মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশের ফলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও বেড়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের বিচারকদের প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ আটকে দেওয়ার ক্ষমতা সীমিত করেছেন। শনিবার (২৮ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই আদেশের ফলে অবৈধ অভিবাসী ও অস্থায়ী ভিসাধারীদের সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধে ট্রাম্পের জারি করা আদেশ কার্যকরের পথ প্রশস্ত হয়েছে। ট্রাম্প এটিকে তাঁর জন্য একটি বিশাল জয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়ে সরাসরি আলোকপাত না করে, প্রেসিডেন্টের কার্যক্রমের ওপরই বেশি জোর দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আদেশের ফলে ভবিষ্যতে নির্বাহী আদেশে নেওয়া পদক্ষেপগুলো চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এমনকি এই আদেশেরও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনে যেসব নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন, অভিবাসন বিষয়ক অধিকার গোষ্ঠী এবং ২২টি রাজ্য সেগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। প্রাথমিকভাবে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশগুলো আটকে দেওয়া সম্ভব হলেও, বিচার বিভাগ সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে এবং এই আদেশগুলো অসাংবিধানিক বলে দাবি করে।
শুক্রবার আদালত ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একমত পোষণ করে নতুন আদেশ দিয়েছেন। ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, “এ সিদ্ধান্ত সংবিধানের জন্য। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও আইনের শাসনের জন্য অগ্রাহ্য করার চেষ্টা এবং দেশজুড়ে আদেশের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ছিল গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।”
অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বলেছেন, আদালতের এই সিদ্ধান্তের অর্থ হলো বিচারকরা এখন আর সহজে ট্রাম্পের নীতি আটকে দিতে পারবেন না। তিনি আরও জানান, অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী সেশন শুরু হওয়ার পর জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়ে নানা প্রশ্ন তারা আমলে নেবে।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, দেশের আদালতগুলো অসাংবিধানিক বা বেআইনি মনে হলে প্রেসিডেন্টের কার্যক্রম স্থগিত করতে পারবে, তবে এর জন্য আরও বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট তাঁর কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আরও সুযোগ পাবেন।