৫ দশমিক ৮ মাত্রা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশী ভারতেও। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে আঘাত হানে এই ভূকম্পন। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গভীরে।
এই ভূমিকম্পের প্রভাব ভারতের উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায়, বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং দিল্লিতে স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত বুধবার আফগানিস্তানে আরেকটি ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। ইউরোপীয়-মেডিটেরেনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) প্রাথমিকভাবে একে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প বলে উল্লেখ করলেও পরে তা সংশোধন করে। ওই ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল বাগলান থেকে প্রায় ১৬৪ কিলোমিটার পূর্বে।
একই দিনে ভোর ৫টা ১৪ মিনিটে জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ার অঞ্চলেও ২ দশমিক ৪ মাত্রার একটি হালকা ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়, যার গভীরতা ছিল মাত্র ৫ কিলোমিটার।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় সংস্থা (ইউএনওসিএইচএ) জানায়, আফগানিস্তান প্রাকৃতিক দুর্যোগ— বিশেষত ভূমিকম্প, ভূমিধস এবং মৌসুমি বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। দীর্ঘদিনের সংঘাত ও অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে এসব দুর্যোগে দেশটির জনগণ অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আফগানিস্তানের হিন্দু কুশ অঞ্চলটি ভূতাত্ত্বিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয় এলাকা হিসেবে পরিচিত। ভারত ও ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের মিলনস্থলে অবস্থিত এই অঞ্চলটি প্রায়ই শক্তিশালী ভূমিকম্পের শিকার হয়।
এসব প্লেটের একটি বড়োসড়ো ফাটল রেখা হেরাত শহরের মধ্য দিয়েই যায়, যা ওই এলাকার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলেছে।