের জায়গা। তাদের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখা উচিত। এই মনোভাবের জেরে অন্য জন ক্রমশ দূরে সরে যেতে থাকে। বিরক্তি থেকে বাড়তে থাকে অস্বচ্ছতাও। বেশিরভাগ ডিভোর্সের অন্যতম বড় কারণ এই ব্যবহার।

৫. সেন্স অব সেপারেশন
বিবাহিত জীবনে অনেক রকম অনুভূতি কাজ করে। কখনও আমরা একাত্ম অনুভব করি, কখনও দূরত্ব। এই সব পোলারাইজিং ইমোশন ঘুরে ফিরে আসে। ক্রমাগত দূরে সরে যাওয়ার অনুভূতি সেন্স অব সেপারেশন তৈরি করে। এই সব অনুভূতি ডিভোর্সের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

৬. আর্থিক সমস্যা
সারা জীবন আর্থিক অবস্থা এক থাকে না। বিবাহিত জীবনে উত্থান-পতনের সাথে মানিয়ে নিতেই হয়। আগেই আর্থিক বিষয় আলোচনা করে নেয়া উচিত। না হলে অনেক সময়ই আর্থিক অনটন, অস্বচ্ছতা বিচ্ছেদ ডেকে আনতে পারে।