নিউজ ডেস্ক:
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রোববার ঢাকার আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব-২০১৭ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মই বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে যাবে। এজন্য তাদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে।
সারাদেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই উৎসব পালিত হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে এ উৎসব আয়োজন করা হয়। ২০১০ সাল থেকে এ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঠ্যপুস্তক প্রস্তুত করা, বিতরণ ও সময়মতো সব শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে দেওয়া শিক্ষাক্ষেত্রে সর্ববৃহৎ কার্যক্রম। পাঠ্যপুস্তক বিতরণের এ কার্যক্রম বিশ্বে অতুলনীয়। গত বছর ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার বই বিতরণ করা হয়েছিল। এবার ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৯ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি বই বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো ৫টি ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর ভাষায় ৭৭ হাজার ২৮২টি বই ছাপানো হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকের ২৪ হাজার ৬৪১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এ বইগুলো বিতরণ করা হবে। ৫টি জাতি-গোষ্ঠী হচ্ছে- মারমা, চাকমা, গারো, সাদ্রি ও ত্রিপুরা।
মন্ত্রী বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য এবার ব্রেইল পদ্ধতিতেও বই ছাপা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এ ধরনের ৯ হাজার ৭০৩টি বই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ১ হাজার ২৩১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
পরে মন্ত্রী উপস্থিত শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেন। এছাড়া মন্ত্রী আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক হাছিবুর রহমানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষক নির্দেশিকা তুলে দেন।