শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

অনার্সে ভর্তি হতে পারলেন না মানিকগঞ্জের দুই বোন!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:১৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

লেখাপড়ায় আগ্রহী দুই বোন বিনু খান ও ফাতেমা মিজান। বাড়ি মানিকগঞ্জের জয়রা নতুন বসতি এলাকায়। কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাস করার পর উচ্চশিার জন্য অনার্সে ভর্তি হতে গিয়ে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল এই দুই বোনের। যোগ্যতা থাকার পরেও শিা বিভাগের কর্তব্যে অবহেলার কারণে আবেদন করতে পারেননি তারা। ফলে দুই বোনের উচ্চশিায় শিতি হওয়া অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে অনার্সের ভর্তি আবেদনের শেষ তারিখ। পরে বাধ্য হয়ে উচ্চশিার সুযোগ সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিামন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন এই দুই বোন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদ্বয় বিনু খান ও ফাতেমা মিজান জানান, ২০১৩ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) থেকে তারা দুই বোন এসএসসি পাস করে। এরপর মানিকগঞ্জ খানবাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজ থেকে কারিগরি শিা বোর্ডের অধীনে ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীায় উত্তীর্ণ হয়। এবার অনার্সের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে অনলাইনে বারবার চেষ্টা করেও ভর্তির আবেদন ফরম ফিলাপ করতে পারলেন না।
ভর্তির আবেদনপত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীায় যাবতীয় তথ্য সংযোগ করতে হয়। ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীার তথ্য ওয়েবসাইটে থাকলেও ২০১৩ সালে বাউবি থেকে এসএসসি পরীার তথ্য ওয়েবসাইটে না থাকায় সেখানে ইনভ্যালিড লেখা উঠছে।
যে কারণে অনলাইনে ভর্তির আবেদন ফরম ফিলাপ করতে পারল না। এরপর মানিকগঞ্জ জেলা বাউবি অফিসে দুই বোন যোগাযোগ করলে তাদের বাউবি প্রধান কার্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
গত বুধবার এই দুই বোন বাউবি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে তাদের সমস্যার কথা বলেন। কিন্তু কর্তৃপ তাদের কাছে বলেনি কেন তারা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে পারল না।
বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌসের মাধ্যমে শিামন্ত্রীর কাছে তাদের উচ্চশিার সুযোগের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস জানান, দুই বোনের উচ্চশিার আগ্রহের বিষয়ে শিামন্ত্রীর কাছে আবেদনপত্রটি বৃহস্পতিবার বিকেলে শিাসচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই দুই বোন যেন উচ্চশিায় ভর্তির আবেদনের সুযোগ পান সেটা তিনিও চান।
অপর দিকে গাজীপুর বাউবির প্রধান কার্যালয়ে স্টুডেন্ট সাপোর্ট সার্ভিসেস ডিভিশনের পরিচালক আতিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার পারর্সোনাল অ্যাসিস্টেন্ট (পিএ) ফরিদা পারভীন জানান, ২০১৩ সালে বাউবি থেকে যারা এসএসসি পাস করেছে তারা এবার অনার্সে ভর্তি হতে পারছে না। কারণ তাদের শিাগত যোগ্যতার তথ্য ওয়েবসাইটে নেই। অথচ যারা ২০১২ সালে এসএসসি পাস করেছেন তাদের শিাগত যোগ্যতার তথ্য ওয়েবসাইটে রয়েছে। যে কারণে ২০১২ সালে এসএসসি পাস করা শিার্থীরা অনলাইনে অনার্সে ভর্তি আবেদন করতে পেরেছেন। এবার কী কারণে ২০১৩ সালে এসএসসি পরীার শিার্থীরা অনার্সের অনলাইনে আবেদন করতে পারলেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাথে বাউবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু তার জানা নেই বলে জানান।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

অনার্সে ভর্তি হতে পারলেন না মানিকগঞ্জের দুই বোন!

আপডেট সময় : ১১:২৯:১৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

লেখাপড়ায় আগ্রহী দুই বোন বিনু খান ও ফাতেমা মিজান। বাড়ি মানিকগঞ্জের জয়রা নতুন বসতি এলাকায়। কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাস করার পর উচ্চশিার জন্য অনার্সে ভর্তি হতে গিয়ে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল এই দুই বোনের। যোগ্যতা থাকার পরেও শিা বিভাগের কর্তব্যে অবহেলার কারণে আবেদন করতে পারেননি তারা। ফলে দুই বোনের উচ্চশিায় শিতি হওয়া অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে অনার্সের ভর্তি আবেদনের শেষ তারিখ। পরে বাধ্য হয়ে উচ্চশিার সুযোগ সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিামন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন এই দুই বোন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদ্বয় বিনু খান ও ফাতেমা মিজান জানান, ২০১৩ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) থেকে তারা দুই বোন এসএসসি পাস করে। এরপর মানিকগঞ্জ খানবাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজ থেকে কারিগরি শিা বোর্ডের অধীনে ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীায় উত্তীর্ণ হয়। এবার অনার্সের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে অনলাইনে বারবার চেষ্টা করেও ভর্তির আবেদন ফরম ফিলাপ করতে পারলেন না।
ভর্তির আবেদনপত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীায় যাবতীয় তথ্য সংযোগ করতে হয়। ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীার তথ্য ওয়েবসাইটে থাকলেও ২০১৩ সালে বাউবি থেকে এসএসসি পরীার তথ্য ওয়েবসাইটে না থাকায় সেখানে ইনভ্যালিড লেখা উঠছে।
যে কারণে অনলাইনে ভর্তির আবেদন ফরম ফিলাপ করতে পারল না। এরপর মানিকগঞ্জ জেলা বাউবি অফিসে দুই বোন যোগাযোগ করলে তাদের বাউবি প্রধান কার্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
গত বুধবার এই দুই বোন বাউবি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে তাদের সমস্যার কথা বলেন। কিন্তু কর্তৃপ তাদের কাছে বলেনি কেন তারা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে পারল না।
বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌসের মাধ্যমে শিামন্ত্রীর কাছে তাদের উচ্চশিার সুযোগের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস জানান, দুই বোনের উচ্চশিার আগ্রহের বিষয়ে শিামন্ত্রীর কাছে আবেদনপত্রটি বৃহস্পতিবার বিকেলে শিাসচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই দুই বোন যেন উচ্চশিায় ভর্তির আবেদনের সুযোগ পান সেটা তিনিও চান।
অপর দিকে গাজীপুর বাউবির প্রধান কার্যালয়ে স্টুডেন্ট সাপোর্ট সার্ভিসেস ডিভিশনের পরিচালক আতিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার পারর্সোনাল অ্যাসিস্টেন্ট (পিএ) ফরিদা পারভীন জানান, ২০১৩ সালে বাউবি থেকে যারা এসএসসি পাস করেছে তারা এবার অনার্সে ভর্তি হতে পারছে না। কারণ তাদের শিাগত যোগ্যতার তথ্য ওয়েবসাইটে নেই। অথচ যারা ২০১২ সালে এসএসসি পাস করেছেন তাদের শিাগত যোগ্যতার তথ্য ওয়েবসাইটে রয়েছে। যে কারণে ২০১২ সালে এসএসসি পাস করা শিার্থীরা অনলাইনে অনার্সে ভর্তি আবেদন করতে পেরেছেন। এবার কী কারণে ২০১৩ সালে এসএসসি পরীার শিার্থীরা অনার্সের অনলাইনে আবেদন করতে পারলেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাথে বাউবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু তার জানা নেই বলে জানান।