কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ ভারত সরকার এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। আজ বুধবারও (৩০ এপ্রিল) ভারতের দুটি প্রভাবশালী সিদ্ধান্তগ্রহণকারী কমিটি বৈঠক করেছে। এমন সময় এসব বৈঠক হচ্ছে যখন প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ১০ পয়েন্ট
১. নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিএস) পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার পর আজ দ্বিতীয়বার বৈঠক করেছে। বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছিল সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা।
২. সিসিএস বৈঠকের পরে ক্যাবিনেট কমিটি অন পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স (সিসিপিএ)-এর বৈঠক শুরু হয়, যেখানে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে পাহালগাম হামলা নিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার অনুরোধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
৩. দুই মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদি শীর্ষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে আরেকটি বৈঠক করেন এবং বৈঠকে হওয়া আলোচনা সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন।
৪. বিরোধী নেতারা, যার মধ্যে মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুল গান্ধী রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের অনুরোধ করেন, যাতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি সম্মিলিত অবস্থান পেশ করা যায়।
৫. ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত প্রথম সিসিএস বৈঠকে পাহালগাম হামলাকে কঠোরভাবে নিন্দা করা হয় এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।
৬ সিসিএস-কে যারা ব্রিফ করেন তারা বলেন, এই হামলার পেছনে সীমান্ত পেরিয়ে থাকা চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে। হামলাকারীরা জম্মু ও কাশ্মীরের সফল নির্বাচনের বিরোধিতা করছিল এবং অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঠেকাতে চাইছিল।
৭. স্থানীয়রা ব্যাপকভাবে এই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ করে। তারা বলেন, এটা একটি পরিকল্পিত আঘাত, যার মাধ্যমে পর্যটকদের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ করে অঞ্চলকে একঘরে করার চেষ্টা হয়েছে।
৮. তবুও অনেক পর্যটক যারা আগেই সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন, তারা তাদের পরিকল্পনা বাতিল করছেন না। যদিও অনেক পর্যটনস্থল বন্ধ থাকায় তারা হতাশ, তবুও কাশ্মীরে ছুটি কাটানো নিয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস রয়েছে এবং তারা কোনো ভয় পাচ্ছেন না।
৯. আহমেদাবাদের বাসিন্দা কেভল পটেল এএনআই-কে বলেন, ‘২২ এপ্রিল রাতে হামলার খবর পাই। আমাদের ফ্লাইট ছিল ২৩ তারিখ ভোর সাড়ে ৫টায় পাহালগামের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শীর্ষ মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ।’
১০. সূত্র অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদকে কঠোরভাবে দমন করাই ভারতের সংকল্প। তিনি ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং দক্ষতার ওপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন।’