শিরোনাম :
Logo বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা Logo সিন্ডিকেটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo ফিটনেসবিহীন কুবির বিআরটিসি বাসে আগুন Logo চাঁদপুরে টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo খুুবি উপাচার্যের সাথে হিট প্রজেক্টপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মতবিনিময় Logo চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিটি স্তরে সেবা গ্রহীতাদের স্বস্তি Logo নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন  Logo নারী হেনস্থা ও সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ Logo চাঁদপুর মডেল থানায় ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ইবি’র দুই নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে কমিটি পুনর্গঠন

ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান পাকিস্তানের

ইসরায়েলের পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। তিনি বলেন, ইসরায়েল কোনো আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তির আওতায় নয় এবং এটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে। খবর সামা টিভির।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সম্পর্কে সতর্ক ও চিন্তিত হওয়া উচিত। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তেল আবিব কোনো আন্তর্জাতিক পরমাণু নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর অধীনে নেই।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘ইসরায়েল নিউক্লিয়ার নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি (এনপিটিতে) স্বাক্ষরকারী নয় এবং কোনো বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক পরমাণু শৃঙ্খলা মেনে চলে না। পশ্চিমা বিশ্বকে ইসরায়েলের দ্বারা সৃষ্ট সংঘাত নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত, কারণ এটি পুরো অঞ্চলকে অস্থিরতার মধ্যে ঠেলে দেবে।’

তিনি পাকিস্তানের পরমাণু নীতির সঙ্গে ইসরায়েলের নীতির পার্থক্য তুলে ধরেন, ‘পাকিস্তান সব আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী। আমাদের পারমাণবিক শক্তি শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা ও জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হয়, এটি ইসরায়েলের মতো প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারমূলক নয়।’

খাজা আসিফ পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেন, ‘একটি দুষ্কৃতিকারী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া পুরো অঞ্চলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বিশ্বকে এই হুমকিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।’

যদিও ইসরায়েল কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পরমাণু অস্ত্রের মালিকানা স্বীকার করেনি, তবুও স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের মতে দেশটির কাছে প্রায় ৮০ থেকে ৯০টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে।

ইরানের মতো দেশগুলোর বিপরীতে, ইসরায়েল আইএইএ’র অ্যাডিশনাল প্রোটোকল বা এনপিটির সদস্য নয়, ফলে তাদের পরমাণু স্থাপনাগুলো আন্তর্জাতিক পরিদর্শনের বাইরে থেকে যায়।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের পরমাণু নীতি ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরোধ ক্ষমতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে এবং এটি সংযম ও দায়িত্ববোধ দ্বারা পরিচালিত।’

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান পাকিস্তানের

আপডেট সময় : ১১:৩১:২৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। তিনি বলেন, ইসরায়েল কোনো আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তির আওতায় নয় এবং এটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে। খবর সামা টিভির।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সম্পর্কে সতর্ক ও চিন্তিত হওয়া উচিত। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তেল আবিব কোনো আন্তর্জাতিক পরমাণু নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর অধীনে নেই।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘ইসরায়েল নিউক্লিয়ার নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি (এনপিটিতে) স্বাক্ষরকারী নয় এবং কোনো বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক পরমাণু শৃঙ্খলা মেনে চলে না। পশ্চিমা বিশ্বকে ইসরায়েলের দ্বারা সৃষ্ট সংঘাত নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত, কারণ এটি পুরো অঞ্চলকে অস্থিরতার মধ্যে ঠেলে দেবে।’

তিনি পাকিস্তানের পরমাণু নীতির সঙ্গে ইসরায়েলের নীতির পার্থক্য তুলে ধরেন, ‘পাকিস্তান সব আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী। আমাদের পারমাণবিক শক্তি শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা ও জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হয়, এটি ইসরায়েলের মতো প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারমূলক নয়।’

খাজা আসিফ পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেন, ‘একটি দুষ্কৃতিকারী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া পুরো অঞ্চলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বিশ্বকে এই হুমকিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।’

যদিও ইসরায়েল কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পরমাণু অস্ত্রের মালিকানা স্বীকার করেনি, তবুও স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের মতে দেশটির কাছে প্রায় ৮০ থেকে ৯০টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে।

ইরানের মতো দেশগুলোর বিপরীতে, ইসরায়েল আইএইএ’র অ্যাডিশনাল প্রোটোকল বা এনপিটির সদস্য নয়, ফলে তাদের পরমাণু স্থাপনাগুলো আন্তর্জাতিক পরিদর্শনের বাইরে থেকে যায়।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের পরমাণু নীতি ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরোধ ক্ষমতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে এবং এটি সংযম ও দায়িত্ববোধ দ্বারা পরিচালিত।’