বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

ঝিনাইদহে ৭দিনের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগ

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৫:১০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহে ৭দিনের টানা ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে শহরের উপশহরপাড়া, হামদহ, ব্যাপারী পাড়ার সহ শহরের বিভিন্ন অঞ্চল। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকাই দেখা দিয়েছে এ জলাবদ্ধতা । এতে এ অঞ্চলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শহরের উপশহরপাড়া, হাটের রাস্তা, চুয়াডাঙ্গা বাস ষ্ট্যান্ড ঝিনাইদহ এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে তা ঘরবাড়িতেও প্রবশ করছে।

উপশহর এলাকার জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন অঞ্চলের অধিকাংশ বাড়ির উঠানে এমনকি ঘরের ভিতরেও হাঁটু পানি জমে আছে। এতে এলাকা বাসী রয়েছে মহা বিপদে। তিনি আরো বলেন, সঠিক নিয়মে ড্রেন নির্মাণ না করা এবং নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার না করার কারনে বৃষ্টির পানি অপসারিত হয় না। সে কারনে বৃষ্টির পানি জমে তা ঘরবাড়িতেও প্রবেশ করছে । নাগরিক সুবিধা দিতে পৌর কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপশহর পাড়া ও হাটের রাস্তা সংলগ্ন ব্যাপারী পাড়া এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে বাড়ির ওঠনে হাঁটু পানি জমে গেছে। এমনকি পানি  ঘরের ভিতরেও প্রবেশ করছে। এতে খাওয়া দাওয়া  ও রাতের ঘুম বন্ধ হয়ে গেছে অনেকেরই। অনেকে আবার বাসার ছাদে রান্না করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। মঙ্গলবার ২৫শে জুলাই বিকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এ এলাকার বেশ কিছু রোড পুরোপুরি পারির নিচে। এসমায় পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে ঢুকে যাওয়া বৃষ্টির পানি সেচ দিতেও দেখা যায়।

ব্যাপারী পাড়ার বেশ কিছু বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ জলাবদ্ধতাই প্রমান করে দেয়, ড্রেনের ব্যবস্থা কতটা খারাপ। ড্রেনের ব্যবস্থা উন্নত থাকলে আজ আমাদের এ রকম দুর্ভোগ পোহাতে হত না। তিনি আরো বলেন, পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকাই প্রতি বছর বৃষ্টি হলেই আমাদের এ অবস্থা হয়। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারনে এ দুরাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এর থেকে পরিত্রান পেতে এলাকা বাসি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে একটি টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের জোর দাবী জানান এলাকা বাসি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

ঝিনাইদহে ৭দিনের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগ

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:১০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহে ৭দিনের টানা ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে শহরের উপশহরপাড়া, হামদহ, ব্যাপারী পাড়ার সহ শহরের বিভিন্ন অঞ্চল। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকাই দেখা দিয়েছে এ জলাবদ্ধতা । এতে এ অঞ্চলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শহরের উপশহরপাড়া, হাটের রাস্তা, চুয়াডাঙ্গা বাস ষ্ট্যান্ড ঝিনাইদহ এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে তা ঘরবাড়িতেও প্রবশ করছে।

উপশহর এলাকার জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন অঞ্চলের অধিকাংশ বাড়ির উঠানে এমনকি ঘরের ভিতরেও হাঁটু পানি জমে আছে। এতে এলাকা বাসী রয়েছে মহা বিপদে। তিনি আরো বলেন, সঠিক নিয়মে ড্রেন নির্মাণ না করা এবং নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার না করার কারনে বৃষ্টির পানি অপসারিত হয় না। সে কারনে বৃষ্টির পানি জমে তা ঘরবাড়িতেও প্রবেশ করছে । নাগরিক সুবিধা দিতে পৌর কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপশহর পাড়া ও হাটের রাস্তা সংলগ্ন ব্যাপারী পাড়া এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে বাড়ির ওঠনে হাঁটু পানি জমে গেছে। এমনকি পানি  ঘরের ভিতরেও প্রবেশ করছে। এতে খাওয়া দাওয়া  ও রাতের ঘুম বন্ধ হয়ে গেছে অনেকেরই। অনেকে আবার বাসার ছাদে রান্না করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। মঙ্গলবার ২৫শে জুলাই বিকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এ এলাকার বেশ কিছু রোড পুরোপুরি পারির নিচে। এসমায় পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে ঢুকে যাওয়া বৃষ্টির পানি সেচ দিতেও দেখা যায়।

ব্যাপারী পাড়ার বেশ কিছু বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ জলাবদ্ধতাই প্রমান করে দেয়, ড্রেনের ব্যবস্থা কতটা খারাপ। ড্রেনের ব্যবস্থা উন্নত থাকলে আজ আমাদের এ রকম দুর্ভোগ পোহাতে হত না। তিনি আরো বলেন, পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকাই প্রতি বছর বৃষ্টি হলেই আমাদের এ অবস্থা হয়। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারনে এ দুরাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এর থেকে পরিত্রান পেতে এলাকা বাসি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে একটি টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের জোর দাবী জানান এলাকা বাসি।