শুক্রবার | ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা

জেনে নিন বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৮:১৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

এখন বৃষ্টি হলেই হয় বজ্রপাত, আর বজ্রপাত মানেই মৃত্যু। আর বজ্রপাতের কবলে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।

তবে কিছু পন্থা অবলম্বন করলে অনেক সময়ই এর থেকে বাঁচা যায়।

সাধারণত মার্চ থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয়ে থাকে। বজ্রপাতের সময় পাকা বাড়ির নিচে আশ্রয় নিতে এবং উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন আবহাওয়াবিদরা।

এ সময় জানালা থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলা, টিভি-ফ্রিজ না ধরা, গাড়ির ভেতর অবস্থান না করা এবং খালি পায়ে না থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে জনসচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে করণীয় বিষয় পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বজ্রপাত থেকে রক্ষার বিভিন্ন উপায় আরও বেশি করে প্রচারের পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

বজ্রপাত হয় কেন?

বায়ুমণ্ডলে বাতাসের তাপমাত্রা ভূ-ভাগের উপরিভাগের তুলনায় কম থাকে। এ অবস্থায় বেশ গরম আবহাওয়া দ্রুত উপরে উঠে গেলে আর্দ্র বায়ুর সংস্পর্শ পায়। তখন গরম আবহাওয়া দ্রুত ঠাণ্ডা হওয়ায় প্রক্রিয়ার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়। তখনই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। আর এ বজ্রপাতের কারণে প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

আসুন জেনে নিই বজ্রপাতের সময় আমাদের বাঁচার উপায়গুলো:

১. বজ্রপাতের সময় উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বিদ্যুৎস্পর্শের আশঙ্কা বেশি থাকে। এসময় গাছ বা খুঁটির কাছাকাছি থাকা নিরাপদ নয়। ফাঁকা জায়গায় যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছে বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি থাকে। তাই এসব স্থান এড়িয়ে চলুন।

২. ঘন ঘন বজ্রপাতের সময় খোলা বা উঁচু জায়গায় না থেকে  দালানের নিচে আশ্রয় নিন। বজ্রপাতের সময় ঘরের জানালার কাছে উঁকিঝুঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।

৩. বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন। ল্যান্ডফোন ব্যবহার থেকেও বিরত থাকুন।

৪. বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব ধরনের যন্ত্রপাতি এড়িয়ে চলুন। বজ্রপাতের আভাস পেলে যন্ত্রপাতির প্লাগ খুলে রাখুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও স্পর্শ করা ঠিক হবে না।

৫. বজ্রপাতের সময় গাড়িতে থাকলে দ্রুত বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করুন। যদি প্রচণ্ড বজ্রপাত ও বৃষ্টি হয়, তাহলে গাড়ি কোনও গাড়িবারান্দা বা পাকা ছাউনির নিচে রেখে অপেক্ষা করুন।

এছাড়া বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমতে পারে। অনেক সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে সেই পানিতে পড়ে হতে পারে দুর্ঘটনা। বজ্রপাতের সময় রাস্তায় চলাচলেও খেয়াল রাখতে হবে। কেউ আহত হয়ে থাকলে দেরি না করে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করতে হবে। তবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট কাউকে ঘটনার সময় খালি হাতে স্পর্শ করলে নিজেও ঝুঁকিতে পড়তে হবে। বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। যদি একান্ত বের হতেই হয়, রাবারের গামবুট এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কাজ করবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার

জেনে নিন বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায় !

আপডেট সময় : ০৩:৪৮:১৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

এখন বৃষ্টি হলেই হয় বজ্রপাত, আর বজ্রপাত মানেই মৃত্যু। আর বজ্রপাতের কবলে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।

তবে কিছু পন্থা অবলম্বন করলে অনেক সময়ই এর থেকে বাঁচা যায়।

সাধারণত মার্চ থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয়ে থাকে। বজ্রপাতের সময় পাকা বাড়ির নিচে আশ্রয় নিতে এবং উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন আবহাওয়াবিদরা।

এ সময় জানালা থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলা, টিভি-ফ্রিজ না ধরা, গাড়ির ভেতর অবস্থান না করা এবং খালি পায়ে না থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে জনসচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে করণীয় বিষয় পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বজ্রপাত থেকে রক্ষার বিভিন্ন উপায় আরও বেশি করে প্রচারের পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

বজ্রপাত হয় কেন?

বায়ুমণ্ডলে বাতাসের তাপমাত্রা ভূ-ভাগের উপরিভাগের তুলনায় কম থাকে। এ অবস্থায় বেশ গরম আবহাওয়া দ্রুত উপরে উঠে গেলে আর্দ্র বায়ুর সংস্পর্শ পায়। তখন গরম আবহাওয়া দ্রুত ঠাণ্ডা হওয়ায় প্রক্রিয়ার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়। তখনই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। আর এ বজ্রপাতের কারণে প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

আসুন জেনে নিই বজ্রপাতের সময় আমাদের বাঁচার উপায়গুলো:

১. বজ্রপাতের সময় উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বিদ্যুৎস্পর্শের আশঙ্কা বেশি থাকে। এসময় গাছ বা খুঁটির কাছাকাছি থাকা নিরাপদ নয়। ফাঁকা জায়গায় যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছে বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি থাকে। তাই এসব স্থান এড়িয়ে চলুন।

২. ঘন ঘন বজ্রপাতের সময় খোলা বা উঁচু জায়গায় না থেকে  দালানের নিচে আশ্রয় নিন। বজ্রপাতের সময় ঘরের জানালার কাছে উঁকিঝুঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।

৩. বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন। ল্যান্ডফোন ব্যবহার থেকেও বিরত থাকুন।

৪. বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব ধরনের যন্ত্রপাতি এড়িয়ে চলুন। বজ্রপাতের আভাস পেলে যন্ত্রপাতির প্লাগ খুলে রাখুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও স্পর্শ করা ঠিক হবে না।

৫. বজ্রপাতের সময় গাড়িতে থাকলে দ্রুত বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করুন। যদি প্রচণ্ড বজ্রপাত ও বৃষ্টি হয়, তাহলে গাড়ি কোনও গাড়িবারান্দা বা পাকা ছাউনির নিচে রেখে অপেক্ষা করুন।

এছাড়া বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমতে পারে। অনেক সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে সেই পানিতে পড়ে হতে পারে দুর্ঘটনা। বজ্রপাতের সময় রাস্তায় চলাচলেও খেয়াল রাখতে হবে। কেউ আহত হয়ে থাকলে দেরি না করে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করতে হবে। তবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট কাউকে ঘটনার সময় খালি হাতে স্পর্শ করলে নিজেও ঝুঁকিতে পড়তে হবে। বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। যদি একান্ত বের হতেই হয়, রাবারের গামবুট এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কাজ করবে।