মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

কানাডার নাগরিকত্ব পেলেন মালালা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:১৮:০০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শান্তিতে নোবেল জয়ী পাকিস্তানি অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাইকে কানাডার অবৈতনিক নাগরিকত্ব দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন  হয়েছে। ২০১৪ সালে মালালাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেয় কানাডা। বুধবার দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো তার পূর্বসূরীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে। বিবিসি লিখেছে, সমাজসেবা ও মানবাধিকারে অবদান রাখার জন্য এ পুরস্কার দেয় কানাডা সরকার।

২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার মালালাকে নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সোমবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের নারী অধিকার কর্মী মালালা ১২ এপ্রিল কানাডা পৌঁছে পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখবেন এবং এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানসূচক কানাডীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করবেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার অটোয়ায় মালালাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ সময় অভিবাসন মন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

নাগরিকত্ব পাওয়ার পর মালালা কানাডার পার্লামেন্টে ১৫ মিনিট বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, মালালা ছাড়াও আরও পাঁচ ব্যক্তিকে কানাডা অবৈতনিক নাগরিকত্ব দিয়েছে। তারা হলেন— রাউল ইউলেনবার্গ, নেলসন ম্যান্ডেলা, দালাইলামা, অং সান সু চি এবং আগা খান। এ সম্মানসূচক নাগরিকত্বে পাসপোর্ট পাওয়া বা ভোটাধিকারের কোনো সুযোগ নেই।

মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণ এবং স্কুলে যাওয়ার অধিকারের পক্ষে প্রকাশ্যে কথা বলায় ১৫ বছর বয়সে মালালা ইউসুফজাই তালেবান হামলাকারীদের গুলির শিকার হন। ওই যাত্রায় বেঁচে যাওয়ার পর থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন নারীশিক্ষা এবং নারী অধিকারের আন্তর্জাতিক মুখপাত্র। এসব কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই মালালাকে ২০১৪ সালে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

কানাডার নাগরিকত্ব পেলেন মালালা !

আপডেট সময় : ০১:১৮:০০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

শান্তিতে নোবেল জয়ী পাকিস্তানি অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাইকে কানাডার অবৈতনিক নাগরিকত্ব দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন  হয়েছে। ২০১৪ সালে মালালাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেয় কানাডা। বুধবার দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো তার পূর্বসূরীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে। বিবিসি লিখেছে, সমাজসেবা ও মানবাধিকারে অবদান রাখার জন্য এ পুরস্কার দেয় কানাডা সরকার।

২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার মালালাকে নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সোমবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের নারী অধিকার কর্মী মালালা ১২ এপ্রিল কানাডা পৌঁছে পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখবেন এবং এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানসূচক কানাডীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করবেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার অটোয়ায় মালালাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ সময় অভিবাসন মন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

নাগরিকত্ব পাওয়ার পর মালালা কানাডার পার্লামেন্টে ১৫ মিনিট বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, মালালা ছাড়াও আরও পাঁচ ব্যক্তিকে কানাডা অবৈতনিক নাগরিকত্ব দিয়েছে। তারা হলেন— রাউল ইউলেনবার্গ, নেলসন ম্যান্ডেলা, দালাইলামা, অং সান সু চি এবং আগা খান। এ সম্মানসূচক নাগরিকত্বে পাসপোর্ট পাওয়া বা ভোটাধিকারের কোনো সুযোগ নেই।

মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণ এবং স্কুলে যাওয়ার অধিকারের পক্ষে প্রকাশ্যে কথা বলায় ১৫ বছর বয়সে মালালা ইউসুফজাই তালেবান হামলাকারীদের গুলির শিকার হন। ওই যাত্রায় বেঁচে যাওয়ার পর থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন নারীশিক্ষা এবং নারী অধিকারের আন্তর্জাতিক মুখপাত্র। এসব কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই মালালাকে ২০১৪ সালে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।