ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক যুদ্ধের অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতামূলক ভূমিকার প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বকে এই কূটনৈতিক সাফল্যের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কৃতিত্ব দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ ফোনালাপে এসব কথা বলেন তিনি। যেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
পাকিস্তানের সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ একইসঙ্গে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং একে ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদান’ বলে অভিহিত করেন।
দুই পক্ষই বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়িয়ে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও মজবুত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও প্রধানমন্ত্রী শেহবাজের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি ইরানের পরমাণু অস্ত্র অর্জন রোধের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি নিশ্চিতের জন্য যৌথভাবে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।’
উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে নজিরবিহীন বিমান হামলা চালায়, যাতে দেশটির শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা নিহত হন। জবাবে ইরানও ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়।
ইরান দাবি করেছে, তাদের দেশে ৬২৭ জন নিহত এবং প্রায় ৫ হাজার জন আহত হয়েছে। যদিও কঠোর গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কারণে এই তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। ইসরায়েলে নিহত হয় ২৮ জন।