শিরোনাম :
Logo ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo জবির স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আয় ১২ কোটি টাকা Logo বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচন সম্পন্ন Logo আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সরকার উদ্যোগ না নিলে আমরা বসে থাকব না: নাহিদ ইসলাম Logo সার্কের বিকল্প জোট গঠনে কাজ করছে চীন-পাকিস্তান, রয়েছে বাংলাদেশও Logo পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্টের কর্মসূচি ঘিরে হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নতুন নেতৃত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘তারুণ্য’ Logo সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, আহত-৩০ Logo খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষ ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

হাজারীবাগের সব ট্যানারি বন্ধের নির্দেশ আপিলে বহাল !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:২৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১২ মার্চ ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর হাজারীবাগের সব ট্যানারি  অবিলম্বে বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ট্যানারি কারখানার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল।

এর আগে গত ৬ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগের সব ট্যানারি অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে কারখানাগুলোর বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি বিচ্ছিন্ন করাসহ সব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রইস উদ্দিন।পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এর আগে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ট্যানারি শিল্প কারখানা সরিয়ে নিতে সরকার নতুন করে যে সময়সীমা দিয়েছে, ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০১ সালে ট্যানারি শিল্প হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প অন্যত্র সরিয়ে নিতে ২০০৯ সালের ২৩ জুন হাইকোর্ট ফের নির্দেশ দেন। সরকার পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে ওই সময়সীমা কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। এরপরও ওই এলাকা থেকে ট্যানারি শিল্প কারখানা সরিয়ে নেওয়া হয়নি।

পরে নতুন করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের থেকে জানানো হয়, ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগ থেকে যেসব ট্যানারি স্থানান্তর করা হবে না, ১ মার্চ থেকে ওই সব ট্যানারির গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

হাজারীবাগের সব ট্যানারি বন্ধের নির্দেশ আপিলে বহাল !

আপডেট সময় : ১২:৪৮:২৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১২ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর হাজারীবাগের সব ট্যানারি  অবিলম্বে বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ট্যানারি কারখানার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল।

এর আগে গত ৬ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগের সব ট্যানারি অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে কারখানাগুলোর বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি বিচ্ছিন্ন করাসহ সব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রইস উদ্দিন।পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এর আগে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ট্যানারি শিল্প কারখানা সরিয়ে নিতে সরকার নতুন করে যে সময়সীমা দিয়েছে, ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০১ সালে ট্যানারি শিল্প হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প অন্যত্র সরিয়ে নিতে ২০০৯ সালের ২৩ জুন হাইকোর্ট ফের নির্দেশ দেন। সরকার পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে ওই সময়সীমা কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। এরপরও ওই এলাকা থেকে ট্যানারি শিল্প কারখানা সরিয়ে নেওয়া হয়নি।

পরে নতুন করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের থেকে জানানো হয়, ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগ থেকে যেসব ট্যানারি স্থানান্তর করা হবে না, ১ মার্চ থেকে ওই সব ট্যানারির গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।