বুধবার | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন গনফোরামের প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবর Logo সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীবিকা উন্নয়নে কয়রায় প্রকল্প সভা অনুষ্ঠিত Logo মিথাইল ও বিষাক্ত স্পিরিট অপব্যবহার রোধে চাঁদপুরে সচেতনতামূলক সভা Logo সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo দেবহাটায় সাসের সমৃদ্ধি কর্মসূচির উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত Logo নানা আয়োজনে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র তুললেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন Logo দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বসবাস করা বসতবাড়ি ভোগদখল জমিজমা নিমিষেই বেদখল Logo আন্তর্জাতিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ‘এডুরম’ উদ্বোধন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে Logo পলাশবাড়ীতে বিএনপির আনন্দ মিছিল

অনার্সে ভর্তি হতে পারলেন না মানিকগঞ্জের দুই বোন!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:১৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮৩১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

লেখাপড়ায় আগ্রহী দুই বোন বিনু খান ও ফাতেমা মিজান। বাড়ি মানিকগঞ্জের জয়রা নতুন বসতি এলাকায়। কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাস করার পর উচ্চশিার জন্য অনার্সে ভর্তি হতে গিয়ে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল এই দুই বোনের। যোগ্যতা থাকার পরেও শিা বিভাগের কর্তব্যে অবহেলার কারণে আবেদন করতে পারেননি তারা। ফলে দুই বোনের উচ্চশিায় শিতি হওয়া অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে অনার্সের ভর্তি আবেদনের শেষ তারিখ। পরে বাধ্য হয়ে উচ্চশিার সুযোগ সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিামন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন এই দুই বোন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদ্বয় বিনু খান ও ফাতেমা মিজান জানান, ২০১৩ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) থেকে তারা দুই বোন এসএসসি পাস করে। এরপর মানিকগঞ্জ খানবাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজ থেকে কারিগরি শিা বোর্ডের অধীনে ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীায় উত্তীর্ণ হয়। এবার অনার্সের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে অনলাইনে বারবার চেষ্টা করেও ভর্তির আবেদন ফরম ফিলাপ করতে পারলেন না।
ভর্তির আবেদনপত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীায় যাবতীয় তথ্য সংযোগ করতে হয়। ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীার তথ্য ওয়েবসাইটে থাকলেও ২০১৩ সালে বাউবি থেকে এসএসসি পরীার তথ্য ওয়েবসাইটে না থাকায় সেখানে ইনভ্যালিড লেখা উঠছে।
যে কারণে অনলাইনে ভর্তির আবেদন ফরম ফিলাপ করতে পারল না। এরপর মানিকগঞ্জ জেলা বাউবি অফিসে দুই বোন যোগাযোগ করলে তাদের বাউবি প্রধান কার্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
গত বুধবার এই দুই বোন বাউবি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে তাদের সমস্যার কথা বলেন। কিন্তু কর্তৃপ তাদের কাছে বলেনি কেন তারা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে পারল না।
বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌসের মাধ্যমে শিামন্ত্রীর কাছে তাদের উচ্চশিার সুযোগের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস জানান, দুই বোনের উচ্চশিার আগ্রহের বিষয়ে শিামন্ত্রীর কাছে আবেদনপত্রটি বৃহস্পতিবার বিকেলে শিাসচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই দুই বোন যেন উচ্চশিায় ভর্তির আবেদনের সুযোগ পান সেটা তিনিও চান।
অপর দিকে গাজীপুর বাউবির প্রধান কার্যালয়ে স্টুডেন্ট সাপোর্ট সার্ভিসেস ডিভিশনের পরিচালক আতিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার পারর্সোনাল অ্যাসিস্টেন্ট (পিএ) ফরিদা পারভীন জানান, ২০১৩ সালে বাউবি থেকে যারা এসএসসি পাস করেছে তারা এবার অনার্সে ভর্তি হতে পারছে না। কারণ তাদের শিাগত যোগ্যতার তথ্য ওয়েবসাইটে নেই। অথচ যারা ২০১২ সালে এসএসসি পাস করেছেন তাদের শিাগত যোগ্যতার তথ্য ওয়েবসাইটে রয়েছে। যে কারণে ২০১২ সালে এসএসসি পাস করা শিার্থীরা অনলাইনে অনার্সে ভর্তি আবেদন করতে পেরেছেন। এবার কী কারণে ২০১৩ সালে এসএসসি পরীার শিার্থীরা অনার্সের অনলাইনে আবেদন করতে পারলেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাথে বাউবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু তার জানা নেই বলে জানান।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন গনফোরামের প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবর

অনার্সে ভর্তি হতে পারলেন না মানিকগঞ্জের দুই বোন!

আপডেট সময় : ১১:২৯:১৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

লেখাপড়ায় আগ্রহী দুই বোন বিনু খান ও ফাতেমা মিজান। বাড়ি মানিকগঞ্জের জয়রা নতুন বসতি এলাকায়। কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাস করার পর উচ্চশিার জন্য অনার্সে ভর্তি হতে গিয়ে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল এই দুই বোনের। যোগ্যতা থাকার পরেও শিা বিভাগের কর্তব্যে অবহেলার কারণে আবেদন করতে পারেননি তারা। ফলে দুই বোনের উচ্চশিায় শিতি হওয়া অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে অনার্সের ভর্তি আবেদনের শেষ তারিখ। পরে বাধ্য হয়ে উচ্চশিার সুযোগ সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিামন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন এই দুই বোন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদ্বয় বিনু খান ও ফাতেমা মিজান জানান, ২০১৩ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) থেকে তারা দুই বোন এসএসসি পাস করে। এরপর মানিকগঞ্জ খানবাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজ থেকে কারিগরি শিা বোর্ডের অধীনে ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীায় উত্তীর্ণ হয়। এবার অনার্সের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে অনলাইনে বারবার চেষ্টা করেও ভর্তির আবেদন ফরম ফিলাপ করতে পারলেন না।
ভর্তির আবেদনপত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীায় যাবতীয় তথ্য সংযোগ করতে হয়। ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীার তথ্য ওয়েবসাইটে থাকলেও ২০১৩ সালে বাউবি থেকে এসএসসি পরীার তথ্য ওয়েবসাইটে না থাকায় সেখানে ইনভ্যালিড লেখা উঠছে।
যে কারণে অনলাইনে ভর্তির আবেদন ফরম ফিলাপ করতে পারল না। এরপর মানিকগঞ্জ জেলা বাউবি অফিসে দুই বোন যোগাযোগ করলে তাদের বাউবি প্রধান কার্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
গত বুধবার এই দুই বোন বাউবি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে তাদের সমস্যার কথা বলেন। কিন্তু কর্তৃপ তাদের কাছে বলেনি কেন তারা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে পারল না।
বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌসের মাধ্যমে শিামন্ত্রীর কাছে তাদের উচ্চশিার সুযোগের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস জানান, দুই বোনের উচ্চশিার আগ্রহের বিষয়ে শিামন্ত্রীর কাছে আবেদনপত্রটি বৃহস্পতিবার বিকেলে শিাসচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই দুই বোন যেন উচ্চশিায় ভর্তির আবেদনের সুযোগ পান সেটা তিনিও চান।
অপর দিকে গাজীপুর বাউবির প্রধান কার্যালয়ে স্টুডেন্ট সাপোর্ট সার্ভিসেস ডিভিশনের পরিচালক আতিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার পারর্সোনাল অ্যাসিস্টেন্ট (পিএ) ফরিদা পারভীন জানান, ২০১৩ সালে বাউবি থেকে যারা এসএসসি পাস করেছে তারা এবার অনার্সে ভর্তি হতে পারছে না। কারণ তাদের শিাগত যোগ্যতার তথ্য ওয়েবসাইটে নেই। অথচ যারা ২০১২ সালে এসএসসি পাস করেছেন তাদের শিাগত যোগ্যতার তথ্য ওয়েবসাইটে রয়েছে। যে কারণে ২০১২ সালে এসএসসি পাস করা শিার্থীরা অনলাইনে অনার্সে ভর্তি আবেদন করতে পেরেছেন। এবার কী কারণে ২০১৩ সালে এসএসসি পরীার শিার্থীরা অনার্সের অনলাইনে আবেদন করতে পারলেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাথে বাউবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু তার জানা নেই বলে জানান।